পাতা:বিরাজ বৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

विद्माचव 8ه মোহিনী ধাক্কা সামলাইয়া লইয়া লাখ তুলিয়া বলিল, হবে না কেন, নিশ্চয় হবে। এ আমার বঠঠোকুর আমাকে বিয়ের সময়ে দিয়েছিলেন। বলিয়া অচিলে বধিয়া দিয়া আর একবার হেট হইয়া পায়ের ধলা মাথায় লইয়া বাড়ি চলিয়া গেল । e하 মগরার এতদিনের পিতলের কবাজার কারখানা যেদিন সহসা বন্ধ হইয়া গেল এবং এই খবরটা চাঁড়ালদের সেই মেয়েটি বিরাজকে দিতে আসিয়া ছাঁচ বিক্রির অভাবে নিজের নানাবিধ ক্ষতি ও অসবিধার বিধরণ অনগল বকিতে লাগিল, বিরাজ তখন চুপ করিয়া শানিল। তারপর একটি ক্ষদ্র নিশবাস ফেলিল মাত্র। মেয়েটি মনে করিল, তাহার দঃখের অংশী মিলিল না, তাই ক্ষণ হইয়া ফিরিয়া গেল। হায় রে, অবোধ দঃখীর মেয়ে, তুই কি করিয়া ব্যঝিবি সেইটুকু নিশবাসে কি ছিল, সে নীরবতার আড়ালে কি ঝড় বহিতে লাগিল । শান্ত নিবাক ধরিত্রীর অন্তস্তলে কি আগনি জ্বলে, সে বঝিবার ক্ষমতা তুই কোথায় পাইবি ! নীলাম্বর আসিয়া বলিল, সে কাজ পাইয়াছে । আগামী পাজার সময় হইতে কলিকাতার এক নামজাদা কতনের দলে সে খোল বাজাইবে । খবর শনিয়া বিরাজের মখ মতের মত পাড়ের হইয়া গেল। তাহার স্বামী গণিকার অধীনে, গণিকার সংস্রবে। সমস্ত ভদ্র-সমাজের সম্পমাখে। গাহিয়া বাজাইয়া ফিরিবে !! তবে, আহার জাঁটধে ! লািগ জায় ধিক্কারে সে মাটির সহিত মিশিয়া যাইতে লাগিল, মািখ ফুটিয়া নিষেধ করতেও পারিল না-আর যে কোন উপায় নাই । সন্ধ্যার অন্ধকারে নীলাম্বর সে মাখের ছবি দেখিতে পাইল না।--ভালই হইল । ভাঁটার টানে জল যেমন প্রতিম হতে ক্ষয়চিহ্ন তর্টপ্রান্তে অকিতে আকিতে দর হইতে সদরে সরিয়া খায়, ঠিক তেমনিই করিয়া বিরাজ শকাইতে লাগিল। অতি দ্রুত অতি সপোস্টভাবে ঠিক তেমনই ফিরিয়া তাহার দেহতটের সমস্ত মলিনতা নিরস্তর আব্বত করিয়া দিয়া তাহার দেবাচিত অতুল যৌবনশ্ৰী কোথায় অন্তহিত হইয়া যাইতে লাগিল ! দেহ শাক, মখ মিলান, দন্টি অস্বাভাবিক উপেজল-যেন কি একটা ভয়ের বস্তু সে অহরহ দেখিতেছে। অথচ তাহাকে দেখিবার কেহ নাই। ছিল শািন্ধ ছোটবোঁ ; সেও মাসাধিককাল ভাইয়ের অসখে বাপের বাড়ি গিয়াছে । নীলাম্পবর দিনের বেলা প্রায়ই ঘরে থাকে না । যখন আসে তখন রাত্রির অধিকার, তাহার দই চোখ প্রায়ই রাঙ্গা, নিশবাস উষ্ণ বহে । বিরাজ সবই দেখিতে পায়, সবই বঝিতে পারে, কিন্তু কোনো কথাই বলে না। বলিতে ইচ্ছাও করে না, তাহার সামান্য BBBDD DBBDBD SD DDBE BD S0