পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৭৯

ॐानांथांमृष्णै శ్రీశ్రీశ్రీ শিবশঙ্কর ফেপে উঠলেন তো সেদিন । ক’বছরের কথা আর ? কি ছিল শিবশঙ্করের ? বারাসাতের কাছে ভবনহাটি বিষ্ণুপুর, ক্ষুদ্র গ্রাম, সেখানেই পৈতৃক বাড়ী । অবিপ্তি নিতান্ত গরীব ছিলেন না, সেকেলে বড় গৃহস্থ, তবে ইদানীং নামেই ছিল তালপুকুর, ঘটি ডুবতে না । নিজের বুদ্ধিতে শিবশঙ্কর সব করেচেন। বীরের মত করেচেন, ৰীরের মতই ভোগ করে যাচ্ছেন শিবশঙ্কর ৷ এখনো হয় নি, লেক অঞ্চলে বড় একখানা বাডী করবার শখ তার, কিন্তু পছন্দসই জমি পাচ্ছেন না । তেজপুরের কাজটা যদি হাতে এসে যায়, তবে নির্ঘাত তিন লক্ষ ঘরে আসবে। হিসেব করে দেখা আছে তার। এই বছরের শেষেই টাকাটা হাতে আসতে পারে, যদি বিলের টাকা গভর্নমেন্ট এ বছরেই শোধ করে। পূজো দিলে শেষের ব্যবস্থা চটপট হয়ে যাবে। শিবশঙ্করকে কাজ শেখাতে হবে না, ঘুঘু হয়ে বসে আছেন তিনি। অনেস্টি বলে জিনিস নেই এ বাজারে। অনেটি একটা মুখের কথা মাত্র। কমপিটিশনের বাজার, অনেস্টিতে হয় না। টাকা.টাকা”চাই, টাকা । দুনিয়াতে টাকা ছাড়া আর কিছু নেই। টাকা যে পথে আসে আস্থক । টাকা রোজগারের এই তে সময় । যুদ্ধের বাজারে যে যা করে নিতে পারে । কলকাতার হাওয়ার টাকা উড়চে.যার বুদ্ধি আছে ধরে নাও । কিছুই এখনো রোজগার করা হয় নি। অনেক কিছুই বাকী । কেবল একটা ব্যাপার শিবশঙ্করকে বড় চিন্তিত করে তুলেচে । বড় ছেলে বিমান প্রায়ই রাত্রে বাডী আসে না । নিজের আলাদা একখানা মোটর কিনেচে । নানা রকম কথা কানে গিয়েচে শিবশঙ্করের। ঠিক বুঝতে পারচেন না এখনও তিনি। বিমান এমন ছিল না। বড় বেীমা প্রায়ই র্ক দন, স্থলেখার মুখে শুনতে পান তিনি । গিন্নি কিছু বলেন না, এজন্যে গিন্নির ওপর শিবশঙ্কর সন্তুষ্ট নন । গিন্নির প্রশ্রয় ন পেলে বিমান এমন হতে পারতে না । যত নিৰ্ব্বোধ নিয়ে হয়েচে তার সংসার । টেলিফোন বেজে উঠে শিবশঙ্করের চিন্তাজাল ছিন্ন করে দিলে । -হঁ্যা, কে ? ও আচ্ছা— বেশ, বেশ । তুমি চলেই এসে এখানে। দেরি করো না । একটি শোঁখীন বাবুমত লোক, চোখে সোনাবাধানো চশমা, ঘরে ঢুকলো দশ মিনিট পরে। এই লোকটি ঘরে ঢোকবার পরে শিবশঙ্কর সতর্ক দৃষ্টিতে ঘরের দরজার দিকে দু-তিনবার চাইলেন । লোকটি চাপা মৃত্নশ্বরে মিনিট দশেক কথা বলে তারপর হঠাৎ স্বাভাবিক স্বরে ফিরে এসে বললে— বেশ, যাই তা হোলে । —বোলো, বোলো— —বুঝতে পারলে না ? সামলে রাখতে বলিগে যাই! সিনেমায় আজকাল নাম করে উঠেচে ঠেলে, দেখতে পরম রূপলী -মৌমাছির র্যাক কম নয়। বুঝতে পারলে না? ঠিক আটটাতে--- বেলা ছটার পরে শিবশঙ্কর ড্রাইভারকে ডেকে বলে দিলেন-শোভ সিং, চলা মাও