পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজটার বিরুদ্ধে বিলাসী ভয়ানক আপত্তি করিয়া মৃত্যুঞ্জয়কে বলিত, দেখ, এমন করিয়া মানুষ ঠিকাইয়ো না । মৃত্যুঞ্জয় কহিত, সবাই করে-এতে দোষ কি ? বিলাসী বলিত, কারুক গে সবাই । আমাদের তা খাবার ভাবনা নেই, আমরা কেন মিছিমিছি লোক ঠকাতে যাই ? আর একটা জিনিস। আমি বরাবর লক্ষ্য করিয়াছি। সাপধরার বায়না আসিলেই বিলাসী নানা প্রকারে বাধা দিবার চেষ্টা করিত-আজ শনিবার, আজ মঙ্গলবার, এমনি কত কি। মৃত্যুঞ্জয় উপস্থিত না থাকিলে সে তো একেবারেই ভাগাইয়া দিত, কিন্তু উপস্থিত থাকিলে মৃত্যুঞ্জয় নগদ টাকার লোভ সামলাইতে পারিত না । আর আমার ত একরকম নেশার মত হইয়া দাড়াইয়াছিল। নানাপ্রকারে তাহাকে উত্তেজিত করিতে চেষ্টার ত্রুটি করিতাম না । বস্তুতঃ ইহার মধ্যে মজা ছাড়া ভয় যে কোথাও ছিল, এ আমাদের মনেই স্থান পাইত না । কিন্তু এই পাপের দণ্ড আমাকে একদিন ভাল করিয়াই দিতে হইল । সেদিন ক্রোশ-দেড়েক দূরে এক গোয়ালার বাড়ি সাপ ধরিতে গিয়াছি। বিলাসী বরাবরই সঙ্গে যাইত, আজও সঙ্গে ছিল । মেটে-ঘরের মেজে খানিকটা খুড়িতেই একটা গর্তের চিহ্ন পাওয়া গেল। আমরা কেউই লক্ষ্য করি নাই, কিন্তু বিলাসী সাপুড়ের মেয়ে-সে হেট হইয়া কয়েক টুকরা কাগজ তুলিয়া লইয়া আমাকে বলিল, ঠাকুর, একটু সাবধানে খুড়ে । সাপ একটা নয়, এক জোড়া ত আছে বটেই, হয়ত বেশীও থাকতে পারে । মৃত্যুঞ্জয় বলিল, এরা যে সকল একটাই এসে ঢুকেছে। একটাই ØሻቒCKö ዏffiN€g| CናiC% ! বিলাসী কাগজ দেখাইয়া কহিল, দেখােচ না বাসা করেছিল ? Sኳ”