পাতা:বিরাটপর্ব্ব (হরিনাথ ন্যায়রত্ন).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^&* বিরাটপৰ্বৰ । আমি প্রথমতঃ সাগরেণুপম কুরুসৈন্য সম্প্রদর্শন মাত্রেই অভিমাঞ্জ ভয়ে পলায়নোদ্যত হইয়ছিলাম। পরে অশনিসরাহশালী কোপ দেৰকুমার আমাকে নিরঞ্জ করিয়া অভয়প্রদর্শন পুৰ্ব্বক স্বয়ং রথারূঢ় হইলেন । তিনিই কুরুদিগকে পরাজিভ করিয়াছেন, এবং উাহা হইতেই সমস্ত কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়াছে। আমি কিছুই করি নাই । রণস্থলে যখন ভীষ্ম, দ্রোণ, দ্রোণি, কর্ণ প্রভৃতি মহারখ সকল বিরক্ষ্মীকুত ও পরাজিভ হইলেন, তখন দুৰ্য্যেধন ও ধিক্ষণ ভয়ে পলায়ন করিতেছে দেখিয়া সেই দেবকুমীর রাজাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেম, আহে কুরুপ্লাজ ! তুমি কোথায় পলাইবে, হস্তিনানগরে গমন করিলেও তোমার নিস্তার নাই। যেখানে যাইৰে তুমি কিছুতেই আমার হস্ত হইভে পরিত্রাণ পাইবে না। অদ্য যুদ্ধ ব্যক্তিরেকে তোমার আর উপায় দেখি না । অতএব যুদ্ধ কর, ইহাতে উভয় থাই মঙ্গল ! জয়লাভে পৃথিবীর একাধিপত্য লাভ, অন্যথা স্বৰ্গলাভের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে। দেবকুমারের এই প্রকার মিষ্ট ভৎসনা শ্রবণে, মান ধম দুৰ্য্যোধন, সচিবগণে পরিবৃত ও প্রভিনিত্ত্বজ হুইয়। ক্ৰোধ ভরে অশনিতুল্য বাণ বৃষ্টি করিতে লাগিলেন । উtহীর ভীষণমূৰ্ত্তি দর্শনে আমার শরীর রোমাঞ্চিত ও উরুকল্প হইতে লাগিল। কিন্তু সেই দেবপুরুষ, অশ্ৰণতপূৰ্ব্ব সিংহধ্বনি করিয়া, সুতীক্ষু বাণে ক্ষণমধ্যে তদীয় সমস্ত সৈন্য বিলোড়িত করিলেন । এবং পরিশেষে এমপ্ত একটি শর সন্ধান করিলেন যে, শুৎ প্রভাবে বৰিষ্ট্ৰীয় কৌরবগণ একেবারে সম্মোহিভ ও নিজিত-প্রায় হইল । সেই অবসরেই তিনি তাহাদিগের এই সমস্ত