পাতা:বিরাজ বৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বিরাজবেী খেতে বসে কতবার ডাকলেন। একটা সাড়া পৰ্যন্ত দিলে না। আচ্ছা আমিই বল, এতে দঃখ হয় কি না ? একটিবার কাছে গেলে তা তিনি ভাত ফেলে উঠে যেতেন না। তথাপি বিরাজ মৌন হইয়া রহিল । ছোটবোঁ বলিতে লাগিল, হাত-জোড়া ছিল ব’লে আমাকে ত ভুলাতে পারবে না। দিদি । চিরকাল সমস্ত কাজ ফেলে রেখে তাঁকে সমখে বসে খাইয়েচ-সংসারে এর চেয়ে বড় কাজ তোমার কোনদিন ছিল না, আজ-- কথা শেষ না হইবার পাবেই বিরাজ উন্মাদের মত তাহার একটা হাত ধরিয়া সজোরে টান দিয়া বলিল, তবে দেখবি আয় । বলিয়া টানিয়া আনিয়া রান্নাঘরের মাঝখানে দাঁড় করাইয়। হাত দিয়া দেখাইয়া বলিল, ঐ চেয়ে দেখা ! ছোটবেী চাহিয়া দেখিল একটা কাল পাথরে অপরিভাকত মোটা চালের ভাত এবং তাহারই একাধারে অনেকটা কলমি-শ্যাকসিদ্ধ, আর কিছই নাই । DBDBDB BDBD BBB D BBBDD BDBBD BBBD DuuD BBD SuDDD DBuDDD সিদ্ধ করিয়া দিয়া ছিল । দেখিতে দেখিতে ছোটবেীর দিচোখ বাহিয়া ঝরঝর করিয়া অশ্ৰী ঝরিয়া পড়িল, কিন্তু, বিরাজের চোখে জলের আভাস মাত্র নাই। দুই জায়ে নিঃশব্দে মাখোমখি 5ाश्झिा ब्रश्व् ि। বিরাজ অবিকতকণ্ঠে বলিল, তইও তা মেয়েমানযে, তোকেও রোধে স্বামীর পাতে ভাত দিতে হয়, তুই বল, পথিবীতে কেউ কি সমখে বসে সবামীর ওই খাওয়া চোখে দেখতে পারে ? অাগে বল, ব’লে যা, তোর মাখে যা আসে ব’লে আমাকে গাল দে, আমি কথা ক’ব না । ছোটবেী একটি কথাও বলিতে পারিল না, তাহার চোখ দিয়া তেমনি অঝোরে জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল ! বিরাজ বলিতে লাগিল, দৈবাৎ রান্নার দোষে যদি কোনদিন তাঁর একটি ভাতও কম। খাওয়া হয়েছে, ত, সারাদিন বকের ভিতর আমার কি ছাঁচ বিধেছে, সে আর কেউ না। জানে তা তুই জানিস ছোটবোঁ, আজি তাঁর ক্ষিদের সময় আমাকে ঐ এনে দিতে হয়-- তাও বঝি আর জোটে না আর সে সহ্য করিতে পারিল না, ছোটজার বকের উপর আছাড় খাইয়া পড়িয়া দাই হাতে গলা জড়াইয়া ফু’পাইয়া কাঁদিয়া উঠিল। তারপর, সহোদরার মত এই দই রমণী বাহপাশে আবদ্ধ হইয়া রহিল, বহক্ষণ ধরিয়া এই দাই অভিন্ন নারীহাদয় নিঃশব্দে অশ্রািজলে ভাসিয়া যাইতে লাগিল । তারপর বিরাজ মাথা তুলিয়া বলিল, না তোকে লকোব না, কেননা, আমার দঃখ বাঝাতে তুই ছাড়া আর কেউ নেই। আমি অনেক ভেবে দেখেছি, আমি সরে না। গেলে ওঁর কণ্ট যাবে না। কিন্তু, থেকে ত ও-মািখ না দেখে একটা দিনও কাটাতে