পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিক্রমাদিত্য [ ৪৯২ ] বিক্রমাদিত্য অকুনয় বিনয় করিয়া পত্র লিখিলেন, কিন্তু তাছাত্তে কোনও शएणांलग्न झहैल मां । জয়সিংহ তাহার অগ্রজের আমুনয়বিনয়ে আয়ও গৰ্ব্বিত হইয়া উঠিল, সৈন্তসামন্তসহ শরৎকালে কৃষ্ণানদীর তটে উপস্থিত হইয় প্রজাবর্গের প্রতি মৃৎপরোনাস্তি অত্যাচার করিতে প্রবৃত্ত হইল । অবশেষে জয়সিংহ একদিবস বিক্রমাদিত্যকে অবমাননাসুচক একপত্র লিখিল । বিক্রমাদিত্য ইহাতেও কোনপ্রক্টর উত্তেজিত মা হইয়া নীরবে সকল প্রকার দুৰ্ব্বাক্য ও অত্যাচার সহ করিতে লাগিলেন । কিন্তু তাঁহাতে ক্রমেই তাছার অনুজের ম্পৰ্দ্ধা সহস্র গুণে বাড়িতে লাগিল। তখন বিক্রমাদিত্য অগত্যা সমরস্থলে উপস্থিত হইলেন এবং ভ্রাতাকে প্রতিনিবৃত্ত হইতে পুনরায় বিশেষ অনুরোধ করিলেন, কিন্তু গৰ্ব্বমদান্ধ জয়সিংহ কিছুড়েই অগ্রজের সে অনুরোধ শুনিল না। যুদ্ধ অনিবাৰ্য্য হইয়া উঠিল। কিন্তু শৌর্যবীৰ্য্যশীল বিক্রমাদিত্যের আক্রমণে জয়সিংহের পক্ষ পরাস্ত হইল, সৈন্তাগণ পলায়ন করিল, জয়সিংহ ৰন্দী হইলেন । বিক্রমাদিত্য এ অবস্থাতেও অনুজের প্রতি যথেষ্ট সদয় ব্যবহার করিয়াছিলেন। যুদ্ধের অবসানে বিক্রমাদিত্য পুনৰ্ব্বার কল্যাণ নগরে প্রত্যাবর্তন করিলেন। ইহার পর বিক্রমাদিত্যের রাজ্যে আর কোনও প্রকার ছুর্নিমিত্ত দেখা দেয় নাই, দুর্ভিক্ষ বা লোকপীড়াও ঘটে নাই । তিনি স্বীয় অনুরূপ পুত্র ও ধনাদি প্রাপ্তিদ্বারা যথেষ্ট পরিতৃপ্ত হইয়াছিলেন। দরিদ্রদিগের প্রতি র্তাহার অসীম দয়া ছিল । তিনি ধৰ্ম্মশালা ও দেবমন্দিরাদি স্বীয় নামে প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। তাহার অন্যান্ত অগণ্য কীৰ্ত্তির মধ্যে বিষ্ণুকমলাবিলাসীর মন্দির সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই মন্দিরের সম্মুখে এক বিশাল সরোবর খনিত হয়। উহার পুরোভাগে তিনি বহুল দেবমন্দির ও স্বয়ম্য হৰ্ম্ম্যাদিপুর্ণ বিক্রমপুর নামে এক বিশাল নগরী নিৰ্ম্মাণ করেন । এইরূপে দীর্ঘকাল মুখশাস্তিতে অতিবাহিত হইলে আবার চোলরাজগণ বিদ্রোহুভাবালম্বন করেন। বিক্রমাদিত্য র্তাহাদিগকে দমন করিবার জন্ত আবার সসৈন্তে কাঞ্চীনগরের অভিমুখে অভিযান করেন। এই যুদ্ধেও চোলনৃপতিগণ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বারের স্থায় পরাজিত হইয়া পলায়ন করিয়াছিলেন। বিক্রমাদিত্য কাঞ্চীনগর পুনরায় অধিকার করিয়া তথায় স্বীয় আধিপত্য সংস্থাপন এবং কিছুদিন অবস্থান করিয়া পুনৰ্ব্বার রাজধানী কল্যাণনগরে প্রত্যাবর্তনপূর্বক সুখশাস্তিতে কাল অতিবাহিত করিতে লাগিলেন। বিক্রমের শেষাৰস্থায় পাও্য, গোয়া ও কোঙ্কণের রাজগণ যাদবপতি হোৎসল বিষ্ণুবৰ্দ্ধনের অধিনায়কতা সম্মিলিত इहेम्न जकरण कांशूकानांश्वांछा बांझभ१.