পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গর্ভাধান s ه سراج } গর্ভাধান' -- ধৰ্ম্মশাঙ্গের মতে রজোদর্শনের প্রথম তিনরাত্রির পর গুতবার, তিথি ও নক্ষত্রে গর্ভাধান সংস্কার করিবে । কিন্তু গোভিলের মতে ঋতুমতী স্ত্রীর শোণিতস্রাব বন্ধ হইলে সঙ্গমকাল উক্ত হইয়াছে, কোন রাfত্র বা দিনের সংখ্যা নাই । ইহাতে স্পষ্টই বোধ হয় যে, ঋতুর পর যতদিন পর্য্যন্ত শোণিতপাত হয়, ততদিন সঙ্গম বা গর্ভাধান করা উচিত নহে, করিলে সস্তানের অনিষ্ট হয় । অপর ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারগণ প্রায়শ তিনরাত্রির পরে রক্তপতন বন্ধ হয় বলি। তিনরাত্রির উল্লেখ করিয়াছেন। রজোদর্শনের প্রথমদিন হইতে ষোলরাত্রি পর্য্যস্তকে ঋতুকাল বলে, ইহার মধ্যেই গর্ভাধান কৰ্ত্তব্য। যুগ্ম রাত্ৰিতে গর্ভাধান করিলে কথা এবং অযুগ্ম রাত্রিতে গর্ভাধান করিলে পুত্ৰ হয়। চতু%ণী, অষ্টমী, অমাবস্থা, পূর্ণিমা, রবিবার ও সংক্রাপ্তি দিবসে গর্ভাধান করা নিষিদ্ধ। জ্যেষ্ঠ, মূলা, মধা, অশ্লেষা, রেবতী, কৃত্তিক, অশ্বিনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরভাদ্রপদ ও উত্তরফাল্গুনীলক্ষত্রে গর্ভাধান করিবে না। হস্ত। শ্রবণ, পুনর্বসু ও মৃগশিরা * কয়ট নক্ষত্ৰকে পুংনক্ষত্র বলে, ইহার গর্ভাধানকার্যে শুভ। গর্ভাধান কার্যে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এবং বুধ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কণ্ঠা, তুলা, ধল্প ও মীন লগ্ন প্রশস্ত । ভরদ্ধাজের মতে রজস্বল স্ত্রী প্রথমদিনে চাণ্ডালী, দ্বিতীয় ! দিনে ব্রহ্মঘাতিনী ও তৃতীয়দিনে রঞ্জকীর ন্যায় অপবিত্র ও অস্পৃশু হয় । চতুৰ্থদিবসে শুদ্ধিলাভ করে । চতুৰ্থদিন হইতে যোলদিন পর্য্যন্ত গর্ভাধানের যোগ্যকাল । বুহজন্নাতকের নিষেকাধায়ে শিথিত আছে যে, গর্ভের প্রথমমাসে শুক্র ৭ শোণিত মিশ্রিত হয়, ইহাকে কললা ! বস্থা বলে, এই সময়ের অধিপতি শুক্র । দ্বিতীয়মাসে গর্ভ অপেক্ষাকৃত কঠিন হয়, তাহার অধিপতি মঙ্গল । তৃতীয় মাসে হস্তপদাদি উৎপন্ন হইতে থাকে, তাহার অধিপতি বৃহস্পতি । | চতুর্থমাসে অস্তির সঞ্চার হয়, অধিপতি সুর্য্য । পঞ্চমমাসে | চৰ্ম্মের উৎপত্তি, অধিপতি চন্দ্র, ষষ্ঠে রোম জন্মে, তাহার অধিপতি শনি, সপ্তমে চেতনার প্রাদুর্ভাব হয় অধিপতি বুধ ; অষ্টমে ভোজন শক্তি উৎপন্ন হয়, লগ্নাধিপতিই তাহার অধিপতি ; নবমমাসে উদ্বেগ জন্মে, সেই সময়ের অধিপতি চন্দ্র ও দশমমাসে প্রসব হয়, তাহার অধিপতি স্বৰ্য্য । যে সকল গ্রহের উল্লেখ করা