পাতা:বিরাজ বৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di বিরাজদেবী হইল না ! সবামী নিবাক হইয়া রহিলেন । একবার সে ভাবিবার চেষ্টা করিল, হয়ত কথাটা তিনি আদৌ বিশ্ববাস করেন। নাই, কিন্তু এই তাহার সম্পণে আত্মগোপন করাটাও কি তাঁহার চোখে পড়িয়া সংশয়। উদ্রেক করিতেছে না ! অথচ যাহা এতদিন পর্যন্ত সে গোপন করিয়া আসিয়াছে, তাহা নিজেই বা আজ যাচিয়া বলিবে কিরূপে ? সেদিনটাও এমনই করিয়া কাটিল। পরদিন সকালে ভয়াত ভারাতুর হৃদয় লইয়া সে কোনমতে ঘরের কাজ করিতেছিল, হঠাৎ একটা ভয়ঙ্কর কথা তাহার বকের গভীর তলদেশ আলোড়িত করিয়া ঘােণবতের মত বাহির হইয়া আসিল, আর যদি ঠাকুরপোর কথা বিশবাস করেই থাকেন, তা হ’লে ? নীলাম্পবয় আহ্নিক শেষ করিয়া গাত্ৰোখান করিতে যাইতেছিল, সে ঝড়ের মত সমখে আসিয়া হাঁপাইতে লাগিল । বিস্মিত নীলাম্বর মািখ তুলিতেই বিরাজ সজোরে নিজের অধর দংশন করিয়া বলিয়া উঠিল, কেন, কি করেচি ? কথা কও না যে বড় ? নীলাম্বর হাসিল। বলিল, পালিয়ে বেড়ালে কথা কই কার সঙ্গে ? পালিয়ে বেড়াচ্চি ! তুমি ডাকতে পারনি একবার ? নীলাম্বর বলিল, যে লোক পালিয়ে বেড়ায় তাকে ডাকলে পাপ হয় । পাপ হয় ? তাহলে ঠাকুরপোর কথা তুমি বিশ্ববাস করেচ বল ? সত্যি কথা বিশবাস করব না ? বিরাজ রাগে দঃখে কাঁদিয়া ফেলিল, অশ্রুবিকৃতকণ্ঠে চোচাইয়া বলিল, সত্যি নয়-ভয়ঙ্কর মিছে কথা। কেন তমি বিশবাস করলে ? তামি নদীর ধারে কথা বলনি ? বিরাজ উদ্ধতভাবে জবাব দিল হাঁ বলোচি । নীলাম্ববর বলিল, আমি ঐটুকুই বিশ্ববাস করেচি । বিরাজ হাত দিয়া চোখ মছিয়া ফেলিয়া বলিল, যদি বিশবাসই করেচ, তবে ঐ ইতরটার মত শাসন করলে না কেন ? নীলাম্বর আবার হাসিল । সদ্য-প্রস্ফুটিত ফুলের মত নিমলি হাসিতে তাহার সমস্ত মখ ভরিয়া গেল। ডান হাত তালিয়া বলিল, তবে কাছে আয়, ছেলেবেলার মত আর একবার কান মলে দিই । চক্ষের পলকে বিরাজ সমখে আসিয়া হাঁটু গাড়িয়া বসিল এবং পরীক্ষণেই তাহার বকের উপর সজোরে ঝাঁপাইয়া পড়িয়া দই বাহ দিয়া স্বামীর কণ্ঠ বেস্টন করিয়া ३०ाईक्षा काँक्षा धटिल। নীলাভােবর কাঁদিতে নিষেধ করিল না। তাহার নিজের দ্য চোেখও, জলে ভিজিয়া উঠিয়াছিল, সে সন্ত্রীর মাথার উপরে নিঃশব্দে ডান হাত রাখিয়া মনে মনে আশীৰাদি