- বিজয়৷ [ દર } বিজয়ী অনেকে সামন্তসেন হইতেই গৌড়ে সেনরাজারম্ভ এবং বরেন্দ্রভূমে বিজয়সেনের জন্মস্থান বলিয়া কল্পনা করেন, কিন্তু একথা ঠিক নহে। বিজয়সেনের পুত্র সুপ্রসিদ্ধ বল্লালসেন-স্বরচিত অদ্ভুতসাগরে বিজয়গেনকে গৌড়ের প্রথম সেনাধিপ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। তাহার দানসার্গর হইতে জানা যায় যে, বিজয়সেনই বরেক্সে প্রথম রাজা হইয়াছিলেন। বিজয়সেনের শিলালিপিতেও-“গৌড়েন্দ্রমত্রবদপাকৃতকামরূপ ভূপং কলিঙ্গমপি যন্তরস জিগায়।”(২• শ্লোক) ইত্যাদি বর্ণনা হইতে বেশ বুঝা যায় যে, বিজয়সেল গৌড়পতিকে বিশেষরূপে বিদলিত করিয়াছিলেন। বাস্তবিক গৌড়ের পাল নৃপতিকে পরাজয় করিয়া বিজয়সেনই সেনবংশে প্রথম গৌড়েশ্বর হইয়াছিলেন । গৌড়-জয়েয় পূৰ্ব্বে তিনি সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী কাশীপুরী (মেদিনীপুর জেলাস্থ বর্তমান কাশীয়াড়ী) নামক পৈতৃক সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বিজয়সেন গৌড় জয় করিয়া প্রহ্লামেশ্বর-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এখন সেই প্রাচীন মন্দিরের নিদর্শন নাই, কেবলমাত্র কতকগুলি প্রস্তররাশি সেই স্থানে পড়িয়া আছে। ঐ স্থানের অর্থাৎ দেওপাড়ার নিকট এখনও বিজয়নগর ও বিজয়পুর নামক স্থান দৃষ্ট হয়। প্রবাদ, ঐ স্থানে এক সময়ে বিজয়সেনের রাজধানী ছিল, এখন সামান্ত গ্রামে পরিণত । বিজয়সেন বৈদিকভক্ত ছিলেন। র্তাহার সময় বৈদিকধৰ্ম্মের পুনরভু্যদয় হয়। কায়স্থকুলগ্রন্থে ইনি ২য় আদিশূর বলিয়া পরিচিত। ইনি কুরঙ্গেষ্টি যজ্ঞ উপলক্ষে ৯৯৪ শকে বৈদিক ব্রাহ্মণ জানাইয়া তাহাদিগকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেন। ঐ সময় বঙ্গজ ও দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থগণের ঘোষ-বস্ন-গুহ মিত্রাদির পঞ্চ বীজপুরুষও এদেশে আগমন করেন। [ সেনরাজবংশশব্দে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] বিজয় (স্ত্রী) তিথিবিশেষ। এই তিথি বিজয়াদশমী নামেও খ্যাত। [ দশমীকৃত্য দুর্গাপুঞ্জ ও বিজয়াদশমী শব্দে দ্রষ্টব্য। ] ২ উমাসখী। ইনি গোতমের কষ্ট । “তামাগতাং সতী দৃষ্ট জয়ামেকামুবাচ হ। কিমৰ্থং বিজয় নাগাজ্জয়ন্তী চাপরাজিত ॥ সা দেব্য বচনং শ্রত্ন উবাচ পরমেশ্বরীং । গত নিমধিতাঃ সৰ্ব্বামখে মাতামহস্ত তাঃ। সমং পিত্র গৌতমেন মাত্রা চাপ্যন্নুরাধয়া ॥” (বামনপু ৪ অ') কালিকাপুরাণেও উক্ত বিবরণের উল্লেখ দেখা যায়। ৩ বিশ্বামিত্র সমারাধিত বিস্তাবিশেষ। বিশ্বামিত্র এই বিদ্যার উপাসনা করেন। শেষে তাড়ক প্রভৃতি রাক্ষসদিগের সংহারের জন্য তিনি রামচন্দ্রকে এই বিদ্যা শিথাইয়াছিলেন— XVlli ONAL “বিস্তামখৈনং বিজয় জাঞ্চ রক্ষেীগণ ক্ষিপুবিক্ষতা। অধ্যাপিপদগাধিস্থতো যথাবল্লিঘাতয়িষ্যন যুধি যাতুধানান্ ৷” ( ভাট ২২১ ) ৪ দুর্গা । ( হেমচন্দ্র ) দেবীপুরাণে লিখিত আছে, দুর্গ একসময় পদ্মনামক দুৰ্ব্বত্ত অসুররাজকে নিহত করেন, সেই জন্ত তদবধি জগতে তিনি বিজয়া নামে অভিহিত হন। “বিজিত্য পদ্মনামানং দৈত্যরাজং মহাবলম্। বিজয় তেন সা দেবী লোকে চৈবাপরাজিতা (দেবীপু৪৫ অ') ও যমভাৰ্য্যা । ৬ হরীতকী । ( জটাধর) ৭ বচ। ( রত্নমালা ) ৮ জয়ন্তী। ৯ শেফালিকা। ১০ মপ্লিষ্ঠা । ১১ শমীভেদ। ১২ গণিয়ারী। ( রাজনি” ) ১৩ স্থাবরবিধান্তর্গত মৌল বিষভেদ । ১৪ সাবিন্ধ্য গিরিজা। ১৫ আনন্দভৈরবী বট। ১৬ দন্তীবৃক্ষ। ১৭ নিগুণ্ডী, নিধিন্দা। ১৮ বচ। ১৯ শ্বেতবচ। ২• নীলীবৃক্ষ । ২১ বেড়েলা। ২১ নীলদুৰ্ব্ব । ২৩ মাদক দ্রব্য বিশেষ। চলিত সিদ্ধি বা ভাঙ, । ইহার পর্য্যায়—ত্ৰৈলোক্যবিজয়, ভঙ্গা, ইগ্রাসন, জয়, ( শব্দচ" ) বীরপত্র, গঞ্জ, চপলা, অজয়া, আনন্দী, হর্ষিণী । ইহার গুণ-কটু, কবায়, উষ্ণ, তিক্ত,বাতকফয়, সংগ্রাহী, বাক্প্রদ, বল্য, মেধাকারী ও শ্রেষ্ঠ দ্বীপন । (রাজনি") ভাবপ্রকাশের মতে ইহা কুণ্ঠনাশেও সমর্থ। রাজবল্লভ এই বিজয়ার গুণ সম্বন্ধে একটা সুন্দর কবিত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা করিয়াছেন— “জাত মনরমন্থনাজ্জলনিধেী পীযুষরূপী পুর ত্ৰৈলোক্যে বিজয়প্রদেতি বিজয়া শ্ৰীদেবরাজপ্রিয়া । লোকানাং হিতকামায়া ক্ষিতিতলে প্রাপ্ত নরৈঃ কামদ সৰ্ব্বাতঙ্কবিনাশহর্ষজননী যৈঃ সেবিতা সৰ্ব্বদা ॥” (রাজবল্লভ) ২৪ অষ্ট মহাদ্বাদশীর অন্তর্গত দ্বাদশী বিশেষ। ব্রহ্মপুরাণে লিথিত আছে, শুক্লপক্ষীয় দ্বাদশীর দিনে শ্রবণা নক্ষত্র হইলে ঐ দিন অতি পুণ্যজনক হয় এবং সেই দ্বাদশী বিজয়ী নামে অভিহিত হইয় থাকে। এই পুণ্য তিথির দিনে স্নান করিলে সৰ্ব্বতীর্থ স্নানের ফল এবং পুজাৰ্চনায় একবর্ষব্যাপিনী পুজার ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহাতে একবার জপ করিলে সহস্রবার জপের ফল হয় এবং দান, ব্রাহ্মণভোজন, হোম, স্তোত্রপাঠ কিংবা উপবাস সহস্র গুণে পরিণত হইয়া থাকে। এই বিজয়াদ্বাদশীর মাহাত্ম্য বাস্তবিকই চমৎকার। এই তিথিতে ব্ৰত করিবার বিধি আছে। হরিভক্তিবিলাসে এই দ্বাদশী ব্রতের বিধি এই- . রূপ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথমতঃ গুরু প্ৰণাম করিয়া তৎপরে সঙ্কল্প করিবে। এই সঙ্কল্পের একটী বিশেষ মন্ত্র আছে ; যথা—
- “वनl छू षङ्गदमिश्रीर मक्रण९ अवग१ खरष९ ।। ভদ৷ স তু মহাপুণা৷ দ্বাদশী বিজয়ী স্থত ।
