পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনিয়াছেন। দাদার দুইটি মলিন পিরান, গায়ে ভাল গেঞ্জি একটাও দেখা যায় না। বিছান। ভে যা আনিয়াছেন, তাহা দেখিয়া একদিন অবনীর স্ত্রী বলিয়াছিল—বটুঠাকুরের যাবিছানাপত্র, ওই বিছানায় কী করে ওরা শোয় কলকাতা শহরে, তা ভেবে পাই নে। আমরা যে অজ-পাড়াগেয়ে—আমাদের বাড়ীর ছেলেমেয়েরা পৰ্য্যস্ত ও-বিছানায় শোবে না। গ্রামের সকলে ধরিয়াছিল, এতকাল পরে দেশে এসেছ, গায়ের ব্রাহ্মণ কটিকে ভাল করে একদিন মা-বাপের তিথিতে খাইয়ে দাও। কিছুই তো করলে না গায়ে— যন্থবাৰু তাহাতে কর্ণপাত করেন নাই। " অথচ তিনি এত রোজগার করেন নিজের মুখেই তো বললেন। কী জানি কী ব্যাপার শহরের লোকের ! বেশ মোটা পয়সা হাতে নিয়ে এসেছে দাদা, অথচ খরচপত্র বিষয়ে कश्- - কথাটা অবনী স্ত্রীকে বলিল । ীি বলিল, কী জানি বাপু, দিদির গায়ে তো একরত্তি সোনা নেই—শাখা আর কাচের চুড়ি এই তো দেখছি, তা কেমন করে বলব বল ? হতে পারে। —তুমি জান না, ওসব কলকাতার লোক, পাড়াগায়ে আসবার সময় সব খুলে রেখে এসেছে। চুরি যাবার ভয় বড় ওদের। ভাবিয়া-চিন্তিয়া পরদিন অবনী যদুবাবুর কছে দুপুরের পর কথাটা পাড়িল : দাদা, একটা क५i झिज—কী হে ? —নানা রকমে বড় জড়িয়ে পড়েছি, মেয়েট বড় হয়ে উঠেছে, বিয়ে না দিলে আর নয়। বড়ঙ্গ৷ সেই সোনাঙ্গতির মোকদ্দমা করে আড়ালে বিল বিক্রি করে ফেললেন, জানেন তো সব। সেই নিজে মারা ও গেলেন, আমাকে একেবারে পথে বসিয়ে গেলেন। পয়সা অভাবে ছেলেটাকে পড়াতে পারছি না। তা আমি বলচি কী, ছেলেটাকে আপনার বাসায় রেখে যদি দুটাে দুটাে খেতে দেন আর আপনার স্কুলে ফ্রী করে নেন দয়া করে, তবে গরীবের ছেলের লেখাপড়াটা হয়। আপনিও তো ওর জ্যাঠামশায়— যদুবাৰু বুঝিলেন, মাহিনী সম্বন্ধে ও-রকম বলা উচিত হয় নাই তখন। পাড়াগায়ের গতিক ভুলিয়া গিয়াছেন বহুদিন না-আসার দরুন। এসবু জায়গার লোকে সৰ্ব্বদা সুবিধা খুঁজিয়া বেড়াইতেছে, চাহিতে-চিস্তিতে ইহাঙ্গের দ্বিধা নাই, লজ্জা নাই। কী বিপদেই ফেলিল এখন ! মুখে বলিলেন, তা আর বেশী কথা কী স্বটো থাকবে, এভাল কথাই তো ! তবে এখন স্থলে ভর্তি করার সময় নয়, সামনের জাগুয়ারি মাসে নিয়ে যাব ওকে। * অবনী পল্লীগ্রামের লোক, পাইয়া বসিল। বলিল, তা কেন দাদা, ও বউদিদির সঙ্গেই , যাক না। বাসায় থাকুক, সকালে বিকেলে আপনার কাছে একটু আধটু পড়লেও ওর যথেষ্ট বিদ্ধে হবে পেটে। বংশের মধ্যে আপনি এল-এ পাস করেছেন—আমাদের বংশের চুড়ে