পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৷ আট ! এই অপমানে বা-থিনের চোখে জল আসিল । কিন্তু সে কাহাকেও দোষ দিল না, কেবল আপনাকে বারংবার ধিক্কার দিয়া কহিল, এ ঠিকই হইয়াছে । আমার মত লজ্জাহীনের ইহারই প্ৰয়োজন ছিল । কিন্তু প্ৰয়োজন যে ঐখানেই—ঐ একটা রাত্রির ভিতর দিয়াই শেষ হয় নাই, ইহার চেয়ে অনেক-অনেক বেশী অপমান যে তাহার অদৃষ্ট ছিল, ইহা দিন-দুই পরে টের পাইল, আর এমন করিয়া টেব পাইল যে, সে-লজ্জা সারাজীবনে কোথায় রাখিবে, তাহার কলকিনারা দেখিল না । যে ছবিটার কথা লষ্টয়া এই আখ্যায়িকা আরম্ভ হইয়াছে, জাতকের সেই গোপার চিত্রটা এতদিনে সম্পূর্ণ হইয়াছে। একমাসেব অধিক কাল অবিশ্ৰান্ত পরিশ্রমের ফল আজ শেষ হইয়াছে । সমস্ত সকালটা সে এই আনন্দেই মগ্ন হইয়া রহিল ! ছবি রাজ-দরবারে যাইবে, যিনি দাম দিয়া লইয়া যাইবেন। সংবাদ পাইয়া তিনি উপস্থিত হইলেন । কিন্তু ছবির আবরণ উন্মুক্ত হইলে তিনি চমকিয়া গেলেন। চিত্ৰ-সম্বন্ধে তিনি আনাড়ী ছিলেন না ; অনেকক্ষণ একদৃষ্টি চাহিয়া থাকিয়া অবশেষে ক্ষুদ্ধস্বরে বলিলেন, এ ছবি আমি রাজাকে দিতে পারিব না ! বা-থিন ভয়ে বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া কহিল, কেন ? তার কারণ এ মুখ আমি চিনি। মানুষের চেহারা দিয়া দেবতা গড়িলে দেবতাকে অপমান করা হয়। এ কথা ধরা পড়িলে রাজা আমার মুখ দেখিবেন না। এই বলিয়া সে চিত্রকারের বিস্ফারিত ዕ %