পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গজদন্ত ] و اهد গজনি মহারাজের ঘরে আরও অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে। কোচখানি গৃহপালিত হস্তীদন্ত হইতে নিৰ্ম্মিত । ত্ৰিবান্ধুড়ের মহারাজ হস্তিদন্তের দ্রব্য বড়ই ভালবাসিতেন । এ অঞ্চলে বন্যহস্তীও অনেক আছে এবং তাহ হইতে গজদন্তও লাভ হইয়া থাকে। ত্রিবায়ুড়ে এখনও হস্তি দন্তের নানাপ্রকার দ্রব্য প্রস্তুত হয় । ব্ৰহ্মবাসীরাও গজদন্তে দ্রব্য নিৰ্ম্মাণ করিতে বিশেষ পারদর্শী। তাহারা হস্তিদন্তের নিরেট অংশ কতকটা পুরাপুরি কাটিয়া লয়। প্রথম তাহার উপরিভাগে লতাপাত কাটিয়া অলঙ্কত করে । তাছার পর সেই লতাপাতার মধ্য দিয়া ভিতরের গজদন্ত কুরিয়া কুরিয়া বাহির করে । বাহিরের লতাপাতার অলঙ্কার ক্রমে জালবৎ ছিদ্রময় হইয় পড়ে। সেই ছিদ্রসমূহ দিয়া ভিতরে অস্ত্র চালিত হয়। কুরিয়া কুরিয়া অস্ত্র বখন যাইয়া দন্তের মধ্যস্থলে উপস্থিত হয়, তখন সেই মধ্যবৰ্ত্তী স্থান কাটিয়া ইহার একটা বুদ্ধদেবের মুপ্তি বাহির করে। বাহির হইতেই সমুদয় মূৰ্ত্তিটা প্রস্তুত হয় । গজদন্তকে পত্রাকারে চিরিয়া তাহার উপর নানারূপ চিত্র আঁকিতে পারা যায়। দিল্লীই এ কার্য্যের প্রধান স্থান। মুসলমান বাদশাহগণের প্রতিমূৰ্ত্তি, মুরজহান্‌ প্রভৃতি বেগমগণের প্রতিমূৰ্ত্তি গজদন্তে চিত্রিত হইয়া বিক্রীত হয় । কতিপয় মুসলমান চিত্রকরেরা এই কৰ্ম্ম করিয়া থাকে । যুরোপে বখন হস্তিদন্ত যাইতে আরম্ভ হইল, তখন সেখানকার অধিবাসীরাও ইহা ছইতে নানারূপ কারুকার্য্য প্রস্তুত করিতে লাগিল। প্রাচীন গ্ৰীসদেশে গজদন্ত হইতে মনুষ্যমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইত, সে মূৰ্ত্তি এখনও বর্তমান আছে। গজদন্তকে পাত করিয়া পুস্তকও হইত, তাহাও এখন বর্তমান আছে। ফরাসীদেশে পারিস নগরের পুস্তকাগারে এইরূপ একখানি পুস্তক আছে, ১৩০০ বৎসর পূৰ্ব্বে সেই পুস্তকথানি প্রস্তুত ও লিখুঁত হইয়াছে। ইহার পত্রগুলি দৈর্ঘ্যে ১৫ ইঞ্চ ও প্রস্থে ৬ ইঞ্চ । ইহা দেখিয়া সকলে অকুমান করেন যে, গোলাকার হস্তিদন্তকে সমতল ও প্রশস্ত করিবার নিমিত্ত, বাড়াইবার বা কমাইবার নিমিত্ত সেকালের লোক কোনও রূপ উপায় জানিত, এখনকার লোক আর সে উপায় জানে না । থিওফিলাস নামক একজন প্রাচীন পণ্ডিত লিখিয়াছেন যে, হস্তিদন্তকে ক্ষার, লবণ, গন্ধকন্দ্রাবক ও শিল্পকায়ভিজাইয়া রাখিলে উহা মোমের স্তায় কোমল হয়, তথন ইছাকে ইচ্ছামত বাড়াইতে ৰা কমাইতে পারা যায়। ইহাকে আবার শুধু শিল্পকার