পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাক্ষালা সাহিত্য (গদ্যের আদ্যাবস্থা) [ ২২৮ ] বাঙ্গাল সাহিত্য (গদ্যের আদ্যাবস্থা) অপর দেশজ শব্দ এই সকল গ্রন্থে অতি বিরল। ঐচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থখানি এই সকল গ্রন্থের বহুপূৰ্ব্বে লিখিত হইলেও উহাতে ব্ৰজভাষা ও মুসলমানী শব্দের যথেষ্ট প্রয়োগ আছে। কিন্তু গল্প গ্রন্থকারগণ ভ্ৰমেও এই সকল শৰ ব্যবহার করেন নাই। এই সময়ের গপ্ত সাহিত্যের অীয় একটা বিশেষত্ব এই যে, ইহাতে কোমলীকৃত পম্ভে ব্যবহৃত সংপ্রসারিত শব্দের সমাবেশও দেখিতে পাওয়া যায় না। এই কালের বৈষ্ণবকবিগণ গর্জন স্থলে গরজন, বর্ষণ স্থলে বরিবণ, নিৰ্ম্মল স্থলে নিরমল লিখিয়া শব্দ সংপ্রসারণ ও শব্দের কোমলতা সাধন করিতেন। কিন্তু গন্ধলেখকগণ পল্পসাহিত্যে অহৰ্নিশ জাকণ্ঠ নিমজ্জিত থাকিয়াও পষ্ঠে ব্যবহৃত শব্দের অথবা গ্রাম্য শব্দের ব্যবহার করেন নাই। কিন্তু রামাই পণ্ডিত স্থানে স্থানে একটুকু গল্প লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াও উহ! পমের রীতিতে বেমালুম মিশাইয়া ফেলিয়াছেন। সহজিয়া সম্প্রদায়ের লেখকগণের মধ্যেe কেহ কেছ স্থানে স্থানে পড়বং পদবিদ্যাস করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন ৰটে, কিন্তু এরূপ স্থল অতি বিরল। ঐ সকল গ্রন্থই গল্প সাহিত্যের ভিত্তি ক্রমশঃ সুদৃঢ় করিয়া তুলিতেছিল। গদ্য-গ্ৰথনের উপযোগিনী শক্তি যে প্রচ্ছন্ন অথচ দৃঢ়ভাবে এই সকল সহজিয়া গ্রন্থে লুকায়িত ছিল তাহাতে আর মতদ্বৈধ থাকিতে পারে না। খৃষ্টীয় ১৭শ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতেই এদেশের লেখকদের মধ্যে কাহারও কাহারও গদ্য গ্রন্থ বিয়চনের বাসনা ক্রমশঃ বলবতী হইয় উঠে । এক সহস্ৰ বৎসর পুৰ্ব্ব হইতে যে বঙ্গভাষার গদ্যসাহিত্য অঙ্কুরিত হইতেছিল, সাতশত বৎসর পরে উহার যুগলপলাশ’ সহজিয়া গ্রন্থে প্রকাশ পায়। এই আদিমযুগের শেষভাগে বেদাদিত্য-নির্ণয়” নামক গ্রন্থে আমরা সুদীর্ঘ বাক্যবিন্যাসের রচনা দেখিতে পাই । এই সময়ে পণ্ডিও ব্যক্তিদিগের হৃদয়ে বাঙ্গালী গদ্যরচনা করার নিমিত্ত বাসনা বলবতী হইয় উঠে। বেদাদিতত্ত্বনির্ণয় গ্রন্থখানি অনুবাদগ্রন্থ লছে । জনৈক বৈঞ্চব পণ্ডিত সুদীর্ঘ বাক্যবিন্যাসে এই গ্রন্থ রচনা করেন। বাঙ্গালা গদ্যে দর্শনবিজ্ঞান ও চিকিৎসা প্রভৃতি শাস্ত্র যে অনায়াসে লিখিত ও প্রচারিত হইতে পারে, এই গ্রন্থেই তাছার প্রথম চিহ্ন পরিস্ফুট হইয় উঠে। এই গ্রন্থখানি এখনও মুঞ্জিত হয় নাই । এই শব্দবিন্যাস, পদপ্রয়োগ ও বিষয়ের গুরুত্বে তৎসময়ের পক্ষে একখানি শ্রেষ্ঠ গল্প গ্রন্থ বলিলে अङ्कखि श्न मां ।। ७हे अश्धनिद्र खांब ब्रांब ब्रांमएमांश्न রায়ের ভাষা হইতে জটিল নহে, বিষয়াদি তদপেক্ষ তরল নহে। हेडिगूर्क आहे डांबाब्र नमूना डेरू उ श्वाप्इ । * সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগের এই গণ্ডসাহিত্য গ্রন্থখানিকে শব্দে জপরিবর্তন

