g
رسانه গজাহায় একদিন মহাদেবের নিকটে বসির কঁদিয়া আকুল হইলেন । মহাদেব অনেক তাবিয়া চিন্তিয়া বিষ্ণুর আরাধনা করিতে উপদেশ দেন। পাৰ্ব্বতী বিষ্ণুর আরাধনা করিলে বিষ্ণু সন্তুষ্ট হইয় তাহাকে পুল্লবর দিলেন । কিছুদিন পরে পাৰ্ব্বতীর একটী পুল হইল। দম্পতী তামোদে মাতিয়া দান করিতে আরম্ভ করিলেন। স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল প্রভৃতি সকল স্থানেই আমোদ প্রমোদ হইতে লাগিল । সকলেই নবজাত শিশুকে দেখিতে কৈলাসে আসিয়া উপস্থিত হইল । ইহার পরে শনিও আসিয়া কৈলাসে উপস্থিত হইলেন। শনি স্ত্রীর অভিশাপে যাহার দিকে তাকাইতেন, তাছাই ভস্ম হইয়া যাইত । শনি ঠাকুর সেই ভয়ে পাৰ্ব্বতীননানকে দেখিতে যাইলেন না । পরিশেষে শিবের কথায় তাহাকে বাড়ীর ভিতরে যাইতে হইল ; গ্রহরাজ পাৰ্ব্বতীর নিকটে যাইয়া অধোবদলে দাড়াইয়া থাকিলেন । পাৰ্ব্বতীর তাহা ভাল লাগিল না । তিনি বালককে দেখিতে অনুরোধ করেন । শনি সব কথা খুলিয়া বলিলেন, তথাপি পাৰ্ব্বতী গ্রাহা করিলেন না, তিনি হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন । অগত্যা শনিকে বালক দেখিতে হইল। শনির দৃষ্টিমাত্রই বালকের মাথাটা উড়িয়া গেল । পাৰ্ব্বতী কাদিয়া আকুল হইয় পড়িলেন । বিষ্ণুর নিকটে এই সংবাদ পাঠান হইল। বিষ্ণু আসিবার সময় রাস্তার দেখিলেন, একটা হাতী পরমসুথে শুইয়া আছে । তিনি সেই হাতীটার মাথ লইয়া আসিয়া সেই ছিন্নমস্তক বালকের শরীরে লাগাইয়া দিলেন । হাতীমুখে বলিয়। যদি কেহ আদর করিয়া পূজা না করে, এই আশঙ্কায় সকল দেবতা মিলিয়া বিধান করিলেন যে, এই গজাননের পুজা না করিলে, আমাদের পূজা সিদ্ধ হইবে না, সেই হইতে সকল দেবদেবীর পূজার অগ্ৰে গণেশের পূজা করিবার নিয়ম दंप्र८िछ् । স্কনাপুরাণের গণেশখণ্ডে ইহার উপাখ্যানটা অন্ত প্রকার লিখিত আছে – ● সিঙ্গুর নামক একটা দৈত্য পাৰ্ব্বতীর গৰ্ত্তে অষ্টম মাসের সময় প্রবেশ করিয়া, গণেশের মাথাটী কাটিয়া ফেলে। তাহাতে বালকের জীবনের কোন অনিষ্ট হইল না। প্রসবের পরে নারদ আলিয়া বালককেই ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। ৰালক এই কথা নারদকে বুঝাইয়৷ বলিলে, নারদ তাহাকে সমস্তক হইতে অনুরোব করেন । বালক আপনার তেজেই গঙ্গাস্বরের মাথাটী কাটিয়া আপলার স্বন্ধে যোজনা করিয়া দিলেন, সেই হইতেই তাহার গজানন