পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলি কেউ সাক্ষী-টাক্ষী আছে ? বিধবা ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না । আমরাও জানতুম না । ঠাকুর গোপনে টাকা জমা রেখে বেরিয়ে গিয়েছিলেন । ঘোষাল মৃদু হাস্য করিয়া ৰলিলেন, শুদ্ধ কঁাদলেই তা হয় না। বাপু ! এ-সব মবলগ টাকাকড়ির কাণ্ড যে ! সাক্ষী নেই, হাত চিটা নেই, তা হলে কি রকম হবে বল দেখি ? বিধবা ফুলিয়া ফুলিয়া কঁাদিতে লাগিল , কিন্তু কান্নার ফল যে কি হইবে তাহা কাহারও বুঝিতে বাকী রহিল না । একাদশী এবার কথা কহিল ; দোষালের প্রতি চাহিয়া কহিল, আমার মনে হচ্চে, যেন পাঁচশ টাকা কে জমা রেখে আর নেয়নি। তুমি একবার পুরানো খাতাগুলো খুজে দেখ দিকি, কিছু লেখা-টেখা আছে নাকি ? ঘোষাল ঝঙ্কার দিয়া কহিল, কে এতবেলায় ভূতের ব্যাগার খাটতে যাবে বাপু ? সাক্ষী নেই, রসিদ-পত্তর নেই কথাটা শেষ হইবার পূর্বেই দ্বারের অন্তরাল হইতে জবাব আসিল, রসিদ-পত্তর নেই বলে কি ব্ৰাহ্মণের টাকাটা ডুবে যাবে নাকি ? পুরনো খাতা দেখুন, আপনি না পারেন আমাকে দিন, দেখে দিচ্চি। সকলেই বিস্মিত হইয়া দ্বারের প্রতি চোখ তুলিল ; কিন্তু যে হুকুম দিল তাঁহাকে দেখা গেল না । ঘোষাল নরম হইয়া কহিল, কত বছর হয়ে গেল মা ? এতদিনের খাতা খুজে বার করা ত সোজা নয়। খাতা-পত্তরের আণ্ডিল । তা জমা থাকে, পাওয়া যাবে বৈ কি ! বিধবাকে উদ্দেশ্য করিয়া কহিল, তুমি বাছা কেঁদো না, হকের টাকা হয় ত পাবে বৈ কি । আচ্ছা, কাল একবার আমার বাড়ি যেয়ো ; সব কথা জিজ্ঞাসা করে খাতা দেখে বার করে দেব । আজ এতবেলায় তা আর হবে না । বিধবা তৎক্ষণাৎ সম্মত হইয়া কহিল, আচ্ছা বাবা, কাল সকালেই আপনার vgifta fK