পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* , গঙ্গাধর কবিরাজ - ঐ সময়ে তিনি দুইখানি মহাকাব্য লেখেন, একখানির নাম “লোকালোকপুরুষীয়, অপরখানির নাম “তুবিধকাব্য।” তাহার ব্যাকরণাদি পাঠ শেষ হইলে আয়ুৰ্ব্বেদ পাঠকালেও যে পুরাণাদি বহু গ্রন্থাকুশীলন করিতেন, উল্লিখিত ছুইখানি কাব্যরচনাই তাহার প্রমাণ । বুদ্ধিমান ও মেধাবী ব্যক্তি যে দিকে বুদ্ধিচালনা করে, তাহাতেই পারদর্শিতা এবং উন্নতিপ্রদর্শনে সমর্থ হইতে পারে । গঙ্গাধর চিত্রবিদ্যারও সেবা করিয়া যথাযথ কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন। দেবদেবীর মূৰ্ত্তি গঠনেও তাহার স্থপটুতা ছিল । তাছার পিতা দুর্গোৎসব করিতেন, কোন বৎসর প্রতিমানিৰ্ম্মাতার মৃত্যু হইলে সে বৎসরের প্রতিমা গঙ্গাধর নিজেই নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। * চরকসংহিতার চক্রদত্তকৃত একখানি টীকা আছে। চক্রদত্ত কেবল চিকিৎসাস্থানের কথা লইয়া যথাসাধ্য ব্যাখ্যা করিয়াছেন, দশনঘটিত স্থানসমূহের কোন কথাই লেখেন নাই । কিন্তু গঙ্গাধর বিশদরূপে সমস্ত চরকের ব্যাখ্যা এবং পূৰ্ব্ব টীকাকারের যে যে স্থানে দোষ লক্ষিত হইয়াছে, তৎ সমুদায় সংশোধন করিয়া ষাইটু হাজার শ্লোকে চরকসংহিতার “জল্পকল্পতরু” নামে টীকা প্রণয়ন করিয়াছেন। তিনি উপরোক্ত গ্রন্থ ব্যতীত তৈত্তিরীয় প্রভৃতি তিনখানি উপনিষদের ভাষ্য, শারীরকস্বত্রব্যাখ্যান, ঈশ্বরীগীত ও ভগবদগীতাব্যাখ্যান ; সাংখ্য, ন্যায়, বৈশেষিক ও পাতঞ্জলদর্শনের ভাষা, গোভিলখৃহস্থত্রের ভাষ্য, অগ্নিপুরাণোক্ত আয়ু ৰ্ব্বেদের ভাষ্য, অগ্নিপুরাণোক্ত অলঙ্কার অবলম্বন করিয়া প্রাচ্যপ্রভ নামে অলঙ্কারশাস্ত্র, কৌমার ব্যাকরণের ব্যাখ্য', পাণিনির কাত্যায়নবাৰ্ত্তিকের উদ্ধার নামে বৃত্তি, শাণ্ডিল্যস্বত্রব্যাখ্যা, মনুসংহিতার প্রমাদভঞ্জনী নামে টকা, পরাশর যাজ্ঞবল্ক্য প্রভৃতি সংহিতার চুর্ণক, ত্রিকাগুশল্বশাসনও ত্রিহুত্রব্যাকরণ নামে পদ্যে দুইখানি ব্যাকরণ, কুসুমাঞ্জলির টীকা, শিখওঁীগ্রাদুর্ভাব নামে আখ্যায়িকা, হর্যোদয় নামে চিত্রকাব্য, চৈতন্যtষ্টক, গোবৰ্দ্ধনবর্ণন, রাধাকৃষ্ণবর্ণন ও ভাগবতবিচার প্রভৃতি সৰ্ব্বশুদ্ধ ৪•খানি সংস্কৃত গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। গঙ্গাধর শ্ৰীমদ্ভাগবতকে ব্যাসদেবপ্রণীত মহাপুরাণ বলিয়৷ [ 3๕จ ] গঙ্গাধর ভট্ট •ोहे छन । उहे आरमर्कष्ट्र विश्वाण छिमि दैत्ररु झिएलन । বাস্তবিক তিনি বিষ্ণুদ্বেষী ছিলেন না, তৎকৃত গোবৰ্দ্ধনৰৰ্থন ও রাধাকৃষ্ণবর্ণনই তাহার প্রমাণ। তাহার অস্তিমকালে পরিচয় হইল যে তিনি মহাশক্তির উপাসক। সময়ে সময়ে তিনি সামাজিক বিষয়েরও