পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ॐ ॐग्नर्थै; कथी कै७ \o হতে চাই। আবার কবে দেখা পাবো ? ওখান থেকে এসে সবাই গেলুম সভাস্থলে। ডাঃ অমিয় চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করলেন । আমার গলায় ফুলের মালা দিয়ে আমার রচনা সম্বন্ধে অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা অনেকে বল্লেন । গজেনবাবু ও মিঃ পালিত বল্লেন, আমার পথের পাচালী’ ও ‘অপরাজিত নাকি রোমা রোলার ‘জ ক্রিস্তফ’-এর চেয়েও বড় । দিব্যি জ্যোৎস্নারাত্রে কল্যাণী, উমা, বীরেন রায়, গজেনবাবু, মুমথবাবু সবাই মিলে একটা চায়ের দোকানে চ খেয়ে এলুম। উত্তাল সমুদ্রে স্বন্দর জ্যোৎস্নাউঠেচে, হু হু হাওয়া বইচে, ঘাকে বলে সত্যিকারের 'sea breeze' বা ডাচ Zee brugge' অর্থাৎ, সমুদ্রের হাওয়া । রাত্রে আবার ভীষণ বৃষ্টি। সকালে উমা ও’কল্যাণী সমূত্রে স্বান করতে গেল। ওরা সমূত্রে স্নান করে খুব খুশি হয়ে এল । একটু পরে বৃষ্টি কেটে গিয়ে বেশ রোদ উঠলো—উমাকে রেখে কল্যাণীকে নিয়ে আমি শ্রীমন্দির দর্শন করতে যাচ্চি, পথে ছাতার মঠ ও রাধাকান্ত মঠ দেখে বার হচ্চি, এমন সময় মহাদেববাবু পেছন থেকে ডাকচেন । সঙ্গে প্রতাপবাবু। আমরা গিয়ে এমার মঠ দেখি । ভারতবর্ষের মধ্যে এই মঠটি সবচেয়ে বিত্তশালী । কেমন নীচু-নীচু ঘরগুলি, দেওয়ালে নানারকম quaint ছবি আঁকা, পাথরের কাজকরা থাম, খাচায় টিয়া ময়না পাখী, শাস্ত পরিবেশ–যেন প্রাচীন ভারতবর্ষের কোনো রাজপ্রাসাদ । তারপর গেলুম মন্দির দেখতে । গজেনবাবুর মা সেখানে উপস্থিত, তিনি বল্লেন, রত্ববেদী দেখবার দেরি আছে একটু, বেীমাকে নিয়ে একটু বোসে । একটি সাধু ভাগবত পাঠ করচেন, সেখানে খানিকট বসি । তারপর মন্দিরের সব দিক ঘুরে ঘুরে দেখলুম বেলা ৰারোটা পৰ্য্যন্ত । মন্দির তো নয়, পাহাড়। ঐ আবার সেই কথা মনে পড়ে—প্রাচীন দিনের ভারতবর্ষ সেখানে যেন অচল হয়ে বাধা পড়েছে পাথরের বাধনে। গগনচুম্বী গম্ভীরা কি অসাধারণ শক্তি ও বিরাটত্বের পরিচয় দিচ্ছে । জগমোহনের কি গঠনভঙ্গি ! নাটমন্দিরের সরল ও সহজ স্থাপত্যের মধ্যে একটি সখ্য ভাব জড়ানো। ভোগগৃহের সামনে সেই স্তম্ভ বর্তমান আজও, যে স্তম্ভটিতে হাত দিয়ে দাড়িয়ে ঐচৈতন্য প্রতিদিন জগন্নাথ দৰ্শন করতেন। পাণ্ডারা এক জায়গায় তার হাতের আঙলের ছাপ দেখায়—আমার বিশ্বাস হোল না যে সে তার আঙুলের ছাপ—আর দেখালেই বা কি । ঐচৈতন্য এসেছিলেন অধ্যাত্ম বিষয়ে পথ দেখাতে, ধৰ্ম্ম-উপদেশ দিতে । * তার প্রচারিত নামধর্মের মাহাত্ম্য যদি কেউ ভাল না বোঝে, তবে তার হাতের আঙুলের ছাপ দেখে সে কোন স্বর্গে যাবে ? মন্দির দেখতে বেজে গেল সাড়ে বারোটা । কিছু কিছু মিষ্টান্ন ভোগ কিনে উমার জন্যে বাড়ী আনা গেল। ভোগ আসতে বড় দেরি হয়, আজও হোল—বেলা সাড়ে চারটার সময় ভোগ এল । আজ সমুদ্রের উত্তাল রূপ। ঝড়বৃষ্টি কেটে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়েচে, স্বনীল সমুদ্র