পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা লম্বন বিধেয়। মীেনী হইয়া থাকিলে মাসের শেষে ঘণ্টা দান, পাত্রে ভোজন নিয়ম করিলে মাসের শেষে স্থতপূর্ণ কংসা পাত্র দান, ভূমিশয্যা ব্ৰত করিলে শেষে শয্যাদান, ফল ত্যাগ করিলে ফল দান, ধান্তত্যাগ করিলে ধান্ত বা ধেন্থ দান করা বিধেয়। দেবাদি গৃহে ঘৃতপ্রদীপ দান অবগুকৰ্ত্তব্য এবং সকল দ্বান হইতে এই দান শ্রেষ্ঠ । মাঘমাসে স্বৰ্য্য কিঞ্চিৎ প্রকাশিত হইলে স্নান করিবে। এইরূপে প্রতিদিন স্নান করিয়া সামর্থ্যানুরূপ নিয়ম সকল অবলম্বন করিবে। এইমাসে ব্রাহ্মণ, সন্ন্যাসী ও তপস্বীদিগকে পকার, লাডু, ক্ষেণিক ও অন্তান্ত স্থতপক মিষ্টদ্রব্য ভোজন করাইবে। শীত নিবারণের জন্ত “ণ্ডক কাঠ দান, তুলাভর জামা এবং সুন্দর গাত্র বস্ত্র, মঞ্জিষ্ঠারাগরঞ্জিত বস্ত্র, জাতীফল, লবঙ্গাদিযুক্ত তাম্বল, বিচিত্র কম্বল, নিৰ্ব্বাত গৃহ, কোমল পাছক ও সুগন্ধি উদ্বর্তন দান করা বিধেয়। দেবাগারে কৃষ্ণগুরু প্রভৃতি উপহার দ্বারা পতিরূপী ভগবান প্রত হউন বলিয়া ভাবন করিয়া দেবপূজা করিবে। এইরূপ বিবিধ নিয়ম ও ব্রতের অনুষ্ঠান করিয়া বৈশাখ, কাৰ্ত্তিক ও মাঘ এই তিন মাস অতি বাহিত করিবে । বিধব স্ত্রী প্রাণ কণ্ঠাগত হইলেও বৃষে আরোহণ করিবে না, কষ্ণুক বা রঙ্গিন বস্ত্র পরিধান করিযে না। ভর্তৃতৎপর বিধবা পুত্রগণকে জিজ্ঞাসা না করিয়া কোন কাৰ্য্য করিবে না। এই রূপভাৰে কালযাপন করিলে বিধবাও মঙ্গলরাপিণী হইয়া থাকেন এবং তাহারা কুত্রাপি দুঃখ না পাইয়া অন্তকালে পতি- - লোকে গমন করিয়া থাকেন। ( কাপথ• ৪ অ• ) ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে লিথিত আছে যে, বিধবা প্রতিদিন দিনান্তে হবিষ্যান্ন ভোজন করিবে ও সৰ্ব্বদা নিষ্কাম হইবে। উৎকৃষ্ট বস্ত্র পরিধান, গন্ধদ্রব্য, সুগন্ধি তৈল, মাল্য, চন্দন, শঙ্খ, সিন্দুর ও ভূষণ বিধবার পরিত্যজ্য। নিত্য মলিন বস্ত্র ধারণ করিয়া নারায়ণ নাম স্মরণ করাই তাহার কর্তব্য। বিধবা স্ত্রী ঐকান্তিক ভক্তিমতী হইয়া নিত্য নারায়ণ সেবা, ও নারায়ণ নামোচ্চারণ ও পুরুষ মাত্রকে ধৰ্ম্মতঃ পুত্রতুল্য দর্শন করিবে। বিধবার মিষ্টান্ন ভোজন বা অর্থসঞ্চয় করিতে নাই। তিনি একাদশী, শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, শ্রীরামনবমী ও শিবচতুর্দশীতে নিরন্থ উপবাস করিয়া থাকিবেন। অঘোরা ও প্রেতা চতুর্দশী তিথিতে এবং চন্দ্র সুর্য গ্রহণ কালে ভ্ৰষ্ট দ্রব্য বিধবার পক্ষে নিষিদ্ধ। शङब्रार उल्बाउँौठ अछ बउ cङअम रुद्रे विषग्र । दिषवांद्र পক্ষে তাল ও সুরা গোমাংসের তুল্য, সুতরাং উহু বি পরিত্যাগ করবে। রক্তশাক, মস্বর, জৰীয়, পর্ণ ও বর্ডলাকার অলাবুও নিষিদ্ধ। ( సిలి ) विक्ष्वां বিধৰা পর্যাঙ্কশায়িনী হইলে পতিকে