অনেক অমুশীলন করিতেন। তিনি “যহযিবাহরাহিত্য” “বিধবাবিবাহ প্রতিষেধ” ইত্যাদি সম্বন্ধে কএকখানি বাঙ্গালা পুস্তক প্রকাশ করেন। তিনি অম্বষ্ঠ জাতিকে ব্রাহ্মণ করিবার চেষ্টাও করিয়াছিলেন। বৈদ্যজাতীয় অনেক ব্যক্তি র্তাহার মতাকুসারে প্রায়শ্চিত্ত করিয়া যজ্ঞোপবীত ধারণ করিয়াছেন। ১২৯২ সালে (১৮৮৫ খৃষ্টাবে) ১৯এ জ্যৈষ্ঠ স্বপ্রসিদ্ধ গঙ্গাধর কবিরাজ মূত্ৰকৃচ্ছ রোগে গঙ্গাগৰ্ত্তে প্রাণত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বদিনে নিজের নাড়ীর গতি অনুভব করিয়া ও জ্যোতিযশাস্ত্রের গণনায় স্থির বুঝিয়া বলিয়াছিলেন, “আগামী কল্য আমি কেবল গঙ্গাজল পান করিয়া থাকিব। কারণ কল্য ৩৩ দণ্ড পরে আমার নিশ্চয় মৃত্যু হইবে।” মরণের পূৰ্ব্বে “আমার চরক” কেবল এই কথাটা বলিতে না বলিতে তাহার কণ্ঠরোধ হয়, চরক সম্বন্ধে তাহার হৃদয়ের শেষ অভিলাষ আর ব্যক্ত করিতে পারিলেন না। যাহা হউক, চরকের টীকাই তাহার অক্ষয়কীৰ্ত্তি, এই জষ্ঠ সমস্ত বৈদ্যসমাজ তাহার নিকট চিরঞ্চণে আবদ্ধ । গঙ্গাধরকাথ (পুং ) ঔষধবিশেষ। কাচড়াশাক, দাড়িম, জাম, পানীফল, বেলগুঠ, বালা, মুত্তা ও শুঠ কীৰ্থ প্রস্তুত করিবার প্রণালীতে ইছাদের কাখ করিয়া সেবন করিলে জলের দ্যায় ভেদ হইলে তাহাও প্রশমিত হয় । গঙ্গাধরচুর্ণ ( ক্লী ) গঙ্গাধরাখ্যং চুর্ণং মধ্যলো। জীর্ণাতি সাররোগনাশক ঔযধবিশেষ । ইহার প্রস্তুতপ্রণালী— ধাইফুল, আমলকী, পয়োধর (কেণ্ডর), আকনাদি, স্তোনাক, যষ্টিমধু, ত্র (বিষ্ক), জম্মু ও আত্মবীজ, শুট, বিয, বালা, লোধ, কুটজ ইহাদের প্রত্যেক সমভাগে ভাল করিয়া চূর্ণ করিয়া মিশাইবে। ইহাকে গঙ্গাধরচুর্ণ বলে। চাউল ধোয়। জলের সহিত এই ঔষধ সেবন করিলে জীর্ণাতিসার রোগের প্রতীকার হয়। (বৈদ্যক ) স্বীকার কয়েন নাই, এই জন্য নিজ মত রক্ষার্থ শাস্ত্রীয় ও যুক্তিমূলক প্রমাণ দিয়া একখানি বাঙ্গাল গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এই গ্রন্থখানির জন্তই বৈদ্যকুলতিলক গঙ্গাধর বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের বিষনয়নে পড়েন। এই জন্যই বিষ্ণুদ্বেষী বলিয়া কেহ কেহ তাহার নিন্দ করিতেন। তিনি দেব ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় কথাবার্তায় মহাদেবেয় প্রাধান্য স্থাপনে প্রয়াস V 8 а গঙ্গাধর চক্রবর্তী, বঙ্গদেশীয় একজন স্বাৰ্ত্ত পণ্ডিত। ইনি শ্রাদ্ধতত্ত্বভাবার্থদীপিকা রচনা করেন। গঙ্গাধরদেব, উড়িষ্যার একজন রাজা । [ উৎকল দেখ ] গঙ্গাধরনাথ, রসসারসংগ্রহ নামে বৈদ্যক গ্রন্থকার। গঙ্গাধর ভট্ট, ১ বিকৃতিকৌমুদী নামে জটাপটলের টীকাকায়। ২ ভাট্রচিন্তামণি নামে মীমাংসাহুত্রের টীকাকার ।