পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झुक्क { ১৬৭ ] গঞ্জ সেই হন্তই ঐরাবতের বংশসস্তৃত। এইরূপ হস্তীর মস্তকে বিশুদ্ধধর্ণযুক্ত ও সুগোল মুক্ত হয় । ইহার রাজগণের অল্পপুণ্যে পৃথিবী স্পর্শ করেন, যুদ্ধকালে ইহাদিগের দন্ত ভগ্ন হইলেও পুনরায় বৃদ্ধি হইয়া থাকে । যে কুঞ্জরের সর্বাঙ্গ কোমল, পুচ্ছদেশ দণ্ডাকৃতি নহে, গণ্ডদেশ থর, সৰ্ব্বদাই মদম্রাবী ও ক্রুদ্ধ, দেবপ্রিয়, সৰ্ব্বতক্ষ, বলবান এবং দন্ত ও রসনা অতিশয় তীক্ষ, সেই হস্তীই পুণ্ডরীক দিগ্‌গজের বংশসস্তৃত । ইহাদের রেতঃ পদ্মের ন্যায় গন্ধবিশিষ্ট, ইহাদিগের মদজল ও বমন অধিক হয় না। ইহারা জলপানে বেশী ইচ্ছা করে না এবং অত্যন্ত শ্রমেও ক্লাস্ত হইয় পড়ে না। এই হস্তী যে রাজার গৃহে থাকে, তিনি সমস্ত পৃথিবীর শাসনে উপযুক্ত হন। যে হস্তীর সমস্ত দেহ অত্যন্ত কর্কশ ও খৰ্ব্ব, যাহার কথন কথন উন্মত্ত হয়, সৰ্ব্বদাই মদম্রাব করে, আহার করিলে বলবান ও বীর্য্যবান হয়, যাহারা জলপান করিতে বেশী ইচ্ছা করে না, যাহাদিগের গণ্ডস্থল অত্যন্ত লোমশ, দস্তদ্বয় বিরূপ, পুচ্ছ ও কর্ণ সূক্ষ, তাহারাই বামন দিগ্‌গজের বংশ । যাহার দেহ দীর্ঘ, শুড়ট স্থল নহে, কিন্তু দীর্ঘ, দাত দুইট কুৎসিত, শরীর সর্বদাই মলযুক্ত, গণ্ডদেশ স্থল, যাহার বিবাদপ্রিয়, তাহারাই কুমুদ দিগ্‌গজের বংশজাত। ইহার অপর হস্তাদিগকে দেখিতে পাইলেই মারিয়া ফেলে। মনুষ্যগণ প্রায়ই ইহাদের নিকটে ঘেষিতে পারে না । যে কুঞ্জর স্নিগ্ধদেহ, জলপানে অত্যস্ত অভিলাষী ও বৃহৎ ; যাহার র্দাত ও গুড় ছোট, দস্তদ্বয় স্থল এবং শ্রমদুঃখ সহিতে পারে, তাহারাই অঞ্জন নামক দিগ্‌গজের বংশোৎপন্ন । যে হাতী সৰ্ব্বদাই মদ জল ও রেতঃ পরিত্যাগ করে, যাহারা অনুপদেশে উৎপন্ন, যাহাদিগের পুচ্ছদেশ অত্যন্ত স্বল্প ও বেগ অতি প্রচও, সেই হাতীই পুষ্পদন্ত নামক দিক্‌ কুঞ্জরের বংশসস্তৃত । বে সকল হস্তী বহুলোমযুক্ত, বৃহৎ, অধিক পথ ভ্রমণ করিলেও শ্রান্ত হয় না, যাহারা আস্থার ও পান করিতে অতিশয় পটু, মরুভূমিত্তে বিচরণ করিতে ভালবাসে, যাহা দিগের দেহ বৃহৎ ও কর্কশ, জাত দুইটা দীর্ঘ, কোমল ও শুক্লবৰ্ণ, কিন্তু অকৰ্ম্মণ্য, আস্থার অধিক, মুত্র বা পুীষ অল্প, কর্ণদেশ বিস্তীর্ণ, রোমগুলি ও গণ্ডস্বয় ক্ষীণ ; তাহারাই সাৰ্ব্বভৌম নামক দিগ্‌গজের বংশ। এই সকল হাতীতে বিশুদ্ধ মুক্ত পাওয়া যায়। যাহাদিগের গুড় লম্বা, দেহ অসংছত, বেগ প্রচও, যাহার ক্রোধী, সৰ্ব্বদা ভক্ষণাভিলাষী ও হস্তিনীগ্রিয়, যাহা দের পুচ্ছ ও দন্ত ক্ষীণ, গণ্ডদেশ বৃহৎ, কাণদুইট প্রায়ই খাড়া থাকে, গাত্রে স্বক্ষ স্বল্প অধিক রোম দেখিতে পাওয়া যায় ; তাহারা সুপ্রতীক দিগ্‌গজের বংশসস্তৃত। এই সকল হাতীয় মাথায় বড় বড় মুক্ত পাওয়া যায় । প্রাচীন আৰ্য্যগণের মতে, মন্থয্যের ন্যায় হাইরাও আবার চারিতাগে বিভক্ত—ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়,ৰৈশু ও শূদ্ৰ। ইছাদের একজাতি হইতে উৎপন্ন হস্তীকে শুদ্ধ বলে। শাস্থে উৎকৃষ্ট হস্তীর যে সকল লক্ষণ উক্ত হুইয়াছে, এই বিশুদ্ধ হস্তীতে তাহার সমস্তই থাকিবে । শূদ্র ও ব্রাহ্মণ জাতীয় হস্তী হইতে ষে হস্তী উৎপন্ন অথচ ব্রাহ্মণজাতীয় হস্তীর লক্ষণযুক্ত ও বলবীৰ্য্যবান, তাছাকে জারজ বলে। দুইট দ্বিজাতীয় হস্তী হইতে যাহার উৎপত্তি, তাহাকে শূর বলে। ব্রাহ্মণজাতীয় ও জারজ হইতে ষে হস্তী জন্মিয়াছে, তাহাকে উদ্ধান্ত বলে । এই প্রকার পরস্পরের ংযোগে অনেক প্রকার হস্তীর্জাতির উৎপত্তি হয় । যিনি এই হস্তীজাতির ভেদ সম্যকৃরূপে অবগত আছেন, পরাশর বলেন, তিনি রাজার অমাত্যপদ পাইবার উপযুক্ত । ধে হস্তী বিশালদেহ, পবিত্র ও অল্পভোজী, সেই হস্তী ব্রাহ্মণজাতীয়। যাহার বলিষ্ঠ, বিশালদেহ ও ক্রুদ্ধ, তাহারা ক্ষত্রিয়জাতীয় । অপর দুইজাতি মিশ্রলক্ষণ । গজপরীক্ষপ –অপরাপর পণ্য দ্রব্য বা ব্যবহার্য্য দ্রব্য যেরূপ পরীক্ষা করিয়া গ্রহণ করিত্তে হয়, সেইরূপ হাতী ও পরীক্ষা করিয়া গ্রহণ করা উচিত। সৰ্ব্বপ্রথমে হস্তার বল পরীক্ষা করিবে ; রূপে গুণে উৎকৃষ্ট হইলেও যদি বলহীন হয়, তাহা হইলে তাহ ওiছণ করিবে না । ষে ছাতী ১৮০ ০০ পল পরিমাণ সোণ অথবা তাম লইয়। বেগে ১০ যোজন ৰা ৪• ক্রোশ রাস্ত চলিলে ও ক্লান্ত হইয়া পড়ে ন, সে হাতীই উত্তম বলশালী । যে হাতা ১৪• • • হাজার পল পরিমিত সোণ বা তামা লইয়া ৭ যোজন বা ২৮ ক্রোশ পথ চলিয়াও শ্রম বোধ করেন, সেই হাতীকে মধ্যবল বলা যাইতে পারে। যে হাতী ঐক্কপ ১s • • • হাজার পল ভার লইয়া পাচযোজন বা ২• ক্রোশ পথ যাইতে পারে, তাহাকে হীনবল বলে। ২৫ হাত মোট একটী স্তস্তুেয় চারিস্থাত মাটির মধ্যে প্রোথিত করিবে, যে হাতী ঐ স্তম্ভটকে ভাঙ্গিয়া বা উঠাইয়া ফেলিতে পারে, সেই হাতীই সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । পূর্বের ন্যায় স্থল স্তন্তের ৩২ হাত হইত্তে মাটির মধ্যে প্রোথিত করিবে এবং উপরেও ৭ হাত স্তম্ভ থাকিবে, ষে বলষান হস্তী সেই থামটকে ভাঙ্গিতে পারে বা অনায়ালে উঠাইয়া দূরে ফেলিতে পারে, তাছাকেই মধ্যবল বলে। পূৰ্ব্বে যে স্থলতার কথা বলা হইয়াছে, তাহার