পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅéՀ विकूडि-ब्रध्नांदणेों ১৯৯৪ সালের সেই vসরস্বতী পূজা । আমার একেবারে শৈশব তখন—অস্পষ্ট মনে হয় একটু একটু । কুঠার মাঠের গাছপালা বনঝোপের কি চমৎকার শোভা। পেয়ারাতলায় বসে ভগবানের কথা চিন্তা করলুম। কাছিম কাটচে সাইবাবলা তলার ঘাটে। ওপারের ঘাটে গিয়ে স্বান করলুম। তারপর বুধে ঘোষের খামারে আমার ধান বাড়া ও মাড়া হচ্চে, সেখানে গেলুম। একজন হাটপরা লোক যাচ্চে হরিপদদার বাড়ীতে—তাকে ডেকে এনে বসালুম। হাটে গেলুম বিকেলে— লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মুখ ব্যথা ! তিনটি ঘটনা বড় ভাল লাগলো এবার গ্রামে । বড় চারা আমগাছ তলায় নিবিড় ঝোপে শুধু পজরাশির ওপর এক বলে বনপুপ স্ববাসের মধ্যে রোজ দুপুরে কত কথা চিন্তা করতুম, কত কি পাখি ডাকত বনে, ভগবানের দানের মত কোথাও আমড়া পড়তে, গান গাইতুম ‘তব আসন পাতা এ বনতলে’—আমারই তৈরী গান, এবং ওর ওই একটিই লাইন । গান তৈরী করতে তো জানি না ! দ্বিতীয় ঘটনা—বিকেলে গিয়েচি ঘুমিয়ে উঠে বরোজপোতার বঁাশবাগানে বেড়াতে । শুকনো বাশের পাতা পড়ে আছে সৰ্ব্বত্র। হঠাৎ দেখি এক অপূৰ্ব্ব ছবি—সি দুর-কোটাে আমগাছটার পাশে একটা চারা সজনে গাছের একটা মাত্র ভালে খোলো থোলো সজনে ফুল ফুটেচে, তারই পাশে মি দুর-কোটো আমভালে একটা চিল বসে আছে—ওদের ওপরে নীল আকাশ। যেন চীনা চিত্রকরের ছবি একখানা। কতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলুম, পা আর ওঠে না। ফিরে এসে ইদুর সঙ্গে সঙ্গে আবার বারিকের বাড়ী গেলুম চালকীতে। স্থধ্য অস্ত যাচ্চে, আমি ওর উঠোনে গরুর গাড়ীর ওপর বসে তামাক খাচ্চি কলকে হাতে। তারপরে পাক রাস্তার ওপরে মুচিপাড়ায় সজনে সাকোতে গিয়ে বসে আমডোবের গল্প শুনি ইদুর মুখে । তৃতীয় ঘটনা এইটিই। কোথায় টাটানগরের সভা সেদিনকার, কোথায় সারেও বন কাস্তারের শৈলমালা —আর কোথায় চালকী গ্রামে আমার প্রজা বারিকের বাড়ীতে গরুর গাড়ীর ওপর বসে তামাক খাওয়া — পরদিনও বিকেলে বারিকের বাড়ী যাবার আগে প্রমোদের বাবার সঙ্গে কথা বলি । তিনি তামাক খাওয়ালেন। অন্ন বলে মেয়েটির শ্বশুর। কত নিন্দে করলেন কুটুম্ব-বাড়ীর । উনি জয়ে পড়ে আছেন, ওঁকে দেখে না—ইত্যাদি। বারিকের বাড়ী গিয়ে খুব বকবকি করলুম ধান দিচ্ছে না বলে। ওখান থেকে সোজা চলে এলুম কুঠীর মাঠে অপূৰ্ব্ব বনপথে, কণ্টৰ-লতার পুষ্পের স্বৰ্গদ্ধের মধ্যে। আগে বসলুম নদীর তীরে নিবারণ ঘোষের বেগুন ক্ষেতের জমিতে, যেখানে আর বছর আমি আর কল্যাণী নতি শাক তুলতে আসতুম। তারপর এখান থেকে স্বাঠের মধ্যে জলার ধারে। রোজ একেবারে রাঙা হয়ে এলেচে, শিমূল গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে, শীত আজ অনেক কম। ফুল পেকেচে গাছে গাছে—অনেক পেড়ে খেলুম-কিছু নিয়ে এলুম ইন্দ্র রায়ের ছেলেমেয়ের জন্তে। ফিরবার পথে অন্ধকাৰ সন্ধ্যায় DBBDD DD D DBBB SLBB BDD DB BBD DD D BBB DD DDBBS DD DD Dtg BBBB DDD DBB DDBB BBBS DD BBD DDD DBBB