পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cई स्राब्रभा कथां कe §s $ সব মুচিপাড়ায় গিয়ে জুতো দেখলে । বৃন্দাবন মল্লিক এসে রামকৃষ্ণ মিশন লাইব্রেরীতে নিয়ে গেল । চক্রতীর্থে জ্যোৎস্নায় বেলাভূমির বালুর ওপর বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পরে ফিরে এলুম আমার বাসায়। কত রাত পৰ্য্যস্ত সেখানে আডডা । বীরেন রায় একবার এক বড় বুদ্ধমূৰ্ত্তি জঙ্গলের মধ্যে কি ভাবে আবিষ্কার করেছিলেন, সে গল্প করলেন । হঠাৎ বুদ্ধের ধ্যান-প্রশাস্ত সুন্দর মুখ দেখে বলে উঠলেন, বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, সজ্যং শরণং গচ্ছামি, ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি । চেনাকানল স্টেটে এক প্রাচীন মন্দির দেখতে গিয়ে উনি পড়েছিলেন king cobra-র হাতে । ভগবান সৰ্ব্বভূতে আছেন ভেবে হঠাৎ নাকি মহিমস্তোত্র আবৃত্তি করতে আরম্ভ করলেন চোখ বুজে। অনেকক্ষণ পরে চোখ খুলে দেখলেন সর্প অদৃপ্ত হয়েচে । 密 দুপুরের পরে শঙ্কর মঠে গিয়ে একটি চমৎকার গোপালমূৰ্ত্তি দর্শন করলুম। দোর বন্ধ রয়েচে দেখে আমি দোর খুলে গিয়ে মেজেতে চুপ করে বসলুম—কেমন একটি স্বভ্রাণ বেরুচ্ছে পুপ ও চন্দনের । শ্বেত প্রস্তরের মেজেতে ঠাণ্ডা ও শাস্ত পরিবেশের মধ্যে গোপালের মূৰ্ত্তির সামনে বসে রইলুম কতক্ষণ । সকালে উঠে সামনের ঘরের বুড়ো-বুড়ীকে নিয়ে হরিদাস ঠাকুরের মঠে গেলুম ও পুরুষোত্তম মঠে অনেকক্ষণ ধরে ধৰ্ম্ম-উপদেশ শুনলুম। ‘যা নিশা সৰ্ব্বভূতানাং তস্তাং জাগত্তি সংযমী’। সৰ্ব্বদা জেগে থাকতে হবে। আলপ্তই পাপ । আসবার সময় শঙ্কর মঠের শ্ৰীগোপাল বিগ্রহ দেখে চলে এলুম। ছোট ঘরটিতে পুপ চন্দনের স্ববাস । আহারের পর একটু বিশ্রাম করে কল্যাণী ও উমাকে নিয়ে যাচ্ছি—একটি বাড়ীতে কথকতা হচ্চে ‘প্রহ্লাদ-চরিত্র’-এর। অনেকক্ষণ বসে শুনলুম। মন্দিরের কাছে হরিদাস ঠাকুরের সিদ্ধ বকুল দেখতে গেলুম। ৫-০ বছরের পুরোনো বকুল গাছ আজও দাড়িয়ে! মোহাস্ত মহারাজের সঙ্গে আলাপ হোল । কলকাতার একটি স্বন্দরী মহিলাকে ‘মা’ বলে মনটাতে বড় তক্তি হোল । আজ সকালে বীরেন রায়ের বাড়ী বলে তার দুর্লভ প্রত্নতাত্বিক সংগ্রহাবলী দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হোল, আজ না পয়লা আষাঢ়। চলুন গিয়ে কালিদাস উৎসব করা যাক। এমন সময়ে এল বৃন্দাবন মল্লিক, বঙ্গে—আপনি বলেছিলেন ‘দেবযান পাঠ করবেন লাইব্রেরীতে—অনেক লোক এসে বসে আছে। গেলুম। যাবার আগে সিদ্ধেশ্বরবাবুদের বাড়ী রমা ভিলা'তে গিয়ে খানিকটা বললাম। ১৯২৩ সালে একবার সিদ্ধেশ্বরবাবুদের বাড়ী থেকে এখানে আসবার কথাবার্তা সব ঠিক, আমি আমার মেস থেকে বাল্পবিছানা সব বেঁধে নতুন একটা শতরঞ্চি কিনে (যখন কিনি স্কুলার কাক আবার তখন সেখানে উপস্থিত ) মুটের মাথায় চাপিয়ে ওদের বাড়ী এসে দেখি সিদ্ধেশ্বরবাবুর জর হয়েছে, যাওয়া হবে না। ১৯২৪ সালের পৌষ মালে আর একবার ওরা वि. ब्र, १-२७