পাতিত করে এবং যানারোহণ করিলে স্বয়ং নরকগামিনী হয়। সুতরাং ইহা পরিত্যাগ করিবে। কেশসংস্কার, গাত্রসংস্কার, তৈলাভ্যঙ্গ, দর্পণে মুখদর্শন, পরপুরুষের মুখদর্শন, যাত্রা, নৃত্য, মহোৎসৱ, মৃত্যকারী গায়ক এবং সুবেশসম্পন্ন পুরুষকে কদাপি দৰ্শন করিবে না। সৰ্ব্বদা ধৰ্ম্মকথা শ্রবণ করিয়া সময় অতিবাহিত করিৰে। (ব্রহ্মবৈবর্তপুং শ্ৰীকৃষ্ণজন্মখ ৮৩ অe ) “মুতে ভৰ্ত্তার সাধী স্ত্রী ব্ৰহ্মচর্য্যে ব্যবস্থিত । স্বৰ্গং গচ্ছত্যপুত্রাপি যথা তে ব্ৰহ্মচারিণঃ ” (বিষ্ণুসংহিতা ২৫।১৭ ) স্বামীর মৃত্যুর পর সাধী স্ত্রী ব্রহ্মচৰ্য্য ব্ৰতাবলম্বন করিয়া অবস্থান করিবে, যদি পুত্রবতী না হয়, তাহা হইলেও এক ব্ৰহ্মচৰ্য্যপ্রভাবে স্বর্গে গমন করিয়া থাকে। মনুতে লিখিত আছে যে, পিতা যাহাকে দান ৰ পিতার অনুমতি ক্রমে ভ্রাত যাহাকে দান করিয়াছেন, সেই স্বামীর জীবিতকাল পর্য্যন্ত শুশ্রুষা করা এবং স্বামীর মৃত্যুর পর ও ব্যভিচারাদি দ্বারা তাহাকে উন্নজন না করা স্ত্রীমাত্রেরই অবগুকৰ্তব্যু। স্ত্রীদিগের বিবাহ কালে পুণ্যাহবাচনাদি, স্বস্ত্যয়ন ও প্রজাপতি দেবতার উদ্দেশে যে হোম করা হয়, সে কেবল উভয়ের মঙ্গলার্থ মাত্র, কিন্তু বিবাহকালে যে সম্প্রদান করা হয়, তাহাতেই স্ত্রীদিগের উপর স্বামীর সম্পূর্ণ স্বামিত্ব জন্মে। তদযধি স্ত্রীলোকের স্বামপরতন্ত্রতাই একমাত্র উপযুক্ত। পতি গুণহীন হইলেও তাহাকে উপেক্ষ না করিয়া দেবতার দ্যায় সেবা করা কর্তব্য। স্ত্রীলোক সম্বন্ধে স্বামী বিনা পৃথক যজ্ঞ নাই, স্বামীর অনুমতি ব্যতীত ব্ৰত ও উপবাস নাই। কেবল পতিসেবা দ্বারাই স্ত্রীলোক স্বর্গে গমন করিয়া থাকে। স্বামী জীবিত থাকুন বা মৃত হউন, স্বাধী স্ত্রী পতিলোককামী হইয়া কখন তাহার অপ্রিয়াচরণ করিবে না। পতি মৃত হইলে স্ত্রী স্বেচ্ছানুসারে মূল ও ফলদ্বারা জীবন ক্ষয় করিবেন, কিন্তু কখন পতিবিন পরপুরুষের নামোচ্চারণ করিযেন না। যতদিন না আপনার মরণ হয়, ততদিন তিনি ক্লেশসহিষ্ণু ও নির্মচারী হইয়া মধু মাংস ও মৈথুনাদি বর্জনরূপ ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিয়া অবস্থান করিবেন। একমাত্র ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করাই বিধবাদিগের শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । সাধী বিধবা স্ত্রী অপুত্র হইলেও একমাত্র ব্রহ্মচৰ্য্যবলে স্বর্গে গমন করিয়া থাকেন। ( भृश् ॰ विश्रु;ांग् ) সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রই একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন যে, স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা ব্রহ্মচর্ঘ্য অবলম্বন করিয়া জীবন অতিবাহিত করিবেন। এই বিষয়ে কোন ধৰ্ম্মশান্ত্রের বিরোধ নাই। ইহাতে