পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r------ বিংখুতিfবংশতিঃ পিত্রোরষ্টেজা: ষোড়শক্ৰমাৎ । একাদশ দ্বাদশাখ কুলান্তেকোত্তরং শতম্ ॥” ২৩। ৬ অf অষ্টকাদিবসে, বৃদ্ধিকালে, গঙ্গাতীর্থে ও মৃতদিনে মাতার শ্ৰাদ্ধ পিতা হইতে পৃথক্ করিবে। বৃদ্ধিকালে পূৰ্ব্বে মাতৃগণের পরে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করিবার বিধান আছে, কিন্তু গয়াতে পূৰ্ব্বে পিতৃগণের পরে মাতৃগণের শ্রাদ্ধ করিবে । তিল, স্থত, মধু, দধি প্রভৃতি সহ মুষ্টিপ্রমাণে সজু দ্বারা পিও দিবে পায়স, চর, সন্তু পিষ্টক, গুড ও তণ্ডুলাদি দ্বারাও পিণ্ড দিতে পার। গয়াশীর্ষে মুষ্টিপ্রমাণে, একটা মাত্র আমলকীফল প্রমাণে অথবা অন্ততঃ একটী ( ক্ষুদ্র ) শমীপত্র প্রমাণেও পিও দিবে। এখানে পিও দিলে পিতা, মাতামহ, শ্বশুর, ভগিনীপতি, জামাতা, পিতৃঘস্থপতি ও মাতুম্বস্থপতি এই সপ্তগোত্রের - উদ্ধার হয় । তাহীতে পিতার ও মাতামহের কুড়ি, শ্বশুরের আট, ভগিনীর চৌদ্ধ, জামাতার যোল, পিতৃথস্থপতির এগার, মাতৃত্বস্থপতির বার, এই ১০১ কুলজাত লোকের উদ্ধার হয়। গয়ায় স্ত্রীপুরুষের একযোগে পিণ্ডদান করিবার নিয়ম নাই। “স্বগোত্রে পরগোত্রে বা দম্পত্যো: পিওপাতনম্। অপৃথকৃ নিস্ফলং শ্রাদ্ধং পিগুঞ্চোদকতৰ্পণম্ ॥” এখানে স্ত্রী ও পুরুষ এক যোগে স্ব গোত্রীয় বা ভিন্ন গোত্রীয় মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে পিণ্ডদান বা তৰ্পণ করিলে জাহ निश्रूळ इंध्र । 酸 গরুড়পুরাণের মতে— “তীর্থশ্রাদ্ধং গয়াশ্রাদ্ধং শ্রাদ্ধমন্তচ পৈতৃকম্। অন্ধমধ্যে ন কুবীত মহাগুরুনিপাতনে ॥” তীর্থশ্রাদ্ধ, গয়াশ্রাদ্ধ ও যে কোন অস্ত শ্রাদ্ধ মহাগুরু নিপাত হইলে তাহায় একবর্ষ মধ্যে করিবে না । কিন্তু ত্রিস্থলীসেতুর মতে— অস্থিক্ষেপং গয়াশ্রাদ্ধং শ্রাদ্ধং চাপরপক্ষিকম্। প্রথমাদেইপি কুৰ্ব্বত যদি স্তাদ্ভক্তিমান স্বতঃ ॥” ভবে পুত্র যথার্থ ভক্তিমান হইলে অস্থিক্ষেপ, গয়াশ্রাদ্ধ ও অপর পক্ষ শ্রাদ্ধ একবর্ষ মধ্যেই করিতে পারে। মৈত্রায়ণীয় পরিশিষ্ট্রে লিখিত আছে— *আন্বষ্টক্যং গয়াপ্রান্তেী সত্যাং যচ্চ ক্ষয়াছনি । মাতুঃ শ্ৰাদ্ধং স্বত: কুর্থাৎ পিতৰ্য্যপি চ জীবতি ॥” অর্থাৎ পিতা জীবিত থাকিলেও পুত্র মাতার শ্রাদ্ধ গয়ায় করিতে পারে । किरू शंद्रौण्डद्र“জীবে পিতরি বৈ পুল্লঃ শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্যং