পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पयनांशांद्भ* e8& পাচখানা গাড়ী বাদে আরও অন্তত পাচখানা গাড়ীর যোগাড় রাখতে হবে। নীলু বললে—না বাবা, আমি এখন উঠবে না—কেমন জায়গাটা হচ্ছে আর তুমি উঠচে હીશન —চলো চলো। ওসব দেখবার অনেক সময় আছে। কাল রাত থাকতেই আমাকে উঠে মুচিপাড়ায় লোক পাঠাতে হবে গাড়ীর জন্যে । তোমাদের কি ? ভাবনা চিন্তে তো নেই, বাবা —নাও ওঠে নীলু নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে কাদো কাদো মুখে বাবার সঙ্গে আসরের বাইরে এলো। বাইরে এসে দাড়িয়েও সে সতৃষ্ণ ও সাগ্রহ দৃষ্টিতে পিছন ফিরে বার বার দূরের আলোকিত স্টেজটার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগলো। ’ কাৰ্ত্তিক মজুমদার বললেন—ষ্টেচট খেযে পড়ে যাবে—ষ্ঠা করে দেখচো কি পেছন ফিবে ? চোখ দিয়ে চেয়ে পথ ইটো—অন্ধকার রাত্তির— মাকাল-লতার কাহিনী এই বর্ষায় আমাদের গ্রামের নানা বনে ঝোপে মাকাল-লতার নিভৃত বিতান রচিত হয়েচে । আমি মাকাল-লতা বড় ভালোবালি । যেদিন প্রথম আমার চোখে পড়লো মাকাল-লতার বিচিত্র রচনা, তখন মন আনন্দে ভরে উঠলো। তারপর সেই স্বন্দর দিনটি এল, যেদিনে দেখলুম মাকাল-লতার ঝোপে ঝোপে কাচা সবুজ ফল ধরেচে। সবুজ, মন্থণ, চিকুণ গা পুষ্ট ফলগুলির। আমি রোজ বেড়াতে যাই, নাইতে যাই, ঝোপে মাকাল ফলের খামল রূপ দেখি অবাক হয়ে দাড়িয়ে । ঘন বর্ষার দিনে নদীর তীরে, নিতৃত মৌন বনবিতানে নীল আকাশের তলায় ঝোপেঝোপে সবুজ আপেলের মত ফলগুলি, একদৃষ্টি কতক্ষণ ধরে চেয়ে থাকি। প্রজাপতি ওড়ে, পার্থী গান গায় । এ বছর বর্ষ তেমন হয় নি আজও, তবুও নদীর ধারে দুটি বনের ঝোপে মাকাল-লতা কৰে? বেড়ে সারা ঝোপটির মাথা ঢেকে ফেলেচে । আর একটি মাকাল-লতা স্বন্দর ঝোপ গজিয়ে সৌন্দর্ঘ্য সৃষ্টি করেচে গোপালনগর বাজার ছাড়িয়ে পুরোনো"ডাকঘরটার সামনের বটতলায় । © ডাকঘরের এ ঝোপের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে, মটর-লতার মটর ফলের গুচ্ছ ও মাকাল ফল পাশাপাশি চুলচে। মনে হবে পারস্ত দেশের স্বৰ্য্যতপ্ত কোনো উষ্ঠানে আপেল ও দ্রাক্ষাগুচ্ছ একসঙ্গে ফলেচে-বাংলাদেশের ঘরোয়া জঙ্গল এ নয় । তারপর হঠাৎ একদিন দেখি মাকাল, গভীর কলগুলির কোনো কোনোটাতে রং ধরেচে। ক্রমে সেগুলোতে একটু করে রং চড়লে স্বৰ্য্যতাপে, রাঙা টুকটুকে সিদ্ধর গোলা ফলের রং ঘন সবুজ কোপের সবুজপত্রসম্ভারের মধ্যে