ভিজাইলে পুনরায় কঠিন হয়। যুরোপবাসীরা গজদন্তে চতুরদের বল, নরমূৰ্ত্তি প্রভৃতি গ্রস্তুত एग्निष्ठ । गुरुंभान नभएग्न ७धांब्र भूगर्रबंहे ऐशंद्र भवनष्ठि श्ब्रां८छ् । গজদন্তুফল (স্ত্রী ) গজদন্তইব ফলমতা বহুত্রী ততঃ টাপ । ডঙ্গরীলতা । ( রাজনি" । ) চিচিঙ্গে। গজদন্তময় (ত্রি) গজদন্ত-মঙ্গট বিকারার্থে। গজদন্তনিৰ্ম্মিত, যাহা গজদন্তু দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। श्रृंख्झांन (क्लौ ) श्रृंखछ गान१ ममः ७७९ । २ इखौब मम । প্রাচীন আৰ্য্যপ্রাণিতত্ত্ববিদগণের মতে হাতীর গুড়, কপোল, মেঢ় ও নেত্র হইতে মদ নিঃস্থত হয়। *সসৈন্ত পরিভোগেন গজদানসুগন্ধিন । কাবেরং সরিতাং পত্যু: শঙ্কনীয়ামিবাকরোৎ ” (রঘু ৪৪৫) ২ হস্তীয় উৎসর্গ । গজনবীপুর বা গজনীপুর, বঙ্গ প্রদেশের.মাদ্রাবাদ সরু কারের অন্তর্গত একটী মহল । গজনাস (স্ত্রী ) গজস্ত নাসা ৬তৎ। হাতীর শুড় । “ধৰ্ম্মস্ত গজনাসোরু ! সদ্ভিরাচরিতঃ পুর।” (রামায়ণ ২৩-৩০) গজনি, আফগানস্থানের একটা নগর। অক্ষা ৩৩-৩৪ উঃ, দ্রাঘি ৬৮ ১৮ পূঃ । কাবুল হইতে ৪২॥• ক্রোশ দূরে, গজনিলাম। নদীর বামকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৫১৫• হাত উচ্চে অবস্থিত । নগরট চতুরস্র মধ্যস্থলে একট সুদৃঢ় দুর্গ, সাৰ্দ্ধক্রোশ প্রাচীরবেষ্টিত । এথানে কাদার গাথনি প্রায় সাড়ে তিন হাজার গৃহ আছে । অধিবাসীর মধ্যে আফগান জাতির ংখ্যাই প্রায় দশহাজার, হাজারাঞ্জাতি ও অল্প সংখ্যক দোকানদার হিন্দুজাতিও বাস করে । এখানে কাৰ্ত্তিক মাসের শেষ হইতে ফাল্গুন মাসের শেষ পর্য্যস্ত বরফ পড়ে । এই নগর অতি প্রাচীন। এক সময়ে এ অঞ্চলে বিস্তর লোকের বসবাস ও সমৃদ্ধিশালী নগরসমূহ ছিল, গজনির পশ্চিমাংশে তর্ণাক উপত্যকা হইতে শিস্তানের নগর গ্রামাদির ধ্বংসাবশেষই তাহার নিদর্শন। জশলমীরের ইতিবৃত্ত পাঠে জানা যায়, বিক্রমাদিত্যের আবির্ভাবের অনেক পূৰ্ব্বে যাদবগণ গজনি হইতে সময়কনা পৰ্য্যন্ত সমুদায় ভূভাগে রাজত্ব করিতেন। কর্ণেল টডসাহেব বিলাতে রয়েল এসিয়াটিক সোসাইটতে একখানি হিন্দু-মানচিত্র প্রদান করেন, তাহাতে এই স্থান “গজলি-বন” অর্থাৎ হাতীর বন নামে নির্দিষ্ট আছে। অনেকের মতে হিন্দু রাজগণই এই নগর পত্তন করেন। আবার কাহারও মতে এইখানেই সংস্কৃত শাস্ত্রোক্ত যবনরাজ বাস করিতেন। টলেমি “son” (Ozola) s fữFtritt strtr( nqo (Sabal or Zabal) নামে ইহার উল্লেখ করিয়াছেন। ৯৭৬ খৃষ্টাব্দে আবুন্তকি বোখার হইতে আসিয়া এখানে রাজধানী করেন। তাহার উত্তরাধিকারী সবক্তগীন, ইনিই