পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপূর্ব ইঙ্গিতে তাহাকে নিষেধ করিল ; কিন্তু এত কাণ্ডের পর সেই চার আনার প্রস্তাবে কাহার নিজেরও অত্যন্ত ঘূণাবোধ হইল । আত্মসংবরণ করিয়া কহিল, থাক বৈরাগী, তোমায় কিছু দিতে হবে না। একাদশী বুঝিল, ইহা রাগের কথা ; একটা নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল, BDBBDDSS BBBD DBB SBDD DBDBD DBDD DBDBLLYS BBDSS DD ঘোষালমশাই, পাচ গণ্ডা পয়সাই খাতায় খরচ লেখ । কি আর করব বল। বলিয়া বৈরাগী পুনরায় একটা দীর্ঘশ্বাস মোচন করিল। তাহার মুখ দেখিয়া অপূৰ্বর একবার হাসি পাইল । এই কুসীদজীবী বুদ্ধের পক্ষে চার আনার এবং পাচ আনার মধ্যে কতবড় যে প্ৰকাণ্ড প্ৰভেদ, তাহা সে মনে মনে বুঝিল ; মৃদু হাসিয়া কহিল, থাক বৈরাগী, তোমায় দিতে হবে না। আমরা চার-পাচ আনা পয়সা নিইনে । আমরা চললুম। কি জানি কেন, অপূর্ব একান্ত আশা করিয়াছিল, এই পাঁচ আনার বিরুদ্ধে দ্বারের অন্তরাল হইতে অন্ততঃ একটা প্ৰতিবাদ আসিবে। তাহার অঞ্চলের প্রান্তটুকু তখনও দেখা যাইতেছিল, কিন্তু সে কোন কথা কহিল না। যাইবার পূর্বে অপূর্ব যথার্থই ক্ষোভের সহিত মনে মনে কহিল, ইহারা বাস্তবিকই অত্যন্ত ক্ষুদ্র । দান করা সম্বন্ধে পাচ আনা পয়সাব অধিক ইহাদের ধারণা নাই । পয়সাই ইহাদের প্রাণ, পয়সাই ইহাদের অস্থি-মাংস, পয়সার জন্য ইহারা করিতে পারে না। এমন কাজ সংসারে নাই । অপূৰ্ব সদলবলে উঠিয়া দাড়াইতেই একটি বছর-দশেকের ছেলের প্রতি অনাথের দৃষ্টি পড়িল । ছেলেটির গলায় উত্তরীয়, বোধ করি পিতৃবিয়োগ কিংবা এমন কিছু একটা ঘটিয়া থাকিবে। তাহার বিধবা জননী বারান্দায় খুটির আড়ালে বসিয়া ছিল। অনাথ আশ্চর্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, পুটে, তুই যে এখানে ? পুটে আঙুল দেখাইয়া কহিল, আমার মা বসে আছেন। মা V8