পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cछ् षद्मं] ब्धंीं क७ 662 mendeandia exerts, এই গাছই এ দেশে সৰ্ব্বত্র, দেখতে চাপা গাছের মত। ছেলেটির নাম দিবাকর দাস, হিন্দিতে কথা বলে, জাতে র্তাতি। এদেশে হিন্দু হোলেই তাতি হবে, নয়তো গোসাই হবে । বাকী সব হো আর মুণ্ডা। ভাষা হো ছাড়া আর কিছু নেই—তবে একটু শিক্ষিত লোকে হিন্দী জানে। ছোকর চাকুরী চায় এক্সপোর্ট নাকার গার্ড। বলে দিলুম চাকুরীর জন্তে । যদি ওর হয় বড় আনন্দ হবে আমার । কোলবোংগা গ্রামে সেই গোসাই-এর বাড়ীটা ওই পাহাড়ের মাথায় । তারপর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে অনেকদূর গেলুম । সেদিন যে নদীগর্ভে বসে চ খেয়েছিলুম পাথরের ওপর, তার নামটি বেশ ভাল—‘মহাদেব শাল । ওটা পার হয়ে বনের মধ্যে ঢুকে ঘন লতা-দোলানো নিবিড় জঙ্গলের পথে আবার দুটি নদী পার হলুম—বড় বড় পাথরের ওপর দিয়ে গভীর বনচ্ছায়ায় কুলুকুলু শব্দে বয়ে চলেচে। সকালে কত কি পাখী ডাকচে বনে বনে । নিস্তন্ধ বনানী, একই দৃপ্ত সারেওরি ঘনজঙ্গলে । সাড়ে পাচ মাইল মাত্র দূর মনোহরপুর স্টেশন থেকে অথচ কি নিবিড় বন। ধলভূমে এমন বন নেই কোথাও । ابيه ফিরে আসতে কোইন নদীর ধারে এক্সপোর্ট নাকার আপিসে তদারক করতে দেরি হয়ে গেল। বাড়ী ফিরে স্বান করে কিছু বিশ্রাম করলুম। পাহাড়ের ওপর বাংলোর পিছনে গিয়ে বসি রাঙা রোদভরা বিকেলে । চারিদিকে স্তরে স্তরে ঘন নীল শৈলশ্রেণী, একটার পেছনে আর একট, তার পেছনে আর একট, থৈ থৈ করচে শুধুই পাহাড়। ডাইনে খুব উচু একটা পাহাড়ের গায়ে রাঙা লৌহপ্রস্তর বার হয়ে আছে—ঐ হোল চিড়িয়া খনি। বেঙ্গল স্টীল কোম্পানী ওখান থেকে লৌহপ্রস্তর কেটে এনে রেলযোগে মনোহরপুর এনে ফেলচে স্টেশনের পাশে। কত কথা মনে পড়লো পড়ন্ত রোদে দূরের শৈল-শ্রেণীর দিকে চেয়ে। কল্যাণী রয়েচে কতদূরে, কি এখন করচে, ওর জন্যে মন হয়েছে ব্যস্ত। আর পাঁচদিন কোনরকমে কাটালে হয়। গৌরীর কথা—আজ ২১শে নভেম্বর, সেই ২ নং শ্ৰীগোপাল মল্লিক লেনে এই সময় প্রথম গিয়েচি, সেই উদ্বেগ, যতবার আলো জালাইতে যাই সেই গানটার কথা। এই সময়েই সে মারা যায়। জাহ্নবীর কথা—সেও এই সময়, বোধ হয় আজই হবে । আজই আবার গোপালনগরের হাট, এতক্ষণে পঞ্চামাস্টার বেগুন বিক্রী করচে, মনে খুড়োর দোকানে লেগেচে ভিড় । সেই ছায়াভরা বনপথে ছোট এড়াঞ্চির ফুল ফুটেচে হয় তো। ১৯৩৫ সালে আজকার দিনে আশুতোষ হলে কবি নোগুচির বক্তৃতা শুনেছিলুম আর ভেবেছিলুম গ্রামের নাজন হয়তো নদীর ধারে মাঠে কলা-বেগুনের ক্ষেতে গরু চরাচ্চে। আজও তাই ভাবচি, দূরে গেলেই দেশের কথা আমার মনে পড়ে। কল্যাণী দেশে যেতে চায়, ওকে নিয়ে যাবে। বিকেলে মিঃ সিন্‌হা, আমি ও হরজীবন পাঠক আশ্রমে বেড়াতে গেলুম। স্বন্দর লতাবিতান, কত ফুল ফলের গাছ। নদীর ধারে নিভৃত কুটির মধ্যে বিশ্রামের জন্য বেদী, হেন ফুলের সৌরভ। পবিত্র পুরনো তপোবনের শান্ত পরিবেশ। খাটি ভারতীয় সভ্যতা ও আবহাওয়া । নৃসিংহ দাস বাবাজির সমাধি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেচে, সেখানে তার চেলা