পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গন্ত < রেসম ব্যবসার জন্য একটী কুঠি নিৰ্ম্মাণ করেন এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির এজেণ্ট হইয়া এই বীরভূমিজাত রেশম পাট করিয়া রপ্তানি করিতেন । গমুটিয়ায় আয় সে পরিমাণে গুটিয় চাষ হয় না। ফ্রাসস্থার্ড সাহেবের ঐ কুঠি এক্ষণে কলিকাতার একজন ইংরাজ বণিক ক্রয় করিয়াছেন। তিনিই এখনকার স্বল্পজাত গুটি রেশম কলিকাতায় আমদানী করিয়া থাকেন । গনিমদাঁ, বোম্বাই প্রদেশের সম্পগাঁও উপবিভাগের ১০ মাইল দক্ষিণে হিরেননীস্থলী গ্রামের নিকটস্থ একটী পৰ্ব্বতশ্রেণী । ইহা সমতলক্ষেত্র হইতে ৬০০ ফিট উচ্চ। পৰ্ব্বতটা সমস্তই কালপাথরের । গন্তব্য (ত্রি ) গম-তব্য। গমনীয়, গমন করিবার যোগ্য । “গন্তব্যমস্তি কিয়দিত্যসকৃত্ৰিবাণ রামাখ্রণ: কৃতবর্তী প্রথমাবতারম্।।” (উত্তরচরিত ) গন্তি ( দেশজ ) গণনা । গন্তু (ত্রি) গম-কৰ্ত্তার তুল্ (সিতনিগমিমমিসচ্যবিধাএ, এশিভ্যস্তন। উৎ ১ । ৭০ ) ১ পথিক। (উজ্জ্বলদত্ত ) ২ গমনকৰ্ত্ত, যে গমন করে । ( পুং ) গম-ভাবে তুল। ২ গমন । “মা নে মধ্য রীর্যিতায়ুর্গস্তোঃ।” (খক্‌ ১৮৯৯) গন্তোঃ ক্লপ্তষ্ঠায়ুযে গমনাৎ পুৰ্ব্বং সায়ণ। সায়ণ। চার্য্য গন্তোঃ” এই পদের সাধনপ্রণালীতে লিথিয়াছেন "গন্তোঃ ভাবলক্ষণে স্থে৭ (পা ৩। ৪ । ১৬) ইতি গণেস্তোমুন প্রত্যয়ঃ ” ইহাতে বোধ হয় যে সায়ণাচার্য্যের মতে গম ধাতুর উত্তর পাণিনির ৩৪১৬ স্বত্র অত্যারে তোয়ন প্রত্যর হইয় গন্তেীঃ শব্দ সিদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু গাণিনির ৩৪।১৬ স্বত্রে গমধাতুর পাঠ নাই, ভায্যকার, বৃত্তিকার বা বাৰ্ত্তিক কার ঐ স্বত্র অনুসারে গন্তোঃ প্রয়োগ সিদ্ধ হইতে পারে এরূপ কোন উল্লেখ করেন নাই । এস্থলে সায়ণের মত গ্রহণ করা যাইতে পারে না । কেহ কেহ গমধাতুর উত্তর বাহুল্যে তোমুন প্রত্যয় হইয়৷ গন্তোস সিদ্ধ হয় এইরূপ স্বীকার করিয়া থাকেন, তাহীদের মভে গন্তোস্ শব্দ এবং ঐ শব্দটা অব্যয় । ৩ সন্মার্গ, উৎকৃষ্ট পথ। “যুযোতন অনপত্যানি গন্তোঃ” (ঋকৃ ৩৫৪৷১৮) গন্তোঃ সম্মার্গাৎ • সায়ণ। এ স্থলে সায়ণাচার্য্যের মতেও গম ধাতুর উত্তর তুন প্রত্যয়ে গন্তু পদ সিদ্ধ হইয়াছে। গন্তোঃ গল্প গতৌ তুন প্রত্যয়ঃ। সারণ । গন্ত (ত্রি) গমশীলার্থে"। ১ গমনশীল। ২ প্রাপ্তিশীল। শীলার্থে তৃণ করিয়া যে গন্তু শব্দ নিম্পন্ন হয়, তাহার কৰ্ম্মে ষষ্ঠী হয় না। "তদা গন্তালি নির্বেদং শ্রোতব্যস্ত শ্রুতস্ত চ ।” [ १२७ ] গন্ধ, - (গীত ২৫২) গম-কৰ্ত্তfর-তৃচ্ছ। ৩ গমনকর্ত, যে গমন করে। ইহার কৰ্ম্মে যষ্ঠ হয়। স্ত্রীলিঙ্গে উীপ হইয়াগী শঙ্ক সিদ্ধ হয়। *ांढी (कौ ) श्रभाcउश्नब्र। श्रम-छेन् ( ग{िषांडूडाः हेन्। छै५ ৪।