পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

53 প্ৰায় অপরাহ্নবেলায় মা-শোয়ের কপি-বাঁধানো ময়ুরপঙ্খী’ গোযান যখন ময়দানে আসিয়া পৌছিল, তখন সমবেত জনমণ্ডলী প্ৰচণ্ড কলরবে কোলাহল করিয়া উঠিল। সে যুবতী, সে সুন্দরী, সে অবিবাহিতা, এবং বিপুল ধনে অপিকারিণী। মানবের যৌবন-রাজ্যে তাহার স্থান অতি উচ্চে । তাই এখানেও বহু মানের আসনটি তাহারই জন্য নির্দিষ্ট হইয়াছিল। সে আজ পুষ্পমাল্য বিতরণ করিবে। তাহার পর যে ভাগ্যবান এই রমণীর শিরে জয়মাল্যটি সর্বাগ্রে পরাইয়া দিতে পরিবে, তাহার অদৃষ্টই আজ যেন জগতে হিংসা করিবার একমাত্র বস্তু। : সজ্জিত অশ্বপুষ্ঠে রক্তবর্ণ পোশাকে সওয়ারগণ উৎসাহ ও চাঞ্চল্যের আবেগ কষ্টে সংযত করিয়া ছিল । দেখিলে মনে হয়, আজ সংসারে তাহাদের অসাধ্য কিছু নাই। ক্ৰমশঃ সময় আসন্ন হইয়া আসিল, এবং যে কয়জন অদৃষ্ট পরীক্ষা করিতে আজ উদ্যত, তাহারা সারি দিয়া দাড়াইল এবং ক্ষণেক পরেই ঘণ্টার সঙ্গে সঙ্গে মরি-বাচি-জ্ঞানশূন্য হইয়া কয়জন ঘোড়া छूछेशा निल । ইহা বীরত্ব, ইহা যুদ্ধের অংশ। মা-শোয়ের পিতৃপিতামহগণ সকলেই যুদ্ধব্যবসায়ী, ইহার উন্মত্ত বেগ নারী হইলেও তাহার ধমনীতে বহমান ছিল। যে জয়ী হইবে, তাহাকে সমস্ত হৃদয় দিয়া সংবর্ধনা না করিবার সাধ্য তাহার ছিল না । তাই যখন ভিন্ন-গ্রামবাসী এক অপরিচিত যুবক আরক্তদেহে, 8