পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ई यद्भ6ा कथों कe g) বাইবেলের বহু চরিত্রই এই ঘন জঙ্গলে মাটি কাটচে, সবাই মেয়েছেলে । 'কুই’ এদেশে হে। ভাষায় কুমারী মেয়ের নামের শেষে বলে । বর্ষাকালে দু'মাস গ্রামের লোক জংলী ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকে। এখানে বলে “কান্দা” । নানারকম মিষ্ট কন্দও নাকি আছে। তাছাড়া জংলি আম, বেল ও কাঠডুমুরের পাকা ফলও বনে মেলে। কাঠডুমুর (Ficus Cunia ) বাংলাদেশে নেই—এই অঞ্চল ছাড়া অন্যত্র কোথাও দেখিনি। প্রেমানন্দ গ্রামের মুণ্ডারি বা সর্দার। বল্লে-এখানে চালের বড়ই কষ্ট, বোনাই স্টেটে /৬ সের চাল টাকায়, কিন্তু এখানে আনতে দেয় না হুজুর । পথের মধ্যে বোনাই আর সারেণ্ডার সীমানায় সিপাই বসিয়ে রেখেচে । 曾孙 চলে এলুম। একটা ঝর্ণ গ্রামের মধ্যে দিয়ে বইচে—এর নাম বিটকেল সোয়া নালা, আসলে এই গ্রামের নামেই এর নাম স্বচ্ছন্দগতি নৃত্যপরায়ণ বন্য নদীর নাম আর কি ক’রে হবে ! এই একমাত্র লোকালয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে আবার নাচতে নাচতে ঢুকে পড়লো বোনাই স্টেটের অরণ্যভূমিতে। তার এই নাম বেলা বারোটা । আমরা ফিরলুম, চমৎকার শান্ত গ্রামখানি । এই ঘন বনের মধ্যে এর জন্ম ও মরণ। বিস্রার বাজার থেকে চিনি, আটা, তেল আনে। বিস্তুর ষোল মাইল দূর এখান থেকে। মহুয়ার তেল খায়, ও নাকি ঘি’র মত, খামুয়েল মানকি বল্পে ৷ খ্ৰীষ্টান হয়েচে বটে কিন্তু অমুখ হোলে বনে গিয়ে লুকিয়ে বোংগা পুজো করে । ফিরে এলুম বনের পথ দিয়ে। স্নান করেই খেয়ে তখুনি আবার মোটরে বার হই টোয়েবু নামে একটি নিবিড় বনে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত দেখতে । তিরিলপোসি বাংলো থেকে থলকোবাদের পথে চার মাইল গিয়ে গাড়ি রেখে হেঁটে চলুম বনের মধ্যে । সঙ্গে ফরেস্টার খুণ্টিয়া, দুজন ফরেস্ট গার্ড, মিঃ সিনহা । বনে অত্যন্ত আগাছা, বিশেষতঃ সেদিনকার সেই ওকড়া জাতীয় ফল । ক্রমশ: নিবিড় থেকে নিবিড়তর বনে ঢুকে গেলুম। এমন বনের চেহারা এই সারেণ্ডাতেও আর দেখিনি। কিন্তু অদ্ভুত সৌন্দৰ্য্য সে ঘোর বনের। বিশাল বনস্পতি-শীর্ষে কমপ্রিটাম ডিকেনড্রামের সাদা পাতা গজিয়ে ঠিক ফুলের মত দেখাচ্চে, এ লতা যে অত উচুতে উঠতে পারে তা জানতাম না। একস্থানে স্বড়িপথের দুধারে নদী কাঠান নামক এদেশী গাছের জঙ্গল, বড় বড় আমগাছ, শালগাছ, মোটা মোটা লতা ডালে পালায় জড়িয়ে দুর্ভেদ্য ও ছন্দ্রবেগু করে রেখেচে বনভূমি । ভয় হয় এ বনে ঢুকতে, বিশেষত যে রকম হাতী আর বাঘের ভয় বনে। এক এক স্থানে স্বড়িপথটুকু ছাড়া ডাইনে বঁায়ে কিছুই দেখা যায় না। চলেচি, পথ আর ফুরোয় না। ওকড়া জাতীয় শুকনো ফল সারা গা এমন কি মাথার চুলে পৰ্য্যন্ত আটকে যাচ্চে। কোথাও নিবিড় সেগুন বন, কোথাও জলাভূমি, কোথাও কাঁটাবন, পথ নেই বল্লেই হয়। একস্থানে নরম মাটিতে মস্ত বড় বাঘের পায়ের থাবা অঁাকা । হাতীর নাদ আর পায়ের দাগ তো সব্ব । বাইসনের পায়ের দাগও আছে। এক জায়গায় ফরেস্ট গার্ড দুটি দাড়িয়ে বনের দিকে চেয়ে আপনাদের মধ্যে কি বলতে লাগলো। কি ব্যাপার ? বাঘ দেখেচে নাকি,