পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cश् चाद्भर्भj कथों कve శిట్రe কাছে দৃপ্ত বড় স্বন্দর-দুধারে পাহাড় ও জঙ্গল, বাদিক দিয়ে একটা পাৰ্ব্বত্য ঝর্ণা বয়ে চলেচে । সামনের পাহাড়ে আর বছর একদল হাতী দেখেছিলেন মিঃ সিনহা বলেন। মিঃ লইয়ারের বাংলোটা পড়ে আছে রাখা মাইনলে—ভূতের বাড়ী হয়ে । একটা কুল গাছ থেক্লে পাকা কুল পেড়ে খেলুম ভাঙা ক্লাব-বাড়ীটার পেছনে । বাড়ী পৌঁছে চা খেয়ে মুটু, উমা ও বোমাকে নিয়ে বুরুডি ও বাসাডের ঘাটের (hill pass ) বনের মধ্যে মোটরে গেলুম বেড়াতে ৷ সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আলচে বনে, গম্ভীর দৃপ্ত চারিদিকে ৷ খডের গভীরতা প্রায় ৫ • ০৬• • ফুট—সেখানে বহু নিচে দিয়ে খরস্রোতা নদী (খরস্থতি নদী, এখানকার ভাষায় ) বয়ে চলেচে, আমি, মুটু, বৌমা খরস্রোতার ওপরে দাড়িয়ে আছি- ওপারের পর্বতারণ্যে ময়ূর ডাকচে । সন্ধ্যা হোল, আমরা পাহাড় থেকে নেমে শালবনের মধ্যে দিয়ে চলে এলুম, কুটুকে গান গাইতে বল্লেন মিঃ সিনহা। আমরা সবাই সেই অন্ধকারের মধ্যে দাড়িয়ে রইলুম ও গান শুনলুম। তারপর ডাকবাংলোতে এসে চা খাই বোমা, হুটু ও আমি। 尊 পরদিন সন্ধ্যায় বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে দেখা রাজবাড়ীতে। আমি বল্লাম, হরিনা গ্রামের গভীর বনের মধ্যে যে মহাদেব শাল আছে, সেখানটা বড় স্বন্দর তপোবনের মত । কিন্তু যাত্রীদের বসবার জায়গা নেই, ভাঙা মন্দিরেরও সংস্কার দরকার। আপনি রাজসরকার থেকে ওটা করে দিন । অমরবাবুর বাড়ী গিয়ে গল্পগুজব করলুম রাত্রে। কোথায় দুবলাবেড়া, ঘাটশিলা—আর কোথায় বারাকপুর । এক দিনের মধ্যে কোথা . থেকে কোথায় এসে পড়েচি—কোথায় চাকুড়ি গ্রামে বাসেয়া সর্দারের স্মৃতি-প্রস্তর, কোথায় চরাই পাহাড়ের শিখর ! কোথায় দোকা ও শালগা বন! আজ এ বারাকপুরে আম্রমুকুলের ঘন স্ববাস ভরা অপরাত্ত্বের বাতাসে জানালা খুলে দেখছি সামনের খুড়ীমাদের বঁাশঝাড়ের মাথায় রাঙা রোদ, কোকিল ও কত কি পার্থী ডাকচে—আমি এক ঘরে বসে লিখচি ৷ শুকনো বাশপাতা-ঝরা পথের ওপর বৈকালের ছায়া নেমে এসেচে, ঘেটুফুল ফুটেচে আমার উঠোনে, ওদের বঁাশতলায়, আমি বসে বলে দেখচি। কল্যাণী গিয়েচে ফকিরর্চাদের বাড়ী বৌভাতের নিমন্ত্রণ খেতে, মান্থ ও নগেন খুড়োর বৌয়ের সঙ্গে। এমন চমৎকার পরিপূর্ণ বসম্ভের মধ্যে বারাকপুরে আসতে পারা একটা সৌভাগ্য। এত স্বগন্ধ বাতালে, এত বেটুফুল, শুকনো পাত ছড়ানো বঁাশঝাড়ের তলায়। সকালের ঈষৎ শীতল বাতাসে যখন আম্রমুকুলের সৌরভ ভেসে আসে, পাখী ডাকে—তখন মনে হয় একটা যেন কিছু হবে, এমন দিনের শেষে বৃহত্তর কিছু, মহত্তর কিছু অপেক্ষা করে আছে যেন—আমার ছেলেবেলাতে ঠিক এই সময় মনের অকারণ উল্লাল অনুভব করতুম এমনি ধারা । কাল বিকেলে কুঠার মাঠের রাস্ত ধরে আসতে আসতে হঠাৎ এলে পড়লুম শাখারিপুকুরে বাশবনের ধারে । নক্ষত্র উঠেচে আকাশে, আকাশের শুক্ল পঞ্চমীর চাদ জলজল কাচে,