পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে মান্দালে চলিয়া যাইবে, সুতরাং ছবিও লাইবে না, টাকাও দিবে না । টাকার উল্লেখে মা-শোয়ে কষ্ট পাইত, লজ্জাবোধ করিত । রাগ করিয়া বলিল, কিন্তু তা বলিয়া ত তোমাকে এমন প্ৰাণপাত পরিশ্রম করিতে দিতে পারি না । বা-থিন এ কথার উত্তর দিল না । পিতৃঋণ স্মরণ করিয়া তাহার মুখের উপর যে মান ছায়া পড়িল, তাহা আর একজনের দৃষ্টি এড়াইল না । কহিল, আমাকে বিক্রি করিও, আমি দ্বিগুণ দাম দিব । বা-থিনের তাহাতে সন্দেহ ছিল না, হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কিন্তু করিবে কি ? মা-শোয়ে গলার বহুমূল্য হার দেখাইয়া বলিল, ইহাতে যতগুলি মুক্তা, যতগুলি চুনি আছে সবগুলি দিয়া ছবিটিকে বাধাইব, তার পরে শোবার ঘরে আমার চোখের উপর টােঙাইয়া রাখিব । তারপর ? হার পরে যেদিন রাত্রে খুব বড় চাঁদ উঠবে, আর খোলা জানালার ভিতর দিয়া তাহার জোৎসুর আলো তোমার ঘুমন্ত মুখের উপর খেলা করিতে থাকিবে তার পরে ? তারপরে তোমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে কথাটা শেষ হইতে পাইল না । নীচে মা-শোয়ের গরুর গাড়ি অপেক্ষা করিতেছিল, তাহার গাড়োয়ানের উচ্চকণ্ঠের আহবান শোনা গেল । বা-থিন ব্যস্ত হইয়া কহিল, তার পরের কথা পরে শুনিব, কিন্তু আর নয় । তোমার সময় হইয়া গেছে।-শীঘ্ৰ যাও । কিন্তু সময় বহিয়া যাইবার কোন লক্ষণ মা-শোয়ের আচরণে দেখা গেল না । কারণ সে আরও ভাল করিয়া বসিয়া কহিল, আমার SG