পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* গঙ্গা - হইতে এই শাখার উৎপত্তি। বর্তমান মানচিত্রে দেখা যায়, গৌড়ের দক্ষিণ দিয়া পূৰ্ব্বমুখে গিয়া যে নদী পদ্মনাম ধারণ করিয়া শেষে কীৰ্ত্তিনাশা নামে সাগরে মিলিত হইয়াছে, তাছাকেই প্রকৃত গঙ্গানদী বলিয়া বোধ হয়, এই জন্তই কৃত্তিবাস প্রভৃতি বঙ্গীয় কবিগণ গঙ্গাকে পদ্মার সহিত মিশাইয়া আবার গৌড়নগরের নিকট হইতে দক্ষিণদিকে গঙ্গাকে . টানিয়া আনিয়াছেন । এরূপ করিবার , তাৎপৰ্য্য কি ? বোধ হয়, পূৰ্ব্বকালে এই গৌড়নগরের দক্ষিণে সাগরসঙ্গম ছিল, পরে গঙ্গার স্রোত ও সমুদ্র সরিয়া পড়ায় মূল গঙ্গা . হইতে অনেক শাখা বাহির হইয়া কতক দক্ষিণ ও পূৰ্ব্বমুখী হয় । সমুদ্র সরিয়া যাওয়ায় ইহার মধ্যে যে বিস্তীর্ণ ভূভাগ পড়িয়া গেল, তাহাতেই বিস্তীর্ণ গাঙ্গেয় বদ্বীপের উৎপত্তি। যেরূপ ভূভাগ হইল, তাছাও পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে। এই অংশে গঙ্গার গতি প্রত্যহই অল্প অল্প পরিবর্তন হইতেছে। ৫• বর্ষ পূৰ্ব্বে যেখান দিয়া গঙ্গ। প্রবাহিত হইত, এখন সেখানে আদে জল নাই। কিছুদিন পূৰ্ব্বে ঠিক যেখানে সাগরসঙ্গম ছিল, এখন সেখানে ভূভাগ । ২৪ পরগণার মধ্যে এইরূপ পরিবর্তন প্রত্যক্ষ দেখা যায়। এথন যে কালীঘাটে ক্ষুদ্রাকার আদিগঙ্গা প্রবাহিত, এক সময় সেই স্থান দিয়া প্রভূতসলিল বিস্তীর্ণ ভাগীরথী প্রবাহিত ছিল। এখনকার কালীঘাটের দক্ষিণে আর কিছুদূর গমন করিলে গঙ্গার গর্ভ ভিন্ন আর কোন নিদর্শন নাই। কিন্তু দুই শত বর্ষ পূৰ্ব্বেও সেই সকল স্থান দিয়া স্রোতস্বতী গঙ্গা প্রবাহিত ছিল । সাগরের সহিত এই গঙ্গার যোগ ছিল, বড় বড় নৌকা তাহার মধ্য দিয়া যাতায়াত করিত। তাহা বঙ্গীয় কবি কৃষ্ণরামের রায়মঙ্গলের নিম্নলিখিত কএকটী কবিতা পাঠ করিলেই জানিতে পারা যায়— - “গাঠের গাবর যত, বাহিতে বড়ই রত, ছাড়াইল দুর্জয় মগর। গোজনা বাহিয়া চলে, কর্ণধার কুতূহলে, ধামাই বেতাই কৈল পাছে । সারি গায় জুড়ি জুড়ি, কাকদ্বীপ গজঘড়ি, ছাড়াইল বণিকের রাজে । টয়াখোল পাছুমান, গঙ্গাধারায় করি মান, উপনীত হইল ছত্রভোগ ॥ জমুলিঙ্গ মহাস্থান, নাহি যায় উপমান, তথায় বঙ্গিল বিশ্বনাথ । বাজে বাদ্য মুমধুর, বাহির রাজাবিষ্ণুপুর, জয়নগর করিল পশ্চাৎ ॥ w లిస్తె [ 3లి ] গঙ্গাগোবিন্দসিংহ সঘনে দামামাধবনি, ভাবি রায় গুণমণি, বড় ক্ষেত্র বাছিল আনন্মে। " বারাসতে উপনীত হইয়া সাধু হরৰিত, পূজিল ঠাকুর সদাননে ॥ বাহিল হামুড়ি করি, চালাইল সপ্ততরি, থলটা করিল পাছু অান। দুই দুর্গাক্রমে • •, বাহিয়া হরিষে ডিঙ্গা, به বাজে কাড়া বরণ বিশাল ॥ সাধুঘাট পাছে করি, স্বৰ্য্যপুর বাহে তরি, চাপাইল বারুইপুরে আসি । বিশেষ মহিমা বুঝি, বিশালক্ষ্মী দেবী পূজি, বাহে তরি সাধু গুণরাশি। মালঞ্চ রহিল দুর, বাহিয়া কল্যাণপুর, কল্যাণমাধব প্ৰণমিল । বাহিলেক যত গ্রাম, কি কাজ করিয়া নাম, , বড়দহঘাটে উত্তরিল ॥” (রায়মঙ্গল ॥ ৪৯ ৷ ) কালীঘাটের কিছুদূরে গিয়া আদিগঙ্গা অদৃপ্ত হইলেও এখনও উক্ত স্থানবাসীগণ আপনাদিগকে গঙ্গাতীরবাসী বলিয়া পরিচয় দেন এবং গঙ্গাগৰ্ভ কাটাইয়া এখন যে সকল সরোবর হইয়াছে, তাহার জলও গঙ্গাতুল্য পবিত্র ভাবিয়া পুজাদি সকল কাৰ্য্যে ব্যবহার করেন। এখন আদিগঙ্গ। অর্থাৎ বঙ্গদেশের প্রকৃত গঙ্গা সাগরে মিলিত নাই। এ আদিগঙ্গার এইরূপ অপুৰ্ব্ব পরিবর্তন দেখিয়া প্রসিদ্ধ স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন লিখিয়াছেন— “প্রবাহমধ্যে বিচ্ছেদেভু অস্তঃসলিলবাহিত্বান্ন দোষ । অন্যথা ইদানীং গঙ্গায়াঃ সাগরগামিত্বামুপপত্তেঃ * ( প্রায়শ্চিত্ততত্ত্ব ) ७थन cयथाप्न अन्नांद्र थदांश् नाहे cनथाप्न शत्र অন্তঃসলিলা এইরূপ স্বীকার করিলে কোন দোষ হয় না । না হইলে বর্তমান সময়ে গঙ্গার সাগর গমন অসিদ্ধ হইয়া পড়ে । ৩ হিমালয়ের কন্ঠ । ৪ নদী । “সপ্তগtঙ্গং* সি” কেী• । ও শরীরস্থ ইড়া নাড়ী। ইড়া ভগবতী গঙ্গা পিঙ্গল যমুনা নদী।” (হঠযোগপ্রদীপিকা ৩|১১• ) - গঙ্গাকা (স্ত্রী ) গঙ্গা এব গঙ্গা-স্বার্থে কন্‌টাপ আকারস্ত বিকল্পেন হ্রস্বত্বম্ (অভাষিতপুংস্কাচ্চ। পী ৭৩.৪৮) গঙ্কা । গঙ্গাক্ষেত্র (ক্লী ) গঙ্গায়াঃ ক্ষেত্ৰং ৮তৎ। গঙ্গার তীর হইতে উভয়পর্শ্বে দুইক্রোশ পর্য্যন্ত স্থান। “তীয়া গকৃতিমাত্রস্তু পরিতঃ ক্ষেত্ৰমুচ্যতে।" (স্কন্দপুং ) গঙ্গাগোবিন্দসিংহ, পাইকপাড়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্রসিদ্ধ ওয়ারেণ হেক্টংসের দেওয়ান। তাহার পিতার , नांनcशोइांत्र ।