পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কম্পিত-মুখে, ক্লেদ সিক্ত হন্তে তাহার শিরে জয়মাল্য পরাইয়া দিল, তখন তাহার আগ্রহের আতিশয্য অনেক সন্ত্রান্ত রমণীর চক্ষেই কটু বলিয়া ঠেকিল । ফিরিবার পথে সে তাহাকে আপনার পাশ্বে গাড়িতে স্থান দিল এবং সজলকণ্ঠে কহিল, আপনার জন্য আমি বড় ভয় পাইয়াছিলাম ; একবার এমনও মনে হইয়াছিল, অত বড় উচু প্ৰাচীর, কোনরূপে যদি কোথাও পা ঠেকিয়া যায় । যুবক বিনয়ে ঘাড় হেঁট করিল, কিন্তু এই অসমসাহসী বলিষ্ঠ বীরের সহিত মা-শোয়ে মনে মনে তাহার সেই দুর্বল, কোমল ও সৰ্ববিষয়ে অপটু চিত্ৰকবের সহিত তুলনা না করিয়া পারিল না। এই যুবকটির নাম পো-থিন । কথায় কথায় পরিচয় হইলে জানা গেল, ইনিও উচ্চবংশীয়, ইনিও ধনী এবং তাহাদেরই দূর-আত্মীয় } মা-শোয়ে আজ অনেককেই তাহার প্রাসাদে সান্ধ্যাভোজে নিমন্ত্রণ করিয়াছিল, তাহার এবং আরও বহু লোক ভিড় করিয়া গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে আসিতেছিল। আনন্দোব আগ্রহে, তাহদের তাণ্ডব-নৃত্যেখিত ধূলার মেঘে ও সঙ্গীতের অসত্যু নিনাদে সন্ধ্যার আকাশ তখন একেবারে আচ্ছন্ন অভিভূত হইয়া পড়িতেছিল। এই ভয়ঙ্কর জনতা যখন তাহার বাটীর সুমুখ দিয়া অগ্রসর হইয়া গেল, তখন ক্ষণকালের নিমিত্ত বা-থিন তাহার কাজ ফেলিয়া জানালায় ठानि। मौद्रद 5ाश्शिों द्रश्लि। পােচ ৷ সান্ধ্যাভোজের প্রসঙ্গে পরদিন মা-শোয়ে বা-থিনকে কহিল, কাল সন্ধ্যাটা আনন্দে কাটিল । অনেকেই দয়া করিয়া আসিয়াছিলেন । শুধু তোমার সময় ছিল না বলিয়া তোমাকে ডাকি নাই। 8bም