পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছর ; কৈ, এতদিন ত কেউ লাইব্রেরীর কথা তোলেনি বাপু ? ত যাক, এত ত আর মন্দ কাজ নয়, আমাদের ছেলেপূলে বই পড়ুক, আর না। পড়ােক, আমার গায়ের ছেলেরাই পড়বে তাঁ! কি বল ঘোষালমশাই ? ঘোড়াল ঘাড় নাড়িয়া কি যে বলিল, বোঝা গেল না । একাদশী কহিল, তা বেশ, চান্দা দেব আমি, একদিন এসে নিয়ে যাবেন চার অামা পয়সা । কি বল ঘোষাল, এর কমে আর ভাল দেখায় না। অতদূর থেকে ছেলেরা এসে ধরেচে, যা হোক একটু নাম-ডাক আছে বলেই তা! আরও তা লোক আছে, তাদের কাছে ত চাইতে যায় না, কি বল হে ! ক্ৰোধে অপূৰ্বর মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। অনাথ কহিল, এই চার আনার জন্যে আমরা এতদূরে এসেচি ? তাও আবার আর একদিন এসে নিয়ে যেতে হবে ? একাদশী মুখে একটা শব্দ করিয়া মাথা নাড়িয়া নাড়িয়া বলিতে লাগিল, দেখলেন ত অবস্থা, ছটা পয়স হকের সুদ আদায় করতে ব্যাটাদের কাছে কি ছ্যাচড়াপনাই না করতে হয় ? তা এ পাট-টা বিক্রি হয়ে না গেলে আর চাঁদা দেবার সুবিধে অপূৰ্বর রাগে ঠোঁট কঁাপিতে লাগিল ; বলিল, সুবিধে হবে এখানেও ধোপা নাপিত বন্ধ হলে । ব্যাটা পিশাচ সর্বাঙ্গে ছিটেফোটা কেটে জাত হারিয়ে বোষ্টম হয়েছেন, "আচ্ছা! বিপিন উঠিয়া দাড়াইয়া একটি আঙুল তুলিয়া শাসাইয়া কহিল, বারুইপুরের রাখালদাসবাবু আমাদের কুটুম্ব, মনে থাকে যেন বৈরাগী ! বুড়া বৈরাগী এই অভাবনীয় কাণ্ডে হতবুদ্ধি হইয়া চাহিয়া রহিল। বিদেশী ছেলেদের অকস্মাৎ এত ক্ৰোধের হেতু সে কিছুতেই বুঝিতে পারিল না। অপূর্ব বলিল, গরীবের রক্ত শুষে সুদ খাওয়া তোমার বার করব। তবে ছাড়ব । নফর তখনও বসিয়া ছিল ; তাহার কাছায় বাধা পয়সা দুটাে ‘আদায় করার রাগে মনে মনে ফুলিতেছিল ; সে কহিল যা কইলেন So