  • ङ्गा९ि श्रृंश्iिश्

আমরা সুগ্রথিত বাঙ্গালাসাহিত্যের আদিম গ্রন্থ বলিঙ্কা মনে করি, কিন্তু গ্ৰন্থখানি সুগ্রথিত হইলেও গদ্য রচনার রীতি ও সৌন্দর্য্য বিষয়ে ইহাতে সবিশেষ উৎকর্ষ দেখা যায় মা। ইহার কিছু কিছু পরিবর্ত সময়ে বিরচিত “শ্ৰীবৃন্দাবনপরিক্রমা” নামক গদ্য &श्शांनिग्न लांब श्लशिङ ७ भरमांभन । शब्दांछिभङ ७थ5ांद्भः বাসনাই এই যুগের গ্রন্থরচনার একমাত্র উদ্দেশু। ভাবের মৌলিকতাই এই সময়ের গ্রন্থরচনার প্রধানতম উপাদান। বঙ্গীয় গদ্যসাহিত্যের আদিযুগে ক্রিয়ার শোচনীয় অভাব পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ স্থলেই ক্রিয়ার অভাব থাকিত। কৰ্ত্তার সহিত ক্রিয়ার অন্বয় করিয়া বাক্যবিষ্ঠাসের সুরীতি ছিল না। ক্রিয়াবাচক শব্দেরও ষথেষ্ট অভাব ছিল । ফলতঃ গল্প অপেক্ষ পদ্যেই ব্যাকরণের মান্য অধিকতর সংরক্ষিত হইত। ক্রিয়াপদপ্রয়োগের বিরলত্তায় কারক বা বিভক্তির চিহ্ন অল্প স্থলেই পরিলক্ষিত হয় । গদ্য রচনার ক্রমোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই দোষ ধীরে ধীরে পরিষ্কত হইয়াছিল। পরবর্তী লেখকগণের রচনাপ্রণালীতে ক্রিয়ান্বিত ক্রিয়াপদ বাক্যের আধিক্য দেখিতে পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বে “করিয়া” “পাইয়া” ইত্যাদি স্থলে "কর্যা” “পীয়া" এইরূপ লিখিত হইত। কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই আমরা "হইয়া” দেখিয়াছি। পষ্ঠে হৈয়া” লিখিত হয় । কিন্তু গদ্যগ্রন্থকারগণ “হইয়া” লিখিতেন। “হইয়া” পদটী বাঙ্গালা ভাষার একরূপ নিত্যপদ স্বরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । অলিম্বনচঞ্জিকা গ্রন্থে “মোছাইঞ্চ” স্থলে “মোছন করিয়া” লিখিত আছে । আরও তুই একখানি গ্রন্থে এইরূপ পদ দেখিয়াছি । নিচ, প্রত্যয়ান্ত পদে অধুনা কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হইয়াছে । আমরা বস্ত্র “পরাইয়া” দেই, কিন্তু প্রাচীন সাহিত্যিকগণ বস্ত্র “পরায়্যা” দিতেন। সম্ভবতঃ দেশ কাল ভেদে উচ্চারণবৈষম্যে এইরূপ পরিবর্তন ঘটয়াছে। এখন বঙ্গের এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রাস্তু পর্য্যন্ত লিখিত ভাষায় পদপ্রয়োগসাম্য পরিলক্ষিত হয় । কথিত ভাষায় শত প্রকল্প পার্থক্য থাকিলেও লিখিত ভাষার আর পার্থক্য দেখা যায় না । “দিলেন স্থলে “দিলা”, “করিলেন” স্থলে “করিলা" ইত্যাদি পদপ্রয়োগ, পষ্ঠে ব্যবহৃত শব্দেরই প্রতিধ্বনি । গদ্য লেখকগণের মধ্যে কেহ পুরুষামুগত ক্রিয়ার ব্যবহার করিতেন, কিন্তু অনেকেই পদবিগুসের অপূর্ণত এইরূপ পদ প্রয়োগ করিয়া পদ্যের অসঙ্গত রীতির অমুসরণ করিয়া গিয়াছেন। "খর্ণিল” “নিকলিল” প্রভৃতি সংক্ষিপ্ত ক্রিয়াপদের স্রষ্ট মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ইহাই অনেকের বিশ্বাস। ফলতঃ তাহার বহুপূৰ্ব্বে প্রাচীন গন্ধে এইরূপ অনেক পদ দেখিতে পাওয়া যায়। “লিখিয়া লইল” প্ৰচলিয়া গেল” “মানিয়া কেলিল”