পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐानांथांङ्गणे ՓԵծ আমার সারা জীবন ওর দত্ত সহজ আনন্দের মন্ত্রে দীক্ষিত । যেবার বিবাহ করে মাসীমাকে নববধু দেখাতে গিয়েছিলাম ওঁদের গ্রামে, ভেবেছিলাম পাগল ঠাকুরের ওখানেও নিয়ে যাবে, আসল উদ্দেশ্য ছিল সেটাই—কিন্তু পাগল ঠাকুরকে আর দেখতে পাই নি । সেও এক বিকেলে গেলাম ওর আখড়াতে । বাবলা গাছের তলায় ওর সমাধি । ওদের সম্প্রদায়ে নাকি সমাধি দেওয়াই নিয়ম। মাটির একটা লম্বা টিবি, বাবলাফুল ঝরে ঝরে পড়েচে তার ওপর । কোনো শিষ্য কতকগুলো দোপাটি ফুলের গাছ রোপণ করে দিয়েচে মাটির ঢিবিটার চারিপাশে—পাগল ঠাকুরের নশ্বরদেহের হাড় ক’খানা ওরই তলায় মাটি মুড়ি দিয়ে আছে । ওকে এখানকার কেউ চিনলে না । আমার মাঙ্গীমা তো এত গীতাপাঠ করেন, মন্ত্ৰ জপ করেন, তিনিই বলেন—হঁ্যা বাবু, তোমার সেই পাগল ঠাকুর আজ বছর দুই হোলো মার। গিয়েচে । কে জানে, ওসব ছোটলোকের খবর রাখি নে, রাখবার সময়ও পাই নে— সেই বুড়ী কেবল বেঁচে আছে অtঙ্গও । তাকে সন্ধ্যের পিদিম জালতে দেখলাম সমাধির সামনে । রেড়ির তেলের মাটির পিদিম । খড়ের ঘরের খড় উড়ে পড়েচে । আখড়ার অবস্থা অতি খারাপ, কারো দৃষ্টি নেই এদিকে মনে হোলো। সংসারে এমনিই হয় । वि. ब्र. १-२4