পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80Ն বিভূতি-রচনাবলী consequence of success, arrogance and injustice; then as a consequence of these, downfall.” & কাল সারাদিন বৃষ্টিতে তাবুতে বসে। কোথাও বেরুতে পারিনি। তাবুর পেছনে লুদাম, করম ও ধ গাছ, একটা ধাতুপ ফুলগাছে প্রথম বসস্তের রাঙা রাঙা ফুল ফুটেচে। পাহাড়ের সান্থতে জঙ্গলের ফঁাকে ফঁাকে বড় বড় শিলাখণ্ড । যে কোনোটাতে আরাম করে বসে চিন্তা করা যায় বা লেখা যায়। কিন্তু বাদলাবৃষ্টিতে সব ভিজে। সন্ধ্যায় বারোজ সাহেবের বাংলোতে বেড়াতে গিয়ে বসলুম খানিকক্ষণ। পূৰ্ব্ব আকাশে পাহাড়ের ওপর দিয়ে ভাঙা মেঘের ফাকে পূর্ণচন্দ্র উঠলো। মিসেস বারোজ বন্য হস্তীর গল্প করলে। এক পেয়ালা কোকো পান করে এই শীতে বেশ আরাম করে বুনো হাতী ও মাতাল ভালুকের গল্প শোনা গেল। আর বছর মাগডু গ্রামের নিকটবর্তী পথে একটা ভালুক পেট ভরে মহুয়া ফুল খেয়ে যখন গাছ থেকে নামলো-তখন সে ঘোর মাতাল, টলতে টলতে চলেচে । o রাত্রে ভীষণ ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হোল। সারারাত্রি বৃষ্টি। আজ সকালেও বৃষ্টি পড়ছিল। বেলা হলে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল। আমরা বিকেলে মাগডু ও চেংশম গ্রামে বেড়াতে গেলুম। ডাইনের প্রকাও পাহাড়শ্রেণীর পাশ দিয়ে আসান পড়শির বনের ছায়ায় পথ, বনে পিয়াল গাছে মুকুল ধরেচে, বাতাসে আম্র ও পিয়াল মুকুলের সৌরভ, কালোকালো পাথরের ভূপের ওপর টেরির জঙ্গল, বামে পোটরী ও কুন্দরুকোটা পাহাড়— ওখানে নাকি একটা সোনার খনি ছিল, বিলিংহাম নামে এক সাহেবের । এখন খনির কাজ বন্ধ শুনলুম। ওই পাহাড়ের ওপর দিয়ে অস্ত আকাশের তলায় তলায় ময়ূরভঞ্জ যাবার পথ। আমরা যখন ফিরলুম তখন বেলা পড়ে এসেচে, বন্য কুঙ্কট ডাকচে ডানদিকের শৈলসালুর ' গহন অরণ্যের মধ্যে । রাত্রে স্বন্দর জ্যোৎস্ন উঠলো। আমরা তাবুর পিছনের শৈলশ্রেণীর ওপরে একটা পাথরের চাতালে রাত দুটাে পৰ্য্যন্ত বসে আগুন জালিয়ে গল্প করলুম। ভালুক ও বন্ত হস্তীর ভয়ে ( এবং শীতের জন্যেও বটে) আগুন জালানোটা নিতান্ত দরকার । আজ বিকেলেই দেখে এসেটি মাগড় গ্রামে লাখন মাঝি বলে একটা সাওতাল যুবকের একটা চোখ ভালুকে একেবারে উপড়ে দিচে–অবিপ্তি ঘটনাটা ঘটেছিল আগডু থেকে বলবেড়া যাবার পথে জঙ্গলের ধারে। লাখন টাঙি হাতে যাচ্ছিল দুবলাবেড়া, ভালুক মহুয়াগাছ থেকে নেমে ওর ওপর এলে পড়ে, উভয়ে জড়াজড়ি ধস্তাধস্তি হয়, তার ফলে লাখনকে একটা চক্ষুর মায়া কাটাতে হয়েচে । পরশু রাত্রে বারোজ সাহেবের মুরগীর ঘরে বাঘ এসেছিল, সকালে আবার দাগ দেখা গিয়েচে । এই সব শুনে নির্জন পাহাড়ের ওপর গভীর রাত্রে আমরা তিনটি প্রাণী বলে থাকবার সময় যে খুব নিরাপদ ভাবছিলুম নিজেদের এমন কথা বল্পে মিথ্যে বলা হবে। কিন্তু সব বিপদকে অগ্রাহ করা যায় সে অপূৰ্ব্ব জ্যোংঙ্গ রাত্রির শোভা দেখবার জন্তে। পাহাড়ের ওপরে শুকনো শালগ, দোকা ( Odina wadier ), আজক্স বস্ত শিউলি, শিৰবৃক্ষ,