পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই ছবিটা সে প্ৰাণপণে, শেষ করিতেছিল, মুখ না তুলিয়াই, বলিল, ভালই করিয়াছিলে । এই বলিয়া সে কাজ করিতে व्लाव्लि । বিস্ময়ে মা-শোয়ে স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রহিল। কথার ভাবে তাহার পেট ফুলিতেছিল, কাল বা-থিন কাজের চাপে উৎসবে যোগ দিতে পারে নাই, তাই আজ অনেকক্ষণ ধরিয়া অনেক গল্প করিবে: মনে করিয়াই সে আসিয়াছিল, কিন্তু সমস্তই উলটা রকমের হইয়া গেল । কেবল এক এক প্ৰলাপ চলিতে পারে, কিন্তু আলাপের কাজ চলে না. তাই সে শুধু স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল, কিছুতেই অপর পক্ষের প্রবল ঔদাস্য ও গভীর নীরবতার রুদ্ধদ্বার ঠেলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিতে আজ ভরসা করিল না । প্ৰতিদিন যে-সকল ছোট-খাটো কাজগুলি সে করিয়া যায়, আজ সেগুলিও পড়িয়া রহিল—কিছুতেই হাত দিতে তাহার প্রবৃত্তি হইল না । এইভাবে অনেকক্ষণ কাটিয়া গেল, একবার বা-থিন মুখ তুলিল না, একবার একটা প্ৰশ্ন করিল না । কালকের অতবড় ব্যাপারের প্রতিও তাহার যেমন লেশমাত্ৰ কৌতুহল নাই, কাজের ফাঁকে হাফ ফেলিবারও তাহার তেমনি অবসর নাই । বহুক্ষণ পর্যন্ত নিঃশব্দে কুষ্ঠিত ও লজ্জিত হইয়া থাকিয়া অবশেষে সে উঠিয়া দাড়াইয়া মৃদুকণ্ঠে কহিল, আজি আসি । বা-খিন ছবির উপর চোখ রাখিয়াই বলিল, এসে । যাবার সময় মা-শোয়ের মনে হইল, যেন সে এই লোকটির অন্তরের কথাটা ববিয়াছে । জিজ্ঞাসা করে, একবার সে ইচ্ছা ও হইল বটে, কিন্তু মুখ খুলিতে পারিল না, নীরবেই বাহির হইয়া ८°{ळ्न । বাটীতে পা দিয়াই দেখিল, পো-থিন বসিয়া আছে। গতরাত্রি বা আনন্দ-উৎসবের জন্য ধন্যবাদ দিতে আসিয়াছিল । অতিথিকে মা 3 frTri-8