পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুড়া বলিয়া বেড়াইতে লাগিলেন, এ যে ঘটবে, তিনি অনেক আগেই জানিতেন । তিনি শুধু তামাসা দেখিতেছিলেন ; কোথাকার জল কোথায় গিয়া মরে ! নইলে পর নয়, প্ৰতিবেশী নয়, আপনার ভাইপো ! তিনি কি বাড়ি লইয়া যাইতে পারিতেন না ? তঁাহার কি ডাক্তার-বৈদ্য দেখাইবার ক্ষমতা ছিল না ? তবে কেন যে কবেন নাই, এখন দেখুক সবাই। কিন্তু আর ত চুপ করিয়া থাকা যায় না! এ যে মিত্তির বংশের নাম ডুবিয়া যায়! গ্রামের যে মুখ পোড়ে । তখন আমরা গ্রামের লোক মিলিয়া যে কাজটা করিলাম, তাহা মনে করিলে আমি আজিও লজ্জায় মরিয়া যাই। খুড়া চলিলেন নালতের মিত্তির-বংশের অভিভাবক হইয়া, আর আমরা দশবারোজিন সঙ্গে চলিলাম গ্রামের বদন দগ্ধ না হয় এইজন্য } মৃত্যুঞ্জয়ের পোড়ো-বাড়িতে গিয়া যখন উপস্থিত হইলাম তখন সবেমাত্ৰ সন্ধ্যা হইয়াছে। মেয়েটি ভাঙ্গা বারান্দার একাধারে রুটি গড়িতেছিল, অকস্মাৎ লাঠিসোটা হাতে এতগুলি লোককে উঠানেব। উপর দেখিয়া ভয়ে নীলবৰ্ণ হইয়া গেল । গুড়ো খরের মধ্যে উকি মারিয়া দেখিলেন, মৃত্যুঞ্জয় শুইয়া আছে । চট করিয়া শিকলটা টানিয়া দিয়া সেই ভয়ে মৃতপ্ৰায় মেয়েটিকে সম্ভাষণ শুরু করিলেন । বলা বাহুল্য জগতের কোন খুড়া কোনকালে বোধ করি ভাইপোর স্ত্রীকে ওরূপ সম্ভাষণ করে নাই। সে এমনটি যে, মেয়েটি হীন সাপুড়ের মেয়ে হইয়াও তাহা সহিতে পারিল না, চোখ তুলিয়া বলিল, বাবা আমারে বাবুর সাথে নিকে দিয়েছে জানো ! খুড়া বলিলেন, তবে রে ! ইত্যাদি ইত্যাদি । এবং সঙ্গে সঙ্গেই দশ-বায়োজন বীরদৰ্পে হুঙ্কার "দিয়া তাহার ঘাড়ে পড়িল । কেহ। Σ Σ