নাম হইল। ভাদ্রমাপীয় চতুর্থ তিথিতে গঙ্গাননের জন্ম হয় । (স্কন্দপুরাণ গণেশখণ্ড ১১ অধ্যার । ) গিণেশ দেখ ] গজানাঙ্ক, বাগীশ্বরী দেবীভক্ত বৈবস্বতগোত্রজ একজন রাজা, মেঘনাদের পুত্র ও বায়ুবাহের পিতা । ( সহাদ্রিথ• ১৩৩৮০ ) গজারি (পুং ) গঙ্গস্ত অরিঃ শত্রু: ৬তৎ, ১ সিংহ। ২ বৃক্ষবিশেষ । ঢাকা অঞ্চলে গরাণ বৃক্ষকে গজারি বা গল্পী এবং তাহার চারাকে গোচি বলে । ইহার পত্র বিশাল, ত্বক স্থল । ইহার কাও খুঁটর জন্য ব্যবহৃত হয়, ইহা এক জাতীয় শালতরু, মধুপুর জঙ্গলে ও আসাম অঞ্চলে জন্মিরা থাকে। গজারোহ (পুং) গজমারোহিত অ-রুহ অ ! হস্তিপাল, মাহুত । গজাশন (পুং ) গজৈরপ্ততে তক্ষ্যতে অশ কৰ্ম্মণি লুটু, যদ্বা অশ্নাতীতি অশনঃ গল্পোংশনোভক্ষকো বস্ত বহুত্রী । গঞ্জভক্ষ্য, অশ্বখবৃক্ষ । (রত্নমালী ।) গঙ্গাশন (স্ত্রী) গজাশন-টাপ । ১ ভঙ্গ, ভাঙ। • ২ শল্পকীবৃক্ষ, হিন্দীতে শালুই বলে । ৩ পদ্মমূল । গজাসুর (পুং ) গঙ্গাকারোহস্বরঃ । গঙ্গারুতি একটা অস্থর । ইহার উপাখ্যান-পূৰ্ব্বকালে মহেশ নামে একজন অতিশয় সচ্চরিত্র, বিদ্যাবান, স্থায়বান নরপতি ছিলেন, সৰ্ব্বদাই ইনি দেবতা ও ব্রাহ্মণের সেবা করিতে ভালবাসিতেন । একদিন মহেশ নরপতি আপনার বন্ধুবান্ধবের সহিত বেড়াইতে বাহির হইয়াছেন। এমন সমর নারদকে দেখিতে পাইলেন, কিন্তু তাহার কোনরূপ অদর বা অভ্যর্থন করিলেন না। নীরদ চটিয়া গেলেন এবং শাপ দিলেন যে, “নরাধম তুই গজযোনি প্রাপ্ত হইবি।” নারদের বাক্য মিথ্যা হইল না। কিছুদিন পরেই তিনি গজযোনি প্রাপ্ত । হইয়া, গজামুর নামে বিখ্যাত হইলেন, এই অনুর হইতে দেবগণ সময়ে সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিলেন । শিব ইহার চৰ্ম্ম নিঞ্জে পরিধান করিয়াছেন । ( স্কলাপুং গণে ১৯অঃ ) ; গজাকুরদ্বেষিন (পুং) গঙ্গাস্বরং দ্বেষ্টি দ্বিম্ব গিনি। মহাদেব। [ কৃত্তিবাসঃ দেথ. ] গজাস্য (পুং) গজস্ত আগুং মুখমেব জাস্তমস্ত বহুত্রী। ১ গণেশ। (ক্লী ) গজস্ত আস্তং ৬তৎ । ২ হাতীর মুখ । গজাহ (ক্লী ) গজসহিত আহবাযস্ত বহুব্রী। ১ হস্তিনাপুর। (পুং ) { বহু } ২ একটা প্রদেশ, হস্তিনাপুর ষে প্রদেশের অন্তর্গত। বৃহৎসংহিতার কুৰ্ম্মবিভাগের মধ্যস্থানে এই দেশের উল্লেখ আছে। .‘গজাহৰয়শ্রুেতি মধ্যমিদং ।” - (বৃহৎস".১৪ অঃ । ) গজাহয় (রী)গজেন সহিত জাহায়ে যন্ত বহুব্রী। হস্তিনাপুর। ।
