পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দে মা-শোয়ের চোখে জল আসিল, সে তাহার পাশে দাড়াইয়া মৃদুকণ্ঠে কহিল, বা-থিন, জগতে তুমি সকলের বড় চিত্রকর হইবে । বা-থিন হাসিল, কহিল, বাবার ঋণ বোধ হয় পরিশোধ করিতে পারিব । উত্তরাধিকার-সূত্রে মা-শোয়েই তাহার একমাত্ৰ মহাজন । তাই এ কথায় সে সকলের চেয়ে বেশী লজ পাইত । বলিল, তুমি বার বার এমন করিয়া খোটা দিলে আর আমি তোমার কাছে আসিব न्मा । বা-থিন চুপ করিয়া রহিল। কিন্তু ঋণের দায়ে পিতার মুক্তি হইবে না, এত বড় বিপত্তির কথা স্মরণ করিয়া তাহার সমস্ত অন্তরটা যেন শিহরিয়া উঠিল । বা-থিনের পরিশ্রম আজকাল অত্যন্ত বাডিয়াছে জাতক হইতে একখানা নূতন ছবি আঁকিতেছিল, আজ সারাদিন মুখ তুলিয়া চাহে नांझे । মা-শোয়ে প্ৰত্যহ যেমন আসিত, আজিও তেমনি আসিয়াছিল । বা-থিনের শোবার ঘর, বসিবার ঘর, ছবি আঁকিবার ঘর-সমস্ত নিজের হাতে সাজাইয়া গুছাইয়া যাইবন্ত । চাকর-দাসীর উপর এ কাজটির ভার দিতে তাহার কিছুতেই সাহস হইত না । সম্মুখে একখানা দৰ্পণ ছিল, তাহারই উপর বা-থিনের ছায়া পড়িয়াছিল। মা-শোয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত একদৃষ্টি চাহিয়া থাকিয়া হঠাৎ একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিল, বা-থিন, তুমি আমাদের মত মেয়েমানুষ হইলে এতদিন দেশের রানী হইতে পারিতে । বা-থিন মুখ তুলিয়া হাসিমুখে বলিল, কেন বল ত ? রাজা তোমাকে বিবাহ করিয়া সিংহাসনে লইয়া যাইতেন । তঁর অনেক রানী, কিন্তু এমন রঙ, এমন চুল, এমন মুখ কি তঁদের 8S