পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ বিভূতি-রচনাবলী প্রজ্ঞাত্ৰত সকলকে বলিল, যদুবাৰু গ্লোব রেস্ট রেন্টে বসিয়া মনের সাধে চপ-কাটলেট খাইতেছিলেন, সে পথ দিয়া যাইবার সময় দেখিয়াছে। তাহাকে যে খাওয়াইয়াছেন, সে কথা প্রকাশ করিল না। যদুবাবু ফোর্থ ক্লাসে তৃতীয় ঘণ্টায় পড়াইতে গিয়া দেখিলেন, র্যাকবোর্ডে লেখা আছে— গ্লোব রেস্টুরেন্ট, চপ এক আনা, মুগির কাটলেট দশ পয়সা । জু হইতে ফিরিবার পথে সকলে থাইয়া যান ! যদুবাবু দেখিয়াও দেখিলেন না। টিফিনের ঘণ্টায় প্রজ্ঞাব্রতকে আড়ালে ডাকিয়া বলিলেন, ওসব কে লিখেছে বোর্ডে ? তুই কিছু বলেছিল ? সে বলিল, না স্তার, আমি কাউকে বলি নি। " — অfর কেউ দেখেছিল আমাকে, বললে কেউ } —তাও স্তার আমি জানি না – মি: আলমের চোখে লেখাটি পড়িল টিফিনের পরের ঘণ্টায়। মিঃ আলম কুটবুদ্ধিসম্পন্ন লোক, জিজ্ঞাসা করিল, এসব কী ? ছেলেরা পরস্পর গা-টেপাটপি করিল। দুইজন বইয়ের আড়ালে মুখ লুকাইয়। হাসিল। —কী, বল না । মনিটার ! একজন লম্বা ছেলে উঠিয়া বলিল, কী স্তার } —এ কে লিখেচে ? —দেখি নিস্তার। —স্থ । কাল তোরা জুতে গিয়েছিলি কার সঙ্গে ? —যদুবাবু ও ক্ষেত্রবাবুর সঙ্গে গিয়েছিলাম। তবে ক্ষেত্রবাবু কালীঘাট চলে গেলেন, যদুবাবু ছিলেন। মি: আলম জেরা করিয়া সুগ্ৰহ করিলেন, তাহারা কী খাইয়াছিল, কত দূর ট্রামে গিয়াছিল ইত্যাদি। হেডমাস্টারকে আসিয়াবলিলেন,কালক টাকাদিয়েছিলেন তার যদুবাবুকে । ছেলেরা তো দু টুকরো রুটি আর মাখন খেয়েচে, যাবার সময় একবারই ট্রামে গিয়েছিল, আর এসেছিল মিউজিয়াম পৰ্য্যস্ত। আর কোনও খরচ হয় নি। —তিন টাকা ট্রামভাড়া আর পাচ টাকা টিফিন—ঘন্ধুবাবু আট টাকা দশ আনার বিল দিয়েচে । - e —স্তার, আপনি অনুসন্ধানের ভার যদি আমার ওপর দেন, আমি প্রমাণ করব—যদুবাৰু স্কুলের টাকা চুরি করেছেন। উনি নিজে ফেরবার পথে চপ-কাটলেট খেয়েচেন দোকানে বসে, ফোর্থ ক্লাসের প্রজ্ঞাব্রত দেখেচে । সে আপনার কাছে সব বলতে রাজী হয়েচে । ডেকে নিয়ে আীস তাকে যদি বলেন। ঘন্ধুবাবু, শিক্ষকের উপযুক্ত কাজ করেন নি, ছেলেদের খাওয়ান নি অথচ স্কুলে বাড়তি বিল দিয়েচেন-এ একটা গুরুতর অপরাধ। আমার ধারণ