পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

etూ বিভূতি-রচনাবলী যেন ওর এখানে। ও আমাকে কিছু খেতে দেবে, তারপর গান শোনাৰে । কোনো বৈষয়িক কথা ওর মুখে শুনি নি। অনেক পরে বয়েস হোলে এ সব ভালো করে বুঝেছিলাম। আমি বললাম—তুমি মাছ ধর ? --না, বাবাঠাকুর। —তোমার বাড়ী কোথায় ছিল ? অন্ত লোক হোলে এ কথার উত্তর দেয় না। কিন্তু পাগল ঠাকুরের মত সরল লোকের কোনো কিছুই গোপনীয় নেই। সে বললে—শঙ্করপুর। কাঁচরাপাড়ার ওদিকে, এখান থেকে আট-ন কোশ । 鱷 —বাড়ী-ঘর আছে সেখানে ? —কিছু নেই। আমরা গরীব লোক, খড়ের কুঁড়ে ছিল, ভেঙে গিয়েচে, ভিটেতে কিছু নেই —মস্ত এক ভালগাছ হয়ে আছে, সেবার দেখে এসেছিলামু । --আপনার জন কেউ নেই ? –এই যে বাবাঠাকুর, ভুল কথা বলে। আপনার জন নেই কেন, এই তুমিই তো আমার আপনার জন । গুরু-গোসাই সবাইকে আপন করে দিয়েচেন যে ! ক’দিন থাকবে ? —আর ছুদিন ছুটি অাছে মোট । —মোটে দুদিন ? তারপর চলে যাবা। দুঃখু দিতে আসে কেন বলে তো । তুমি চলে গেলে আমার বড় কষ্ট হবে দিন-কতক । বিকেলট কাটবে না । গুরু-গোসাইয়ের ইচ্ছা-•• বলে সে দীর্ঘশ্বাস ফেললে। সেই মুহূর্তে ও আমার বড় কাছে এসে পড়লো, আর দূরের লোক রইল না । বাকি দুদিনও রোজ বিকেলে ওখানে যাই। বুনোদের সেই ছোট ছেলে এরই মধ্যে নিজের হয়ে গিয়েচে । সে দেখি রান্নাঘরে আউশ চালের পান্ত ভাত বেগুনপোড়া আপনিই হাড়ি থেকে বেড়ে নিচ্চে দিব্যি। নিজের ঘরের মত। পাগল ঠাকুর আমায় নিয়ে ছোট ঘরের দাওয়ায় বসে আর গান করে । একতারা বাজিয়ে ওর বেস্করো গলায় যখন গান করে, তখন প্রতিদিন এই গঙ্গার চরে কোনো বিরাট দেবের জার্তিাব প্রত্যক্ষ করি.9দিকে বিষ্ণুপুর গ্রামের বঁাশবন, ঘোষপাড়ার বাবুদের লিচুবাগান—সব কেমন অদ্ভুত মনে হয়, সরাটির চরের কাশবনের পেছনে মন্ত আকাশটা লাল হয়ে ওঠে অস্তशूरfjब्र बांझांध्र ! জামার অল্প ৰয়েল বলেই হোক বা যে জন্তেই হোক, কি অদ্ভুত টান যে হয়ে উঠেছিল পাগল ঠাকুরের ওপর। এখন মনে ভাবলে আশ্চর্ঘ্য হই। বালোর লে কয়টি দিনের আনন্দ আর ফিরে পাবে না, তেমন ধরনের জানঙ্গও জার পাই নি কখনো । পাগল ঠাকুর গান থামিয়ে একতারা নামিয়ে রেখে একগাল হেলে ৰঙ্গলে—আনন্দ DDS BBD DDBD DD BBBB DDD DDDS DBSBBBD DDD DD