পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গরুড় • [ ९७९ ] গরুড়পুরাণ । তপোধন হইয়া অন্য ইঞ্জেয় নিমিত্ত যত্ন করিভেছ। তোমরা সজ্জন, অতএব ব্ৰহ্মার বাক্যে অন্যথা করিষার যোগ্য নহ। আয় তোমাদেয়ও সংকল্প মিথ্যা হইবার নহে, তোমাদের ইনি পক্ষিগণের ইন্দ্র হউন। দেবরাজ তোমাদের নিকট যাঞা করিতেছে, তোমরাও ইহার প্রতি প্রসন্ন হও।” বালখিল্যগুণ বলিলেন, “আমরা আপনার সস্তানের নিমিত্ত সংকল্প করিয়া এই কার্য্যের অনুষ্ঠান আয়ন্ত করিয়াছি, যাহাতে মঙ্গল হয়, আপনি তাহাই করুন। এই সময়ে দক্ষকন্তু বিনতাদেবী পুত্রের নিমিত্ত অভিলাষ করিয়া আপন স্বামীর নিকট আগমন করিলে কস্তাপ তাহাকে বলিলেন, “ছে দেবি! তোমায় এই অভিলাব সিদ্ধ হইবে, তুমি ত্রিভুবনের প্রভুত্বসম্পন্ন দুইটা পুত্র প্রসব করিবে । বালখিল্যগণের তপস্ত। এবং আমার সংকল্প স্বারা দুই পুত্র লাভ করিবে, ইহারা পক্ষিগণের ইন্দ্রত্ন প্রাপ্ত হইবে।” তখন বিনতা সফলকাম হইয়া হৃষ্টচিত্ত হইলেন এবং যথাকালে অরুণ ও গরুড় নামে দুইটী পুত্র প্রসব করিলেন। অরুণ বিকলাঙ্গ হইয়া জন্মগ্রহণপূর্বক স্বৰ্য্যদেবের সম্মুখে অবস্থিত রছিলেন। গরুড় পক্ষিদিগেয় ইস্রাতৃপদে অভিষিক্ত হইলেন । মহাতেজস্বী গরুড় স্বয়ং অণ্ড বিদীর্ণ করিয়া জন্মগ্রহণ করিলেন । জন্মকালে ইহার রূপ—অগ্নিরাশির দ্যায় প্রভাসম্পন্ন, অতিশয় ভয়ঙ্কর, প্রলয়কালের অগ্নির ন্যায় প্রদীপ্ত, বিদ্যুতের ন্তায় পিঙ্গলবৰ্ণ চক্ষুবিশিষ্ট, সমুদ্রাগ্নির ন্যার ঘোরতর উগ্র, ঘোরস্বরবিশিষ্ট ও মহাকায় । গরুড়ের বিষ্ণুবাহন হইবায় কথা মহাভারতে এইরূপ লিখিত আছে—পক্ষিরাজ অমৃত লইয়া বাহির হইলেন । সেই সময় গরুড় বিষ্ণুর সহিত আসিতে ছিলেন। নায়ায়ণ তাহার প্রতি তুষ্ট হইয়া বলিলেন, আমি তোমাকে বর দিব। গরুড় বলিলেন, আমি আকাশগামী হইয় আপনায় উপরিভাগে থাকিব, অমৃত ব্যতিরেকেও অজয় ও অমর হইব । বিষ্ণু বিনতাপুত্রকে “তথাস্তু” বলিয়৷ সেই বর দিলেন। গরুড় সেই বর লইয়া বিষ্ণুকে বলিলেন, আমি আপনাকেও বর দিব, গ্রহণ করুন। তথন বিষ্ণু মহাবল গরুড়কে বলিলেন, তুমি আমার বাহন হও এবং তুমি আমার ধ্বজের উপর থাকিবে, তাহাতে তোমার আমার উপরিভাগে অবস্থিতি করা হইবে । গরুড় স্বীয় পদনথে গজ ও কচ্ছপ এবং চঞ্চুপুটে মহাবটবৃক্ষ ধারণ করিয়া আকাশমার্গে উড়িয়াছিলেন। অমৃতের নিমিত্ত ইহার সহিত দেবগণের ঘোরতর যুদ্ধ হয়, তাহাতে ইনি জয়লাভ করেন। (মহাভারত আদিপৰ্ব্ব । ) ২ ব্যুহবিশেষ। "বগ্লাছমকরাষ্ট্যাং বা স্বচ্য বা