পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যুঞ্জয় কহিল, কাগজ ত ইদুরেও আনতে পারে ! বিলাসী কাহল, দুই-ই হতে পারে। কিন্তু দুটো আছেই আমি श्वलन् ि| বাস্তবিক বিলাসীর কথাই ফলিল, এবং মর্মান্তিকভাবেই সেদিন ফলিল। মিনিট দশোকের মধ্যেই একটা প্ৰকাণ্ড খরিশ গোখরো ধরিয়া ফেলিয়া মৃত্যুঞ্জয় আমার হাতে দিল। কিন্তু সেটাকে ঝাঁপির মধ্যে পুরিয়া ফিরিতে না ফিরিতেই মৃত্যুঞ্জয় উঃ করিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাহিরে আসিয়া দাড়াইল । তাহার হাতের উলটা পিঠ দিয়া ঝরঝর করিয়া রক্ত পড়িতেছিল । প্রথমটা সবাই যেন হতবুদ্ধি হইয়া গেলাম। কারণ, সাপ ধরিতে গেলে সে পলাইবার জন্য ব্যাকুল না হইয়া। বরঞ্চ গর্ত হইতে একহাত মুখ বাহির করিয়া দংশন করে, এমন অভাবনীয় ব্যাপার জীবনে এই একটিবার মাত্ৰ দেখিয়াছি। পরীক্ষণেই বিলাসী চীৎকার করিয়া ছুটিয়া গিয়া আচল দিয়া তাহার হাতটা বাধিয়া ফেলিল এবং যত রকমের শিকড়-বাকড় সে সঙ্গে আনিয়াছিল, সমস্তই তাহাকে চিবাইতে দিল । মৃত্যুঞ্জয়ের নিজের মাদুলি ত ছিলই, তাহার উপরে আমার মাদুলিটাও খুলিয়া তাহার হাতে বাধিয়া দিলাম। আশা, বিষ ইহার উধের আর উঠিবে না। এবং আমার সেই “বিষহরির আস্ত্ৰে’ মন্ত্রটা সতেজে বারবার আবৃত্তি করিতে লাগিলাম । চতুর্দিকে ভিড় জমিয়া গেল এবং অঞ্চলের মধ্যে যেখানে যত গুণী ব্যক্তি আছেন, সকলকে খবর দিবার জন্য দিকে দিকে লোক ছুটিল । বিলাসীর ব্যাপকেও সংবাদ দিবার জন্য লোক গেল । আমার মন্ত্র পড়ার আর বিরাম নাই, কিন্তু ঠিক সুবিধা হইতেছে বলিয়া মনে হইল না। তথাপি আবৃত্তি সমভাবেই চলিতে লাগিল! কিন্তু মিনিট পনের-কুড়ি পরেই যখন মৃত্যুঞ্জয় একবার বমি করিয়া নাকে কথা কহিতে শুরু করিয়া দিল, তখন বিলাসী মাটির উপরে ܕܠ