হইল, গর্ভাধানকালে ইহায় মধ্যে কোন গ্রন্থপীড়িত থাকিলে সেই গ্রহের মাসে গর্ভপাতাদি ঘটিয়া থাকে। আর যদি ইহারা বলবান থাকে, তবে সেই সেই মাসে গর্ডের পুষ্টি হয়। - - -- সুশ্রুতের মতে অতিশয় বুদ্ধ, চিররোগিণী বা অন্য কোনরূপ বিকারযুক্ত রমণীর গর্ভাধান করা একান্ত নিষিদ্ধ এবং অতিশয় বৃদ্ধ চিরয়োগগ্ৰস্ত বা অপর কোন প্রকার বিকারযুক্ত পুরুষের পক্ষেও গর্ভাধান করা উচিত নহে । প্রথম ঋতুতে গর্ভাধান সংস্কার করিলে তাহার পর আর কোন ঋতুতে সংস্কারের আবগুক হয় না। দেবল বলেন— “মকৃচ্চ সংস্কৃত নারী সৰ্ব্ব গর্ভেযু সংস্কৃত ” - অর্থাৎ রমণীগণের এক বার সংস্কার হইলে সকল গর্ভেরই ংস্কার হয়। অতএব গর্ভাধান, পুংসবন ও সীমস্তোন্নয়ন একবারই কর্তব্য । গোভিলখৃহস্থত্রে গর্ভাধানপ্রণালী এইরূপ লিখিত আছে - “দক্ষিণেন পাণিনেপস্তমভিমৃশেদ বিষ্ণুর্যোনিং কন্নয়ত্বিতেতিয়চর্চা গৰ্ভং ধেহি লিনীবালাতি চ সমাপার্চেী সম্ভবতঃ ॥” ( গেভিলগুহাস্থত্র ৯,১০৫ ) ঋতুর প্রথম তিন দিনের পর শুভদিনে কোনরূপ দোষ বা প্রতিবন্ধক না থাকিলে গর্ভাধান করিবে। গর্ভাধানের দিবসে স{য়ং সন্ধ্যা অতীত হইলে পতি পবিত্র ভাবে ও পবিত্র , বেশে “নমো বিবস্বতে বিষ্ণু" ইত্যাদি মন্থদ্বারা স্বৰ্য্যাৰ্থ প্রদান করিবে । “পরে বিষ্ণুৰ্যেনিং কল্পৰ্কীয়তু ত্বষ্টারূপাণি পিংশভু । আসিঞ্চতু প্রজাপতি ধাত৷ গৰ্ভং দধাতু তে " মন্ত্রত্র ১.৪।৬) এই মন্ত্রট ও “গৰ্ভং ধেহি সিনাবালি গৰ্ভং ধেহি সরস্ব শ্ৰী । গৰ্ভন্তে অশ্বিনৈ দেব বাপত্তাং পুষ্করত্রজে ।” মন্ত্ররা ১৪ ৭ । ) এই মন্ত্ৰটী উচ্চারণ করিয়। দক্ষিণ হস্তদ্বারা পত্নীর গে!fনদেশ স্পর্শ করিবে এবং তৎপরে উভয়ে সঙ্গত হইবে । ইহাকেই গর্ভাধান সংস্কার কহে । পদ্ধতি প্রণেতা ভবদেবভট্টের মতে যোনিদেশ স্পর্শ করিয়া উপরি কোন কোন মতে বিবাহের স্থtয় গর্ভাধানের দিনে ও অtভু্যদয়িক শ্রাদ্ধ করিতে হয়। ( ১ } ছন্দোগপরিশিষ্টের মতে বিবাহাদি গর্ভাধানান্ত সংস্কারের মধ্যে একটী শ্ৰাদ্ধ কfরসেই চলিতে পারে, প্রত্যেক কৰ্ম্মের প্রথমেই আভু্যদয়িক শ্ৰাদ্ধ করিতে হয় না। (২) লৌকিক প্রথা অনুসারে স্থৰ বিলুপ্ত শাখীয় বিধি অনুসারে গর্ভাশয়ের শুদ্ধির জন্ত মন্ত্ৰপূত পঞ্চগয্য তক্ষণ করিবার নিয়ম আছে । উক্ত মতে মন্ত্রদ্বয় পাঠ করিতে হয় । ( ५ ) *निtशक कItश tगttग छ जौमtडtझग्नtन ठ९ ।। ८छ्झ१ *श्लबtन ५७व चlक्ं खंiत्रि:भ१5 ॥" (সংস্কারতৰে ভৰিৰপুরাণ } ( २ ) "बिषांशषरदकtजबांक कूर्दri९ ।। - শ্ৰাদ্ধং লাগে। কৰ্ম্মণ: কৰ্ম্মণ: স্থাৎ " ( ছন্দোগপরিশিষ্ট । )