পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা [ ७०२ ] বিধবা বিধবযোমিং ( স্ত্রী ) বিধবা এব ঘোষিত ভাতিপুংস্কত্বাং পুংস্তম্। বিধবা স্ত্রী, বিধবা । [ বিধবা দেখ ] “কটুতিক্তরসায়নবিধবযোবিতে ভূজগতস্থরমহিষ্য । খর-করভ-চণক-বাতুল-নিম্পাবাশ্চার্কপুত্রস্ত ॥"(বৃহৎস ১৬৩৪) বিধবা (স্ত্রী) বিগতে ধবে ভর্তা ঘন্তাঃ। মৃতভক্তৃক স্ত্রী, যে স্ত্রীর পতি মরিয়া গিয়াছে। পৰ্য্যায়,-বিশ্বস্তা, জালিকা, ত্বও, যতিনী, যতি। (শদয়ত্বা") ধৰ্ম্মশাস্ত্রে হিন্দু বিধবার কর্তব্যাবর্তব্যের বিষয় বিশেষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। অতি সংক্ষিপ্তভাবে তাহার বিষয় অালোচনা করিয়া দেখা যাউক— "মৃতে ভৰ্ত্তার ব্রহ্মচৰ্য্যং তদস্বারোহণং বাইতি। ব্রহ্মচৰ্য্যং মৈথুনবর্জনং তাম্বলাদিবৰ্দ্ধনঞ্চ । যথ প্রচেতাঃ== - তামূলাভ্যঞ্জনঞ্চৈব কাংস্তপাত্রে চ ভোজনম্। যতিশ্চ ব্রহ্মচারী চ বিধবা চ বিবর্জয়েৎ ॥ অভ্যঞ্জনং আয়ুৰ্ব্বেদোক্তং পারিভাষিকং-স্থতিঃ– একাহারঃ সদা কার্য্যো ন দ্বিতীয়ঃ কদাচন। পর্যাঙ্কশী নারী বিধবা পাতয়েৎ পতিম্ ॥ গন্ধদ্রব্যঞ্চ সম্ভোগে নৈব কাৰ্য্যস্তয়া পুনঃ । তপণ প্রত্যহং কার্যাং ভঙ্গু কুশতিলোকৈ । এতত্ত্ব তৰ্পণং পুত্রপৌত্রান্তভাব ইতি মদনপারিজাতঃ। বৈশাখে কার্তিকে মাঘে বিশেষনিয়মঞ্চরেৎ । স্নানং দানং তীর্থযাত্রাং বিষ্ণোনামগ্ৰহং মুহুঃ ॥” (শুদ্ধিতত্ত্ব) স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তাছার অনুগমন বা ব্ৰহ্মচৰ্য্য জুবলম্বন করিয়া জীযন অতিবাহিত করিবে। স্বামীর অনুগমন বা ব্ৰহ্মচর্ঘ্য এই দুইটা ইচ্ছাবিকর , অর্থাৎ ইচ্ছানুসারে এই দুইটার একটা করিতে পারবে। ব্রহ্মচৰ্য্য শব্দে মৈথুন ও তামূলাদি বর্জন বুঝিতে হইবে। ব্রহ্মচর্যাং উপন্থসংযমঃ’ উপন্থসংযমের নামই ব্ৰহ্মচৰ্য্য। ব্রহ্মচারিণী বিধবা স্ত্রী স্মরণ, কীৰ্ত্তন, কেলি, প্রেক্ষণ, গুহভাষণ প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত অষ্টাঙ্গ মৈথুন পরিত্যাগ করবেন। তামূল সেবন, অভ্যঞ্জন ও কাংস্য পাত্রে ভোজন বিধবার পক্ষে অবৈধ। বিধবা একাহারী হইবে, দ্বিতীয়বার ভোজন করা তাহার পক্ষে নিষিদ্ধ। বিধবা স্ত্রীর পর্যাঙ্কে শয়ন করিতে নাই, পর্যাঙ্কে শয়ন করিলে তাছার স্বামীর অধোগতি হয়। বিধবা কোনরূপ গন্ধদ্রব্য ব্যবহার করিবে না। প্রতিদিন কুশতিলোদক দ্বারা তিনি স্বামীর তর্পণ করিবেন। পুত্র বা পৌত্র না থাকিলে তৰ্পণ অবশ্ববিধেয় । পুত্র পৌত্র থাকিলে তৰ্পণ না করিলেও চলে। বৈশাখ, কাৰ্ত্তিক ও মাঘ মাসে বিধবা বিশেষ নিয়মবতী হইয় গঙ্গাদি স্নান, দান, তীর্থযাত্রা ও সৰ্ব্বদা বিষ্ণুর মাম স্মরণ কল্পিৰেন। কাশীখণ্ডে বিধবার ধৰ্ম্ম ও কর্তব্যাকৰ্ত্তব্যের বিষয় এইরূপ লিখিত আছে যে, স্বামীর মৃত্যু হইলে স্ত্রী যদি কোন প্রকারে স্বামীর সহমৃতা হইতে না পায়ে, তাহা হইলে তাহার বিশুদ্ধ ভাবে চরিত্র রক্ষণ করা উচিত। কারণ চরিত্র নষ্ট হইলে তাহার নরক হইয়া থাকে। চরিত্রহীন বিধবার পতি এবং পিত মাতা প্রভৃতি সকলই স্বর্গস্থিত হইলেও তথা হইতে চু্যত হইয়া নিরয়গামী হইয়া থাকে। যে স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর পর যথাবিধি পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন, তিনি মৃত্যুর পর পুনৰ্ব্বার পতির সহিত মিলিত হইয়া স্বর্গমুখ ভোগ করিয়া থাকেন। বিধবার কবরীবন্ধন পতির বন্ধনের কারণ। এই জন্ত বিধবা সৰ্ব্বদা মন্তক মুগুন করিয়া রাখিবে । বিধবা অহোরাত্রের মধ্যে কেবল একবার ভোজন করিযে, দুইবার আহার করিবে না। ত্রিয়াত্র, পঞ্চরাত্র বা পক্ষত্ৰত অবলম্বন বা মাসোপবাসত্রত, চাম্ৰায়ণ, কৃচ্ছ চান্দ্রায়ণ, পরাকত্ৰত কিংবা তগুরুচ্ছ ব্ৰত আচরণ করিবে। যতদিন জীবিত থাকিবে, ততদিন যবার, ফল বা শাক আহার বা জলমাত্র পান করিয়া দেহযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিবে । বিধবা নারী পর্যাঙ্কে শয়ন করিলে পতিকে অধঃপাতিত করা হয়, এইজন্ত তাহাকে পতির মুখাভিলাষে ভূমিতে শয়ম করিতে হইবে। বিধবা কখন অঙ্গে উদ্বর্তন লেপন এবং গন্ধদ্রব্য ব্যবহার করিবে না। প্রতিদিন পতি ও তাহার পিতা এবং পিতামহের উদ্দেশে তাহীদের নাম ও গোত্র উচ্চারণ করিয়া কুশ ও তিলোদকের দ্বারা তৰ্পণ করিবে এবং পতিবুদ্ধিতে বিষ্ণুর পূজা করিবে। সৰ্ব্বব্যাপক বিষ্ণুকে সতত পতিরূপে ধ্যান করিবে । পতি জীবিতাবস্থায় যে সকল দ্রব্য ভাল বাসিতেন, সেই সকল দ্রব্য সদব্ৰাহ্মণকে সৰ্ব্বদা দান করিতে হইবে। বৈশাখ, কাৰ্ত্তিক ও মাঘ মাসে বিশেষ নিয়ম অবলম্বন করা বিধেয় । স্নান, দান, তীর্থযাত্রা এবং বারংবার বিষ্ণুর নামস্মরণ, বৈশাখ মাসে জলকুন্তদান, কাৰ্ত্তিক মাসে দেবস্থানে ঘৃতপ্রদীপ দান এবং মাঘমাসে ধান্ত ও তিল উৎসর্গ। এই সকল বিধবার অবগুকৰ্ত্তব্য। ইহা ভিন্ন বিধবা বৈশাখ মাসে জলসত্ৰ, দেবতার উপর জলধারা, পাছক, ব্যজন, ছত্র, স্বক্ষ বস্তু, কপুরমিশ্রিত চন্দন, তামূল, সুগন্ধিপুষ্প, অনেক প্রকার জলপাত্র, পুষ্পপাত্র, নানাবিধ পানীয় দ্রব্য এবং দ্রাহ্মণ ও রম্ভ প্রভৃতি ফল পতির প্রতিকামনায় সদব্ৰাহ্মণসমূহকে দান করিবে। কাৰ্ত্তিক মাসে ষবান্ন বা একবিধ অল্প আহার করিবে, বৃত্তাক ও শুকশিম্বী ( বল্পবট ) ভোজন করিৰে না । এই মাসে তৈল মধু ও কাংস্তপাত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই সময় মৌনব্ৰত অৰ