পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাজ-বেী SSNK আতিশয় সঙ্কুচিত ভাবে, মৃদুস্বরে বলিল, এ সব কথা হয়ত সত্য নয় বাবা । কোন সব কথা মা ? তোমার দিদির কথা ? ছোটবৌ নতমুখে মৌন হইয়া রহিল। নীলাম্বর বলিল, সত্যি বই কি মা-সব সত্যি। জান ত মা, রোগে গেলে সে পাগলীর জ্ঞান থাকত না। যখন এতটুকুটি ছিল, তখনও তাই, যখন বড় হ’ল, তখনও তাই। তাতে যে অত্যাচার, যে অপমান আমি করেছিলাম, সে সহ করতে বোধ করি স্বয়ং নারায়ণও পারতেন না-সে ত মানুষ। নীলাম্বর হাত দিয়া এক ফোটা অশ্রু মুছিয়া ফেলিয়া বলিল, মনে হ’লে বুক ফেটে যায় মা, হতভাগী তিন দিন খায়নি, জ্বরে কঁাপিতে কঁাপিতে আমার জন্যে দুটি চাল ভিক্ষে করতে গিয়েছিল, সেই অপরাধে আমি-আর সে বলিতে পারিল না, কেঁচার খুটি মুখে গুজিয়া দিয়া উচ্ছসিত ক্ৰন্দন সবলে নিরোধ করিয়া ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতে লাগিল। ছোটবেী নিজেও তেমনই করিয়া কঁদিতেছিল, সেও কথা কহিল नी । दश्य कांप्रैिल । বহুক্ষণ পরে নীলাম্বর কতকটা প্ৰকৃতিস্থ হইয়া চোখ মুছিয়া বলিল, অনেক কথাই তুমি জান, তবু শোন মা। কি ক’রে জানিনে, সেই রাতেই সে অজ্ঞান উন্মত্ত হয়ে সুন্দরীর বাড়ীতে গিয়ে উঠে, তার পরেউ-টাকার লোভে সুন্দরী, পাগলীকে আমার সেই রাতেই রাজেনবাবুর বজরায় তুলে দিয়ে আসে তাহার কথা শেষ হইতে না হইতেই মোহিনী নিজেকে ভুলিয়া, লজ্জা সরম ভুলিয়া উচ্চকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, কক্ষণো সত্যি নয় বাবা, কক্ষণো সত্যি নয়। দ্বিন্দির দেহে প্ৰাণ থাকতে এমন কাজ তাকে কেউ করাতে পারবে না। তিনি যে সুন্দরীর মুখ পৰ্যন্ত দেখতেন না। ৫%ীলাম্বর শান্তভাবে বলিল, তাও শুনেছি। হয়ত তোমার কথাই সত্যি