रुrब्रन । विक्लभांर्मिङा আচ নামক র্তাহার এক সেনাপতিকে তাহীদের বিরুদ্ধে পাঠাইয়াছিলেন। রণসিংহ আচ পোয় সলকে দমন করিয়া গোয় অধিকার করেন, লক্ষ্মণকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করাইতে বাধ্য করেন, পাণ্ড্যের পশ্চাদ্ধাবিত হন, মলপগণকে বিপৰ্য্যস্ত করিয়া তুলেন, এবং কোঙ্কণকে অবরুদ্ধ করেন । এ ছাড়া তিনি কলিঙ্গ, বঙ্গ, মরু, গুর্জর, মালব, চের ও চোলপতিকে চালুক্যপতির অধীন করিয়াছিলেন । বিক্রমাদিত্য কেবল দয়াবানু, বীৰ্য্যবান ও অতুল ঐশ্বৰ্য্যশালী यनिग्न नाइ, डिनि निरछ विशान् ७ अउिनञ्च >खिउॉष्ट्रज्ञांनी ছিলেন। কাশ্মীরের সুপ্রসিদ্ধ কবি বিদ্যাপতি বিহ্বলণ বিক্রমাদিত্যের সভাপণ্ডিত ও রাজকবি বলিয়া গণ্য ছিলেন । [ বিহুলণ দেখ। ] যে মিতাক্ষর নামক ধৰ্ম্মশাস্ত্র আজও ভারতের সর্বত্র প্রধান স্মাৰ্ত্তগ্রন্থ বলিয়া পরিচিত, চালুক্যরাজ এই বিক্রমাদিত্যের সভাতেই বিজ্ঞানেশ্বর সেই মিতাক্ষর রচনা করিয়া বিখ্যাত হইয়াছিলেন । [ বিজ্ঞানেশ্বর দেখ । ] কল্যাণের সিংহাসনে বিক্রম ৫০ বর্ষকালঅধিষ্ঠিত ছিলেন । তিনি আপনার অধিকারে শকাব্দের প্রচলন বন্ধ করিয়া তৎপরিবর্তে “চালুক্যবিক্রমবর্ষণ প্রবর্তন করিয়াছিলেন । এই অব ৯৯৭ শকে ফাল্গুনী শুক্লাপঞ্চমীতে আরম্ভ । চালুক্যৰূপতির মৃত্যুর কিছুকাল পরেই এই অন্ধ উঠিয়া যায়। বিক্রমাদিত্যের মৃত্যুর পর ১৯৪৮ শকে তৎপুত্র ৩য় সোমেশ্বর পিতৃরাজ্য লাভ করেন। २२ विग्नमांग्निऊ । দক্ষিণাপথের অন্তর্গত গুন্তল নামক সামন্তরাজ্যে বিক্রমাদিত্য নামে তিনজন নৃপতি রাজত্ব করিতেন। তন্মধ্যে ১ম ব্যক্তি গুত্তলের ৩র নৃপতি মল্লিদেবের পুত্র, খৃষ্টীয় ১২শ শতাদের মধ্যভাগে বিদ্যমান ছিলেন। ২য় ব্যক্তি উক্ত জনপদের ৬ষ্ঠ নৃপতি ওত্তের পুত্র, অপর নাম আহবাদিত্য। ইনি ১১৮২ খৃষ্টাব্দে বিস্তমান ছিলেন। তৎপরে ৩য় ব্যক্তি ৮ম নৃপতি জোয়িদেবের পুত্র। গুত্তলের এই ৩য় বিক্রমাদিত্যের ১১৮৫ শকে ( ১২৬২ খৃষ্টাব্দে ) উৎকীর্ণশিলালিপি পাওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে, তিনি দেবগিরির যাদবরাজ মহাদেবের অধীন সামন্ত ছিলেন। ১৩ বিক্রমাদিত্য । দাক্ষিণাত্যের বাণরাজবংশেও একজন বিক্রমাদিত্য জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁার অপর নাম বিজয়রাহু । ইহার পিতার নাম প্রভূমেরুদেব। ইনি বড় প্রজারঞ্জক এবং খৃষ্টীয় ১২শ শতাৰে বিস্তুমান ছিলেন ।