পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cई अङ्ग*ी कधी कं७ sèe এল তার স্বামীর সদ্য-মোচড়ানো ঘাড়টা। সেই থেকে বঙ্ক অপদেবতার ভয়ে এখানে কেউ মাছ ধরতে আসে না। অথচ মাছ নাকি খুব আছে । আমাদের সামনে জলাশয়ের ওপারে প্রায় সত্তর আশি ফুট লৌহ-প্রস্তরের (Hematite quartzite ) অনাবৃত দেয়াল খাড়া উঠেচে, তার শীর্ষে অপরান্থের হলদে রোদ, তার গায়ে গাছের মোটা মোট শেকড় ঝুলচে । বড় বড় ঝুলন্ত পাথরের চাই জায়গায় জায়গায় যেন মোট শেকড়ের বাধনে আটকে আছে ফাটলের গায়ে । এই পাহাড়ের দেয়ালের বঁাদিকে প্রায় গাত আট ফুট চওড়া জলধারা দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে সশকে প্রায় ২৫ ফুট ওপর থেকে নীচের বস্ত অপদেবতার লীলাভূমি সেই সরোবরটাতে পড়চে । এই স্থানটি নিবিড় বনে ঘেরা, একটা সংকীর্ণ গহবরের বা বড় ইদারার মত—যেন ইদারার মধ্যে বসে মাথার দিকে চেয়ে আছি। বড় বড় আম, গাচাকেন্দু বা গাবগাছ, বেত, ফার্ণ, লম্বা লম্ব তৃণ, লুদাম, করও আরও অসংখ্য বস্ত গাছে ছায়ানিবিড়। জলপতনধ্বনি দ্বারা দ্বিখণ্ডিত সেই গম্ভীর অরণ্যনিঃশব্দত স্বদুর অতীতের কথা, অন্তরের কথা, বিশ্বদেবের স্বষ্টি-বৈচিত্র্যের কথাই কানে কানে বলে, সমাহিত মনে শুনতে হয় । এই রকম জলাশয় সম্বন্ধেই কর্ণেল ভলটনের সেই উক্তিটি খাটে —“Pools, shaded and rock-bound in which Diana and nymphs might have deported themselves.” অনম্ভের মৌন ইতিহাস এখানে আঁকা আছে পাথরের দেওয়ালের স্তরে স্তরে । বৈদিক আৰ্য্য ঋষিদের আমলেও এই ঝর্ণ ঠিক এমনি পড়তে ঘোর বনের মধ্যে, লোকচক্ষুর অন্তরালে এখানে লক্ষ লক্ষ পূর্ণিমার চাদ উঠেচে, লক্ষ লক্ষ অমাবস্তার ঘোর অন্ধকার হয়েছে, বস্ত-জন্তুর বংশের পর বংশ নিৰ্ভয়ে জলপান করেচে–রেল হবার আগে, বন বিভাগের স্থষ্টি হওয়ার আগে বস্ত লোক ছাড়া অন্য কারো চোখেই পড়েনি এ সৌন্দৰ্য্যভূমি। কে আসবে মরতে পথহীন জঙ্গলে, জানেই বা কে, খোজই বা করত কে ? এই বিংশ শতাব্দীতেও এ স্থান নিকটবৰ্ত্তী রেলস্টেশন থেকে বনপথে একুশ মাইল । তার মধ্যে তেরো মাইল নিবিড় বনানী, শেষের চার মাইল নিবিড়তর বন, যার মধ্যে দিয়ে কোন সময়েই দলবদ্ধ না হয়ে বা উপযুক্ত পথ-প্রদর্শক না নিয়ে কখনই আসা উচিত নয়। পথ হারিয়ে যাবার খুবই সস্তাবনা, একবার পথ হারিয়ে গেলে জনমানবের চিহ্নহীন এই ঘোর জঙ্গলের মধ্যে বস্তহস্তীর পদতলে, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখে প্রাণ হারাতে হবে। অথচ কি সৌন্দৰ্য-ভূমিই লুকিয়ে রেখেচে প্রকৃতিদেবী মানবচক্ষুর অন্তরালে। হলদে রোদ রাঙা হয়ে আসচে, জার থাকা ঠিক নয়। সবাই ব্যস্ত হয়ে উঠল। নিবিড় পথে চার মাইল গিয়ে মোটরে উঠতে হবে। এই পড়ন্ত বেলাতে হাতী বাঘ বেরিয়ে থাকে সাধারণত । রওনা হয়ে ঝর্ণার ওপারের দিকটাতে চওড়া পাখরের ওপর অনেকটা বসলুম। কতদূর লৌহগ্রস্তরের তৈরী ঢালু পৰ্ব্বতগাত্ৰ বেয়ে ৰণাট নীচে নেমে ওই জলপ্রপাতের ও বর্ণার স্বাক্ট করচে। এ আর একটি অপূৰ্ব্ব স্থান কিন্তু আর বলা চলে না। আবার সেই দুর্গম পথে রওনা হলাম। পথে সেই ঘাসের কুটিরগুলির স্থানে এলে মনে হোল বড় চমৎকার, এখানেই থেকে যাই । সেগুনের জঙ্গলের মধ্যে নরম बैि. ब. १-२v