পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

uযয়ো, বলিয়া ঘোষাল ঘাড় নাড়িয়া সম্মুখে খোলা খাতা সেদিনের মত বন্ধ করিয়া ফেলিল । কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের ছলে বিধবাকে বাড়িতে আহবান করার অর্থ অত্যন্ত সুস্পষ্ট । অন্তরাল হইতে গৌরী কহিল, আট বছর আগেরতাহলে ১৩০১ সালের খাতাটা একবার খুলে দেখুন ত, টাকা জমা उञाछ् दिक्त न ? ঘোষাল কহিলেন, এত তাড়াতাড়ি কিসের মা ! গৌরী কহিল, আমাকে দিন, আমি দেখে দিচ্চি। ব্ৰাহ্মণের মেয়ে দু'কোশ হেঁটে এসেচেন-দু’কোশ এই রৌদ্রে হেঁটে যাবেন, আবার কাল আপনার কাছে আসবেন ; এত হাঙ্গামায় কাজ কি ঘোষালকাকা { একাদশী কহিল, সত্যিই ত ঘোষালমশাই ; ব্ৰাহ্মণের মেয়েকে মিছামিছি হঁাটান কি ভাল ? বাপ রে ; দাও, দাও, চটপট দেখে দাও । ক্রুদ্ধ ঘোষাল তখন রুদ্ধকণ্ঠে উঠিয়া গিয়া পাশের ঘর হইতে ১৩ - ১ সালের খাতা বাহির করিয়া আনিলেন । মিনিট-দশোক পাতা উলটাইয়া হঠাৎ ভয়ানক খুশী হইয়া বলিয়া উঠিলেন, বাঃ! আমার গৌরীমায়ের কি সূক্ষ্ম বুদ্ধি ! ঠিক এক সালের খাতাতেই জমা পাওয়া গেল ! এই যে রামলোচন চাটুয্যের জমা পাঁচশএকাদশী কহিল, দাও, চটপট সুদটা কষে দাও ঘোষালমশাই। ঘোষাল বিস্মিত হইয়া কহিল, আবার সুন্দ ? একাদশী কহিল, বেশ, দিতে হবে না ! টাকাটা এতদিন খেটেচে ত. বসে ত থাকেনি। আট বছরের সুদ, এই ক’মাস সুদ বাদ পড়বে। তখন সুদে-আসলে প্ৰায় সাড়ে-সাতশ টাকা হইল। একাদশী ভগিনীকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, দিদি, টাকাটা তবে সিন্দুক থেকে বার করে আন । হা বাছা, সব টাকাটাই একসঙ্গে নিয়ে যাবে তা ? বিধবার অন্তরের কথা অন্তৰ্যামী শুনিলেন ; চোখ মুছিয়া প্ৰকাশ্যে কহিল, না বাবা, এত টাকায় আমার কাজে নেই ; আমাকে পঞ্চাশটি w