পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরিল চুলের মুট, কেহ ধরিল কান, কেহ ধরিল হাত-দুটাে-এবং যাদের সে সুযোগ ঘটিল না, তাহারাও নিচেষ্ট হইয়া রহিল না। কারণ সংগ্রাম-স্থলে আমরা কাপুরুষের ন্যায় চুপ করিয়া থাকিতে “পারি, আমাদের বিরুদ্ধে এত বড় দুর্নাম রটনা করিতে বোধ করি নারায়ণের কর্তৃপক্ষেরও চক্ষুলজা হইবে। এইখানে একটা অবান্তর কথা বলিয়া রাখি । শুনিয়াছি নাকি বিলাত প্রভৃতি স্লেচ্ছ দেশে পুরুষদের মধ্যে একটা কুসংস্কার আছে, স্ত্রীলোক দুর্বল এবং নিরুপায় বলিয়া তাহার গায়ে হাত তুলিতে নাই । এ আবার একটা কি কথা ! সনাতন হিন্দু এ কুসংস্কার মানে না। আমরা বলি, যাহারই গায়ে জোর নাই, তাহারই গায়ে হাত তুলিতে পারা যায়। তা সে নির নারী যাই হোক না। 化** মেয়েটি প্রথমেই সেই যা একবার আর্তনাদ করিয়া উঠিয়াছিল, তারপরে একেবারে চুপ করিয়া গেল। কিন্তু আমরা যখন তাহাকে গ্রামেব বাহিরে রাখিয়া আসিবার জন্য হিচড়াইয়া লইয়া চলিলাম, শি খন সে মিনতি করিয়া বলিতে লাগিল, বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও, আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি । বাইরে শিয়াল কুকুরে খেয়ে যাবে-রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না । মৃত্যুঞ্জয় রুদ্ধ ঘরের মধ্যে পাগলের মত মাথা কুটিতে লাগিল, দ্বারে পদাঘাত করিতে লাগিল এবং শ্রাব্য অশ্রাব্য বহুবিধ ভাষা প্রয়োগ করিতে লাগিল। কিন্তু আমরা তাহাতে তিলাধ বিচলিত হইলাম না । স্বদেশের মঙ্গলের জন্য সমস্ত অকাতরে সন্থা করিয়া তাহাকে হিড়হিড় করিয়া টানিয়া লইয়া চলিলাম । DDBD DBDBBTDSBDBBD DBDD DBBBD DBB DDBDBS DD কোথায় আমার মধ্যে একটুখানি দুর্বলতা ছিল, আমি তাহার গায়ে হাত দিতে পারি নাই । বরঞ্চ কেমনী যেন কান্না পাইতে লাগিল । SS