পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরঞ্চ, গৃহে ফিরিবার পথে আজ তাহার পুলকিত চিত্ত পুনঃ পুনঃ এই কথাটাই আপনাকে আপনি কহিতে লাগিল, আর ভয় নাইতাহার সফলতার পথ নিষ্কণ্টক হইতে আর বোধ হয় অধিক বিলম্ব হইবে না । বিলম্ব হইবে না, সে কথা সত্য । কিন্তু কত শীঘ্র এবং তবড় বিস্ময় যে ভগবান তাহার অদৃষ্ট লিখিয়া রাখিয়াছিলেন, 4, স্{জ কল্পনা করাও তাহার পক্ষে সম্ভব ছিল না । 死冲1日 ঋণের দাবীর চিঠি আসিল ! কাগজখানা হাতে করিয়া বা-থিন অনেকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া বহিল। ঠিক এই জিনিসটি সে আশা করে নাই বটে, কিন্তু আশ্চৰ্যও হইল না ! সময় অল্প, শীঘ্ৰ কিছু একটা করা চাই । একদিন নাকি মা-শোয়ে রাগের উপর তাহার পিতার অপব্যয়ের প্ৰতি বিদ্রুপ করিয়াছিল, তাহার এ অপরাধ সে বিস্মৃতও হয় নাই, ক্ষমা ও করে নাই । তাই সে সময়ভিক্ষার নাম করিয়া আর তাহাকে অপমান করিবার কল্পনাও করিল না । শুধ চিন্তা এই যে, তাহার যাহা-কিছু আছে, সব দিয়াও পিতাকে ঋণমুক্ত করা যাইবে কিনা। গ্রামের মধ্যেই একজন ধনী মহাজন ছিল। পরদিন সকালেই সে তাহাব কাছে গিয়া গোপনে সর্বস্ব বিক্রি করিবার প্রস্তাব করিল। দেখা গেল, যাহা তিনি দিতে চাহেন, তাহাই যথেষ্ট । টাকাটা সে সংগ্ৰহ করিয়া ঘরে আনিল, কিন্তু একজনের অকারণ হৃদয়হীনতা যে তাহাব সমস্ত দেহমানের উপর অজ্ঞাতসারে কতবড় আঘাত দিয়াছিল, ইহা সে জানিল তখন, যখন জ্বরে পড়িল । কোথা দিয়া যে দিন-রাত্রি কাটিল, তাহার খেয়াল রহিল না । (Šტი