১৫৮) ততো উীপ ১ বৃষবছনীয় শকট, গোরুর গাড়ী । ২ গমনকারিণী স্ত্রী। “গস্ত্রী বসুমতীনাশমুদধিদৈবতানি চ ” (যাজ্ঞষন্ধ্য ৩১০ ) গন্ত্রীরথ (পুং ) গন্ত্রীরথইব ষৰা গন্ত্ৰীণাং গচ্ছন্তীনাং দ্বীণাং গমনায় রথঃ ৬তৎ । শকট । ( অমর ) গন্দিকা (স্ত্রী) নগরীবিশেষ। এই শব্দটা সিদ্ধাদি গণান্তর্গত । গন্ধ (পুং ) গন্ধ পচাদিত্বাদছ। ১ ঘ্ৰাণেজিয়গ্রাহ গুণ । প্রাচীন আর্য্য দার্শনিকগণের মতে কেবল পৃথিবীতেই গন্ধ আছে আর কোন পদার্থে গন্ধ নাই । জল প্রভূতি অন্ত যে কোন পদার্থে আপাততঃ গন্ধের উপলব্ধি হইয়া থাকে, তাহ বাস্তবিক জলদির গন্ধ নহে, উহাদের সহিত মিশ্রিত পার্থিবাংশের গন্ধ আছে আর কোন পদার্থে গন্ধ নাই । জল প্রভৃতি অন্ত যে কোন পদার্থে আপাততঃ গন্ধের উপলব্ধি হইয়া থাকে, তাহ বাস্তবিক জলাদির গন্ধ নহে, উহাদের সহিত মিশ্রিত পার্থিবাংশেয় গন্ধ । আধুনিক বৈজ্ঞানিকের জলের গন্ধ স্বীকার করিয়া থাকেন, উটু বহুদূর হইতে জলের গন্ধ পায়, ইহাই তাছাদের প্রধান প্রমাণ, উট যদি জলের গন্ধ না পাইত, তবে বহুদূর হইতে জলের অনুসরণ করিয়া জলের নিকটে উপস্থিত হইতে পারিত না। আধুনিক মত ঠিক্‌ বলিয়া বোধ হয় না। আমরা বিশুদ্ধ পরিস্কৃত জলের কোন গন্ধ পাই না, কিন্তু নিকটে জলাশয় থাকিলে বায়ুর শীতল স্পর্শেই তাহার অম্বুমান করিয়া থাকি । বায়ু যে প্রকারে বহুদূরস্থিত পদার্থের গন্ধ লইয়া আমাদের নাসিকার নিকটে উপস্থিত হইলে আমরা দূরস্থিত পদার্থের গন্ধ পাইয়া থাকি, সেই প্রকার বায়ু জলের শীতলস্পর্শ (শীতল স্পশযুক্ত জলীয় স্থাংশও ) বহন করিয়া থাকে, তাহাতে আমর। দূরস্থিত জলাশয়ের অনুমান করিতে পারি। আমাদের স্থায় উটও দুরস্থিত জলের স্পর্শ অনুভব কয়িয়াই জলের অনুসরণ করিয়া থাকে। এইরূপ স্বীকার করিলেই চলিতে পারে। ইহা না করিয়া কোন উটের অনুরোধে মনুষ্যবৃদ্ধির অগম্য জলের গন্ধ স্বীকার করা সঙ্গত বলিয়া ¢शt५ श्ध्ना न} | বৈশেষিকদর্শনের উপস্কারপ্রণেতা শঙ্করমিশ্রের মতে গন্ধ নিত্য ও অনিত্য এই দুইভাগে বিভক্ত। নিত্য পৃথিবী বা পরমাণুতে যে গন্ধ আছে, তাছাই নিত্য কখনও