পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cङ् अब्रव्T कधी कe 84ר দেখছিলুম মেয়েদের লিখিতে লিঙ্গুর, পরনে শাড়ী—এখানে দেখলুম মেয়েদের মোটা হাতবোন কাপড় দ্বাদুকরো জড়ানো-হে বা সাওতালদের ধরনে। অনেক টোমটাে ক্ষেত পথের পাশে । 尊 একটি বৃদ্ধ মহিষ চরাচ্চে, তাকে বল্লাম—দুবলাবেড়া কতদূর ? সে বল্লে—সামনে মাগুরু আর নেংগাম লাগালাগি, নেংগাম আর দুবলাবেড়া ভিড়ভিড়ি । নতুন ভাষা শিখলাম। ভিড়াভিড়ি মানে কাছাকাছি, কিন্তু এখানেই গোলমাল । ১৪ মাইল পথ তখন ইটো হয়ে গিয়েচে, ক্ষুধাৰ্ত্ত ও তৃষ্ণাৰ্ত্তও বটে—সে অবস্থায় এ দেশের লোকের মুখে ভিড়াভিড়ি শুনে খুব আশ্বস্ত হলুম না। এরা তিন মাইলকেও কাছাকাছি বলতে পারে। একটা পাহাড় দেখিয়ে বল্লে—ঐ পাহাড়টা দেখচিল, ঐ পাহাড়টা ঘুরে যেতে হবেক । এ জায়গাটি চেয়ে দেখি বড় চমৎকার। তিনদিকে শৈলমালা ও নিৰিড় বন আমাদের পথকে ঘিরেচে অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে, অবিপ্তি দূরে দূরে। জোঙ্গুড়ি শিখরদেশ আর দেখা যায় না, নারদ peak ডাইনে বহু পিছনে অস্পষ্ট দেখা যাচ্চে, রোদ ফুটেচে পশ্চিম গগনে, অথচ বাদিকের ছাতনা ও আটকুশী শৈলমাল সাদা কুয়াশার মত মেঘে ঢাকা । যেন দার্জিলিংয়ের কুয়াশা। ঠাও। হাওয়া বইচে সেদিক থেকে । একদিকে শাল কেঁদবন পথের পাশেই। বড় বড় শিলাখণ্ড সৰ্ব্বত্র। পাহাড়টা খুব উচু, ঘরে যাবার সময় বা পাশে পৰ্ব্বতসামুতে বনশোভা বেশ দেখালো পড়ন্ত রোদে । পাকা কুল খেতে খেতে যাচ্চে একদল বন্ত মেয়ে। দুবলাবেড়া তাঁবুতে পৌঁছলাম বেলা পাঁচটাতে। পাহাড়ের নিম্নসামুর বন যেখানে শেষ হয়েচে, সেইখানেই তাৰু পাতা । মিঃ বারোজ, র্তাবুতে বলে মি: সিন্‌হার সঙ্গে গল্প করচে। বল্পে—পথে বৃষ্টির জন্যে মোটর পাঠাতে পারিনি, এখন পাঠাচ্ছিলাম। চা ও খাবার খেয়ে ধড়ে প্রাণ এল । রাত্রে একটু জ্যোৎস্ব উঠলো। কি শোভাই হোল তাবুর পেছনের পর্বতসামুর বনের । শালগাছ নেই এ বনে। কেঁদ, পড়াশি, শিবগাছ, কুল, কমপ্রিটাম লতা, বড় বড় বিরাটকায় শিলাখণ্ডের ওপর টেরি লতা ও মোটা মোটা চীহড় লতার ঘন ঝোপ, আমলকী, নিম ইত্যাদি নিয়ে জঙ্গলট । বৈচিত্র্য আছে এ বনে, একঘেয়ে শালবন বড় খারাপ । মিঠাই ঝর্ণার ওপারে লখাইডি গ্রামে খাড়িয়া জাতির বাস । তাদের মাদল বাজচে জ্যোৎস্না রাত্রে । এ একেবারে বন্ত জায়গা, বারোজ বল্পে, বড় বুনো হাতীর উপদ্রব। গত বৎসর বস্ত হস্তীতে নিকটের কেরু-কোচা গ্রামের একটা লোককে মেরে ফেলেছিল।" কি স্বন্দর বনশোভা । জ্যোংঙ্গা পড়েচে উপত্যকার ওপারের আটকুলী শৈলশ্রেণীর একদিকের ঢালুতে–এ যেন বনপরীর দেশটি। শিউলি গাছের জঙ্গল তাবুর পেছনে শৈলসাহতে । শরৎকাল হলে প্রস্ফুটিত শেফালীর সৌরভ ভেসে আসতে শীতল নৈশ বাতাসে। এই যে লিখচি, সামনে পাহাড়ের মাথায় বর্ষার সাদা মেঘপুঞ্জ জমেচে । জৰুর জোর থেকে বড় চমৎকার দেখাচ্চে গাছগুলোকে । গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের একটি কথা AG, oy co, "A nation's history has three stages. Success, then as a