গরুড়েন বা।” মন্ত্র ৭১৮৭। স্বল্পমুখ পশ্চাদ্ভাগঃ পৃথুমধ্যে বরাহ বুহি । এধ এবপৃথুতরমধ্যে গরুড়বৃহঃ ! (কুন্থকভট্ট।) ৩ বিংশতি প্রকার প্রাসাদ মধ্যে প্রাসাদবিশেষ । “গরুড়াকৃতিশ গরুড়ো নীতি চ যট্‌চতুষ্কবিত্তীর্ণ । কাৰ্য্যশ্চ সপ্তভোমো বিভূষিতোইওশ বিংশত্য ।” (বৃহৎসংহিতা ৫৬২৪ ) গরুড়গিরি বা গর্দনগিরি, একটা গিরিশৃঙ্গ। মহিমুর রাজ্যের মধ্যে কাদুর জেলার অন্তর্গত অক্ষা: ১৩ ২৯ উঃ ও দ্রাঘি ৭৬, ১৭ পূঃ মধ্যে অবস্থিত। গরুড়ধ্বজ (পুং) গরুড়ো ধ্বজোবন্ত বহুব্রী। বিষ্ণু । “বালন্ত পশুতোধাম স্বমগাদ গরুড়ধ্বজ: ॥” (ভাগবত ৩৪২৬) গরুড় নদী বা গড়িলাম, মাত্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত দক্ষিণ আর্কট জেলার একটী নদী। কল্পকুরচি তালুকের মধ্যে বিগল সরোবর নামক স্থান হইতে বাহির হইয়া মল্লতায় নদীর সহিত মিলিত হইয়া ৩০ ক্রোশ পথ গিয় বঙ্গোপসাগরে পড়িয়াছে। নদীর তলদেশ অত্যন্ত বালুকামর। গরুড়পুরাণ (ক) গরুড়ায় উক্তং বিষ্ণুনা পুরাণম্ মধ্যলো। অষ্টাদশ পুরাণান্তর্গত সপ্তদশ মহাপুরাণ। ভগষা গরুড়াসন এই পুরাণ গরুড়কে বলিয়াছিলেন । ইহাতে উনিশ হাজার শ্লোক আছে । এই পুরাণ তীক্ষ্য কল্পের কথা অবলম্বনে বর্ণিত হইয়াছে । ইহাতে এইরূপ বিবরণ আছে,— স্বতনৈমিষীয় সংবাদে স্বতের গরুড়পুরাণকথনজিজ্ঞাসা, গরুড়পুরাণের উৎপত্তিকথা, রুদ্রবিষ্ণুসংবাদে স্থষ্টিকথন, প্রজাপতিস্থষ্টি, কগুপকৃত স্বষ্টি, স্বৰ্য্যাদিপুজাকথন, বিষ্ণুপুজাকথন, দীক্ষাবিধি, লক্ষ্মীপূজা, নববৃহীর্চন, পুজাক্রম, বিষ্ণুপঞ্জরকথন, সংক্ষেপে যোগোপদেশ, বিষ্ণুর সহস্রনাম, বিষ্ণুধ্যান ও স্বৰ্য্যপূজাকথন, মৃত্যুঞ্জয়পুঞ্জ, গারুড়বিদ্যা, শিবোত্তসর্পমন্ত্র, পঞ্চবক্ত পূজা, শিবপূজা, গাণপত্যাদি পূজা, পাদুকাপুজা, করন্যাসাদি কথন, বিষহরণ, গোপালপুঞ্জ, শ্ৰীধরাদিমন্ত্রকথন, বিষ্ণুপুজার প্রকারাস্তর, পঞ্চতত্ত্বাৰ্তন, সুদর্শনপূজাদি, হয়গ্রীবপুজা, গায়ত্রীমাহাত্মা, দুর্গাদিপূজাবিধি, প্রকারাস্তরে - স্বৰ্যপূজা, মহেশ্বরপুজা, নানাবিদ্যাকথন, শিবপবিত্রারোহণ, বিষ্ণুপবিত্রারোহণ, মূৰ্ত্তামূৰ্ত্তধ্যান, শালগ্রামলক্ষণ, বাস্তনির্ণয়, প্রাসাদলক্ষণ, দেষপ্রতিষ্ঠাকথন, যোগধৰ্ম্মাদি আহিকনির্ণর, দানধৰ্ম্ম, প্রায়শ্চিত্তবিধি, অষ্টনিধিকথন, প্রিয়ত্ৰতবংশবর্ণনে সপ্তদ্বীপাদি বর্ণন, ভূসংস্থানকথন ও ভারতবর্ষের বিবরণ, প্লক্ষদ্বীপের রাজপুত্রাদির নামকীৰ্ত্তন, সপ্তপাভাল ও নরকবর্ণন, সূৰ্য্যাদির প্রমাণ ও সংস্থানবর্ণন, জ্যোভিসার কীর্তনে