পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@愈够 বিভূতি-রচনাবলী বেলা হয়েচে, পথ হেঁটে গিদেও পেয়েচে । কয়রাসাই গ্রামের পাশে একটা কালো পাথরের পাহাড়ের নিচে একটা কুলগাছ, অনেক কুল পেকেচে দেখে সেখানে কুল কুডুতে গেলাম। পথে কতকগুলি ছেলে স্কুলে যাচ্চে, কয়রাসাই গ্রামে একটা পাঠশালা দেখে এসেচি বটে পথের ধারে । আমরা ছেলেদের নাম জিজ্ঞাসা করলুম। একজন বল্পে—তার নাম দিবাকর র্তাতি। একজনের নাম ধন্থধৰ্ব বাস্কে । —কি জাত ? -शंYछ छांउ | এই সময়ে একটু একটু বৃষ্টি পড়তে লাগলো। আমাদের সামনে ডানদিকে জোজুডি শিখরদেশ (২••• ফুট) দেখা যাচ্চে, দূরে নারদ (১৭৩৬ ফুট) শিখর। সামনের শৈলমালার ওপারেই ময়ূরভঞ্জ, অগণ্য বস্তহস্তী ঐ সব পাহাড়ে। দিন থাকতে থাকতে দুবলাবেড়া পৌছুলে বাচি । কোয়ালি গ্রামে পৌঁছে গেলুম তখন বেলা একটা । এক কুম্ভকারের বাড়ীতে আশ্রয় নিলুম বৃষ্টির সময় । তাদের খোলার চালা, মাটির দেওয়াল । মেয়েদের হাতে রূপোর অলংকার । কপালে সিন্ধুর। কথা বাংলাই—তবে বডড বাকা বাকা এবং একটু উড়িয়া-ঘেঁষা। ওরা মুড়ি খাওয়ালে তেলম্বন দিয়ে মেখে এনে। হঠাৎ এক বৃদ্ধ উড়িয়া ব্রাহ্মণ এসে ভিক্ষা চাইলো। তার নাম বাইধর মিশ্র, বাড়ী পুরীর কাছে মালতী-পাতপুর । ওর বারো বছরের ছেলে বাড়ী থেকে আজ দু-তিন মাস ভিক্ষে করতে বেরিয়েচে এবং খবর পাওয়া গিয়েচে ছোকরা সিংডুমে এসেচে। তাই বাইধর খুঁজতে বেরিয়েচে ছেলেকে। হলুদপুকুর স্টেশনে গিয়ে নেমে গায়ে গায়ে বেড়াচ্চে । উড়িয়া ভাষায় বল্লে—কাল রাতে এক মগুলের বাড়ী উঠেছিলুম, এমন ঝড়বৃষ্টি এল, ভাত রান্না করতে পারলুম না। কিছু খাইনি রাত্রে। ওকে আমরা কিছু পয়সা ও মুড়ি দিলাম। একটু তেল দিলাম, ও একটা ফাপা বাশের লাঠির মধ্যে তেলটুকু পুরে নিলে। কি স্বন্দর সরল বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ। হেসে বল্লে—বাবু, বাড়িকে বাড়ি, চুঙ্গাকে চুঙ্গা। খুব খুশী। আমরা কোয়ালি থেকে বৃষ্টি থামলে বেরিয়ে গুরুরা নদী পার হলুম। ( রাখা মাইনসের সেই গুরুর নদী, এখানে ছাৎনা পাহাড় থেকে বেরিয়েচে ) তারপর বন ও জঙ্গলের পথে এলুম হরিনা গ্রামের মহাদেব স্থানে। এই বনের মধ্যে এক ভাঙা মন্দির, চারিদিকে বট, আমলকী, পলাশ, বিশ্ব প্রভৃতি বৃক্ষরাজি, মানুষের হাতের নয়, স্বাভাবিক বন । দেবস্থান বলে লোকে কাটোন । ওখানে একটু বিশ্রাম করে নিয়ে আবার পথে বেরুই। পথ চলার আনন্দ এমন একটা নেশা আনে মনে, ছোট্ট একটা বন দেখলেও মনে হয় অদ্ভুত জিনিস দেখচি। বাহাজগৎকে গ্রহণ করে যে মন, সে শুধু উপভোগ করে ক্ষান্ত থাকে না, ত্বটিও করে। গুৰুর, নদী পার হৰায় পরে আর একটা ক্ষুদ্র নদী পেলুম, সেটা পার হয়ে বেগ নাড়ি এাম। সামনের পাহাড়ে খারিয়া জাতিরা জুম চাষ করচে বন কেটে, বোধ হয় সে বঁাক জায়গাতে খড় হয়েচে, শুষ্ক খড়ের ক্ষেত রাঙা রাঙা দেখাচ্চে, বেগনাড়ি গ্রামের পাশ্ব দিয়ে SDS DBBBB BB BB BB BB BBBS BBBBS BBBBS BBS BBS BBB