বিবর্তত্বেং ” • · [ ২৫৩ ] গয়ালী - এই বচনানুসারে জীবৎপিতৃকের কোনরূপ শ্রাদ্ধে অধিকার নাই। ভিক্ষু বা গৃহত্যাগী সন্ন্যাসীদিগেরও গয়ায় পিণ্ডদানে অধিকার নাই। গয়ামাহাত্মাণ ১২২) মতে— “দণ্ডং প্রদর্শয়েদ্ভিক্ষুর্গয়াং গত্বা ন পিণ্ডদঃ। দওং স্পষ্ট বিষ্ণুপদে পিতৃভিঃ সহ মোদতে ” ভিক্ষু গয়াতে পিণ্ডদান না করিয়া দণ্ড প্রদর্শন করিবে । দণ্ডদ্বারা বিষ্ণুপদ স্পর্শ করিলেই তিনি পিতৃলোকের সহিত শাস্তিপ্রাপ্ত হন। গয়াকাশ্যপ, শাক্যসিংহের একজন প্রধান শিষ্য, গয়াতে ইনি বুদ্ধদেবের নিকট দীক্ষিত হন। গয়াদাস, একজন রৈদাক গ্রন্থকার, ভাবমিশ্র ও বৈদ্যুবাচ। স্পতি ইহার মত উদ্ধৃত করিয়াছেন। গয়াদীন, রামগীতগোবিন্দ নামক সংস্কৃত কাব্যপ্রণেতা। গয়ার ( দেশজ ) শ্লেষ্মা, গয়ের ।

  • গয়ালী (গয়াল, গয়াবাল )—গয়াবাসী ব্রাহ্মণজাতি ৷ তীর্থ

যাত্রীদিগের পিতৃপুরুষের পিগুদান ও শ্রাদ্ধাদি ক্রিয়ায় পৌরোহিত্য করাই ইহাদের প্রধান কাৰ্য্য। প্রবাদ—গয়াসুরের পৃষ্ঠে ব্রাহ্মণ ভোজন করাইবেন বলিয়া পদ্মযোনি ব্রহ্মা যে চৌদ্দজন ব্রাহ্মণ স্বষ্টি করেন, সেই ব্রাহ্মণগণ হইতেই তাহদের উৎপস্থি। ইহাদের মধ্যে ১৪টা গোত্র আছে। এখন সৰ্ব্বসমেত ৩০০ ঘর গয়ালীর বাস। অনেকেই ভালরূপ লেখাপড়া জানেন না। যাত্রীদের নিকট প্রচুর পরিমাণে টাকা আদায় করেন। সকলেরই ভোগশক্তি কিছু বেশী, এমন কি বাহারা মন্দিরাদিতে ভিক্ষা করিয়া থাকে, তাহারাও ২৩ট চাকর রাখিতে পারে । ইছারা সকল সময় আড়ায় (বৈঠকে ) কাটায়। বাল্যাবস্থা হইতেই ইহাদের এই রীতি । এখানে থাকিয়া ইহারা কেবল পাণ, গাজী ও ভাঙ থাইতে শিখে। নাচ, গান, তামাসা ও তাস, দাবা, পাশা প্রভৃতি খেলায় ইহাদের ভারী আমোদ । বড়ভারের সহিত একত্র এই আমোদে যোগদান কল্লিতে ইহার কিছুমাত্র লজ্জাবোধ করে না। স্ত্রীলোকেরা নিজ নিজ স্বামীর উপভোগের জন্য পাণ সাজিয়া থাকেন ও গৃহদির আস্বাঘের পারিপাট্য করেন। সন্ধ্যাকালে দাসদাসীপরিবৃত হইয়া বৈকালীন বায়ুসেবন ও নিজ বন্ধুবান্ধবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বেড়ান। মহারাষ্ট্রজাতীয় স্ত্রীলোকেরাই ইহাদের খাদ্যাদির আয়োজন করিয়া থাকে । বাল্যাবস্থায় ইহাদের বিবাহ হইয়া থাকে। বিষাহে বিস্তর খরচ। বর একখানি মুনীর চতুর্দোলে বসিয়া আত্মীয় স্ত্রীলোকগণ সমভিব্যহারে জঁাকজমকের সহিত যায়। V ৬৪